ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অর্থপাচারের অভিযোগে মালয়েশিয়ায় থাকা বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম আব্দুল নূর ও তার সহযোগী রুহুল আমিনকে ফেরত আনতে চাইছে বাংলাদেশ। ঢাকার এ অনুরোধটি নিয়ে দুই দেশের পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল। তিনি কুয়ালালামপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় সরকারি (জি-টু-জি) এবং পুলিশ পর্যায়ের সমন্বয়ের (পি-টু-পি) মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া হচ্ছে দুই দেশের সহযোগিতার ভিত্তিতে। সংবাদ সংস্থা বারনামাকে উদ্ধৃত করে মালয় মেইল আজ (শুক্রবার) এ খবর দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে চক্র গড়ে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশীয় নাগরিক আমিনুল ইসলাম এবং তার বাংলাদেশি এজেন্ট রুহুল আমিন এই চক্রের হোতা বলে দাবি করছেন দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তারা সরকারকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়া সফরে তার সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে জানান নাসুতিওন ইসমাইল। তিনি বলেন, উভয়পক্ষই একমত হয়েছে যে বিষয়টি দুই দেশের পুলিশ পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আপাতত আমি এতটুকুই বলতে পারি।’ ঢাকার পক্ষ থেকে এ দুই ব্যক্তির প্রত্যর্পণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি তিনি।
গত নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো আটকের অনুরোধপত্রটি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাইফুদ্দিন নাসুতিওন। আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, চাঁদাবাজি ও বিদেশি শ্রমিক পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সেই অনুরোধপত্রে উল্লেখ করা হয়।
সাইফুদ্দিন নাসুতিওন তখন বলেছিলেন, মালয়েশিয়া সরকার এ আবেদন সম্পর্কে ঢাকার কাছ থেকে আরও স্পষ্ট জবাব চেয়েছে। বিশেষ করে তাদের আটকের উদ্দেশ্য প্রত্যর্পণ করানো নাকি আরও তদন্ত করা, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এটি অভিযুক্তদের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য, নাকি তদন্ত পরিচালনার জন্য, সেটাও মালয়েশিয়াকে প্রথমে পরিষ্কারভাবে জানানো উচিত।
মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফসিএমএস) নামের একটি সিস্টেম ব্যবহার করে। সিস্টেমটি পরিচালনা করে বেস্টিনেট নামের কোম্পানিটি। আমিনুল ইসলাম বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। তিনি বেস্টিনেটের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে গেলেও এখনও কোম্পানিটিতে তার অংশীদারত্ব রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
অর্থপাচারের অভিযোগে মালয়েশিয়ায় থাকা বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম আব্দুল নূর ও তার সহযোগী রুহুল আমিনকে ফেরত আনতে চাইছে বাংলাদেশ। ঢাকার এ অনুরোধটি নিয়ে দুই দেশের পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল। তিনি কুয়ালালামপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় সরকারি (জি-টু-জি) এবং পুলিশ পর্যায়ের সমন্বয়ের (পি-টু-পি) মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া হচ্ছে দুই দেশের সহযোগিতার ভিত্তিতে। সংবাদ সংস্থা বারনামাকে উদ্ধৃত করে মালয় মেইল আজ (শুক্রবার) এ খবর দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে চক্র গড়ে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশীয় নাগরিক আমিনুল ইসলাম এবং তার বাংলাদেশি এজেন্ট রুহুল আমিন এই চক্রের হোতা বলে দাবি করছেন দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তারা সরকারকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কয়েক মাস আগে মালয়েশিয়া সফরে তার সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে জানান নাসুতিওন ইসমাইল। তিনি বলেন, উভয়পক্ষই একমত হয়েছে যে বিষয়টি দুই দেশের পুলিশ পর্যায়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আপাতত আমি এতটুকুই বলতে পারি।’ ঢাকার পক্ষ থেকে এ দুই ব্যক্তির প্রত্যর্পণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি তিনি।
গত নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো আটকের অনুরোধপত্রটি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাইফুদ্দিন নাসুতিওন। আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, চাঁদাবাজি ও বিদেশি শ্রমিক পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সেই অনুরোধপত্রে উল্লেখ করা হয়।
সাইফুদ্দিন নাসুতিওন তখন বলেছিলেন, মালয়েশিয়া সরকার এ আবেদন সম্পর্কে ঢাকার কাছ থেকে আরও স্পষ্ট জবাব চেয়েছে। বিশেষ করে তাদের আটকের উদ্দেশ্য প্রত্যর্পণ করানো নাকি আরও তদন্ত করা, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এটি অভিযুক্তদের বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য, নাকি তদন্ত পরিচালনার জন্য, সেটাও মালয়েশিয়াকে প্রথমে পরিষ্কারভাবে জানানো উচিত।
মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফসিএমএস) নামের একটি সিস্টেম ব্যবহার করে। সিস্টেমটি পরিচালনা করে বেস্টিনেট নামের কোম্পানিটি। আমিনুল ইসলাম বেস্টিনেটের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। তিনি বেস্টিনেটের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে গেলেও এখনও কোম্পানিটিতে তার অংশীদারত্ব রয়েছে।