alt

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে যুক্তিতর্ক শুরু করলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার করা মানে ‘হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে এখন সাঁতার কাটো’। রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমির হোসেন এই যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় আজ সোমবার আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়।

মামলার এক আসামি আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতিমধ্যেই নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর দুই আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। এ দুজনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) ইতিমধ্যেই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। আজ থেকে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন আজ প্রথমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “দু-তিন দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম আরমানের একটি ভিডিও দেখেছি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যখন মীর কাসেম আলীর বিচার চলছিল, তখন আহমাদ বিন কাসেম আরমানের সাক্ষাৎকারের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছিল। ভিডিওতে আরমান তাঁর বাবার বিচার চলাকালীন এ আইনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই আইনে সাক্ষ্য আইনের সঠিক ব্যবহার সম্ভব নয় এবং বিচার ব্যাপক সীমাবদ্ধতার মধ্যে হচ্ছে, যা ন্যায়বিচারকে বিঘ্নিত করছে।’ আমি তার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত।”

তিনি আরও বলেন, “এই আইনে মূল যে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সেটাকে প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। সিআরপিসি এই আইনে গ্রহণযোগ্য নয়। এমন বিচার, যেখানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে ‘এখন সাঁতার কাটো’, সেটি এ আইন।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে বলেন, মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বা ফরমাল চার্জে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দুর্নীতির সর্বগ্রাসী চর্চার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, তিনি বলেন, এসব অভিযোগ ততক্ষণ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য নয় যতক্ষণ না তা বিচারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। ঢালাওভাবে এসব বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

এতে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করে বলেন, “সংবাদপত্রের প্রতিবেদনও আমলে নেওয়া যেতে পারে। এই আইন আপনিরাই তৈরি করেছেন।”

জবাবে আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সবকিছু সত্য হয়ে যায় না। অন্য আইনে পত্রপত্রিকার সংবাদের কোনো মূল্য নেই। শেখ হাসিনা আইন করেছেন বলে এটি ভালো আইন হয়েছে, এমনটি আমি বলছি না। যে–ই আইন করুক না কেন, ভুল মানে ভুলই।”

ছবি

নতুন হ্যাকার গ্রুপ ‘মিস্টিরিয়াস এলিফ্যান্ট’: টার্গেটে বাংলাদেশও

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে মৃত্যু ৪, হাসপাতালে ভর্তি ৯৪২ জন

ছবি

ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার মানে ‘হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে আসামিকে বলা সাঁতার কাটো’: রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

ছবি

নির্বাচনের ‘সহায়ক পরিবেশ আছে’, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ‘উদ্বেগ নেই’: ইসি সচিব

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

জুলাই যোদ্ধারা আইডি কার্ড ও আইনি সুরক্ষা চায়, বৈঠকে গুরুত্বারোপ

ছবি

নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমাবেশ, একশজনের অনশন চলছে

বাংলাদেশে একদিনে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু; চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ২৪৫

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন ২৭ ঘণ্টা পর নিভেছে

শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনে পোশাক খাতের বড় ক্ষতি: বিজিএমইএর উদ্বেগ

‘নাশকতা কিনা’ প্রশ্নে ক্ষোভ বিমান উপদেষ্টার

‘বাতাসের কারণে’ আগুন নেভাতে দেরি: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার প্রমাণ মিললে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে বিমানের সাত সদস্যের কমিটি

ছবি

দাবি আদায়ে অনড় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, বিক্ষোভ শেষে আবারও শহীদ মিনারে অবস্থান

ছবি

ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ চৌধুরী আর নেই

ছবি

এবার ‘মার্চ টু যমুনা’র ঘোষণা এমপিও শিক্ষকদের

ছবি

বিচার বিভাগে নারীর অংশগ্রহণ জনআস্থার ‘বিশেষ প্রতীক’: প্রধান বিচারপতি

ছবি

বাংলাদেশ ওআইসির উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ: শ্রম উপদেষ্টা

ছবি

ইভিএম: মামলা ও বকেয়ার বিষয়ে মাঠের তথ্য চেয়েছে ইসি

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৫১০ জন হাসপাতালে, আক্রান্ত ছাড়ালো ৫৮ হাজার

ছবি

এনসিপিকে ছাড়াই ‘জুলাই সনদ’ সই: ‘নবজন্ম হলো’, বললেন ইউনূস

ছবি

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা স্থগিত: পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের উদ্বেগ

ছবি

পুলিশ-জুলাই যোদ্ধা সংঘর্ষ সংসদ এলাকা রণক্ষেত্র

জুলাই জাতীয় সনদে সই আজ, অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয়ে কয়েক দল

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে আজ, কী থাকছে এই সনদে

গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু টেস্ট

চীনে নারী পাচার: দূতাবাস ও ইমিগ্রেশনের ‘যোগসাজশ’ দেখছে র‌্যাব

ছবি

এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট’র নতুন কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন স্নিধ

ছবি

সিইপিজেডে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে

শেখ হাসিনার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ এ মাসেই, স্বাক্ষরের সুযোগ পরেও থাকবে: আলী রীয়াজ

tab

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে যুক্তিতর্ক শুরু করলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার করা মানে ‘হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে এখন সাঁতার কাটো’। রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমির হোসেন এই যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় আজ সোমবার আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়।

মামলার এক আসামি আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতিমধ্যেই নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর দুই আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। এ দুজনের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) ইতিমধ্যেই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। আজ থেকে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন আজ প্রথমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “দু-তিন দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে আইনজীবী আহমাদ বিন কাসেম আরমানের একটি ভিডিও দেখেছি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যখন মীর কাসেম আলীর বিচার চলছিল, তখন আহমাদ বিন কাসেম আরমানের সাক্ষাৎকারের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছিল। ভিডিওতে আরমান তাঁর বাবার বিচার চলাকালীন এ আইনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই আইনে সাক্ষ্য আইনের সঠিক ব্যবহার সম্ভব নয় এবং বিচার ব্যাপক সীমাবদ্ধতার মধ্যে হচ্ছে, যা ন্যায়বিচারকে বিঘ্নিত করছে।’ আমি তার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত।”

তিনি আরও বলেন, “এই আইনে মূল যে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সেটাকে প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। সিআরপিসি এই আইনে গ্রহণযোগ্য নয়। এমন বিচার, যেখানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে ‘এখন সাঁতার কাটো’, সেটি এ আইন।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে বলেন, মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বা ফরমাল চার্জে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দুর্নীতির সর্বগ্রাসী চর্চার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, তিনি বলেন, এসব অভিযোগ ততক্ষণ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য নয় যতক্ষণ না তা বিচারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। ঢালাওভাবে এসব বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

এতে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করে বলেন, “সংবাদপত্রের প্রতিবেদনও আমলে নেওয়া যেতে পারে। এই আইন আপনিরাই তৈরি করেছেন।”

জবাবে আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সবকিছু সত্য হয়ে যায় না। অন্য আইনে পত্রপত্রিকার সংবাদের কোনো মূল্য নেই। শেখ হাসিনা আইন করেছেন বলে এটি ভালো আইন হয়েছে, এমনটি আমি বলছি না। যে–ই আইন করুক না কেন, ভুল মানে ভুলই।”

back to top