তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ তার নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবে এবং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, নভেম্বরের পরও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পূর্বের মতো চলবে এবং সংস্কারমূলক কাজও থেমে থাকবে না।
এই ব্যাখ্যাটি আসে সোমবার, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্যের একদিন পর। তিনি রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের যে সময়সীমা আছে, তখন তো ছিল তিন মাস। এখন তো হয়তো এক মাস আছে। কারণ, যেসব কাজ করা হবে, তা ক্যাবিনেটেই করতে হবে অথবা নীতিমালা বা অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে করতে হবে। সেটা নভেম্বরের পরে করা সম্ভব হবে না। কারণ, নভেম্বরেই ক্যাবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে। এরপর নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে, আর তখন ক্যাবিনেট মিটিং বসে না।”
তার এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর সরকারের ভেতরে ও বাইরে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, “সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে—এই ধারণাটি সঠিক নয়। সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।”
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এই নির্বাচনের আগে সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদল’ দেওয়ার দাবি তুলেছে বিএনপি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ তার নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবে এবং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, নভেম্বরের পরও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পূর্বের মতো চলবে এবং সংস্কারমূলক কাজও থেমে থাকবে না।
এই ব্যাখ্যাটি আসে সোমবার, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্যের একদিন পর। তিনি রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে বলেন, “আমাদের যে সময়সীমা আছে, তখন তো ছিল তিন মাস। এখন তো হয়তো এক মাস আছে। কারণ, যেসব কাজ করা হবে, তা ক্যাবিনেটেই করতে হবে অথবা নীতিমালা বা অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে করতে হবে। সেটা নভেম্বরের পরে করা সম্ভব হবে না। কারণ, নভেম্বরেই ক্যাবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে। এরপর নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে, আর তখন ক্যাবিনেট মিটিং বসে না।”
তার এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর সরকারের ভেতরে ও বাইরে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, “সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে—এই ধারণাটি সঠিক নয়। সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।”
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এই নির্বাচনের আগে সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদল’ দেওয়ার দাবি তুলেছে বিএনপি।