২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫১ জন হাসপাতালে
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের শনিবার, (০১ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে মোট ৭০ হাজার ৫১৩ জন। তার মধ্যে ৩৪ হাজার ৫৪৬ জন তরুণ। যাদের বয়স ৩৫ থেকে নিচে ১৬ বছর। আক্রান্তদের মধ্যে গত ১০ মাসে ২৭৮ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১২০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২০ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১১৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
গত ১০ মাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১৬-২০ বছর বয়সের ৮১৭৩ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৯ হাজার ৭৭৭ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৯৫৫৭ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৭ হাজার ৩৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে। গত ১০ মাসে ডেঙ্গুতে উঠতি তরুণরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
হাসপাতালের তথ্যমতে, আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫৩ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৯ জন ভর্তি আছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২১ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬২ জন ভর্তি আছে। মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৫২ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৭৬৫ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ২ হাজার ৭৭৬ জন ভর্তি আছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি কন্ট্রোলরুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডেঙ্গু এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামগঞ্জের মানুষও এখন আর নিরাপদ নয়। আগে ডেঙ্গু মূলত শহরমুখী ছিল। এখন তা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, ডেঙ্গু আক্রান্ত তরুণ ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে সর্বাধিক, ১৬-৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এতে জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার মূল কারণের মধ্যে মশকনিধন কার্যক্রম এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। কাগজে-কলমে নানা কর্মসূচি থাকলেও বাস্তবে তার কার্যকারিতা সীমিত। অনেক এলাকায় এখনও সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগ করা হয় না।
জনসচেতনতার ঘাটতিও রয়েছে। অনেক পরিবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনও যথেষ্ট সতর্ক নয়। ফুলের টব, পানি রাখার কলস, বালতি, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানি, ড্রামের মতো জায়গায় সহজেই এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। সমন্বয়হীনতা বড় একটি সমস্যা। এভাবে নানা কারণে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা দমন এখন কষ্টকর হয়েছে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এ বছর এডিস মশার উপদ্রব বাড়ছে। আর এ মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫১ জন হাসপাতালে
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের শনিবার, (০১ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে মোট ৭০ হাজার ৫১৩ জন। তার মধ্যে ৩৪ হাজার ৫৪৬ জন তরুণ। যাদের বয়স ৩৫ থেকে নিচে ১৬ বছর। আক্রান্তদের মধ্যে গত ১০ মাসে ২৭৮ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১২০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২০ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১১৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
গত ১০ মাসে আক্রান্তদের মধ্যে ১৬-২০ বছর বয়সের ৮১৭৩ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৯ হাজার ৭৭৭ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৯৫৫৭ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৭ হাজার ৩৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে। গত ১০ মাসে ডেঙ্গুতে উঠতি তরুণরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
হাসপাতালের তথ্যমতে, আক্রান্তদের মধ্যে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫৩ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩৯ জন ভর্তি আছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২১ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৬২ জন ভর্তি আছে। মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৫২ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৭৬৫ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখনও ২ হাজার ৭৭৬ জন ভর্তি আছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি কন্ট্রোলরুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডেঙ্গু বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডেঙ্গু এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামগঞ্জের মানুষও এখন আর নিরাপদ নয়। আগে ডেঙ্গু মূলত শহরমুখী ছিল। এখন তা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, ডেঙ্গু আক্রান্ত তরুণ ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে সর্বাধিক, ১৬-৩৫ বছর বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এতে জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার মূল কারণের মধ্যে মশকনিধন কার্যক্রম এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। কাগজে-কলমে নানা কর্মসূচি থাকলেও বাস্তবে তার কার্যকারিতা সীমিত। অনেক এলাকায় এখনও সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগ করা হয় না।
জনসচেতনতার ঘাটতিও রয়েছে। অনেক পরিবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে এখনও যথেষ্ট সতর্ক নয়। ফুলের টব, পানি রাখার কলস, বালতি, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানি, ড্রামের মতো জায়গায় সহজেই এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। সমন্বয়হীনতা বড় একটি সমস্যা। এভাবে নানা কারণে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা দমন এখন কষ্টকর হয়েছে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এ বছর এডিস মশার উপদ্রব বাড়ছে। আর এ মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।