ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মায়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ দিনের মাথায় মারা গেছেন। শনিবার, (০১ নভেম্বর ২০২৫) তার দাফন সম্পন্ন হওয়ার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী এ বাহিনী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দায়িত্ব পালনের সময় মায়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নায়েক আক্তার হোসেন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়েছে।
‘শনিবার, সকালে ঢাকার সিএমএইচ থেকে বিজিবির হেলিকপ্টারযোগে আক্তার হোসেনের মরদেহ ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নেয়া হয়। ‘সেখানে নামাজে জানাজা শেষে যথাযোগ্য ও সামরিক মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।’
গত ১২ অক্টোবর সকালে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের রেজুআমতলী এলাকার পেয়ারাবুনিয়া অঞ্চলে টহল দেয়ার সময় মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আহত হন আক্তার হোসেন। আক্তারকে প্রথমে রামু সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরদিন ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয় তাকে।
বিজিবির এ সদস্য মায়ানমার সীমান্তবর্তী রেজু আমতলী বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। বিস্ফোরণে তার এক পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়, অন্য পায়েও গুরুতর জখম হয়। মায়ানমারে সংঘাতের মধ্যে সীমান্তে আরাকান আর্মির পেতে রাখা মাইনে এর আগেও বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গত ৬ এপ্রিল কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মায়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবকের পা উড়ে যায়। ২২ জুন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই নাইক্ষ্যংছড়িতেই গত ১১ আগস্ট স্থলমাইন বিস্ফোরণে একটি বন্য হাতি গুরুতর আহত হয়। বিস্ফোরণে হাতিটির ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
মায়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ দিনের মাথায় মারা গেছেন। শনিবার, (০১ নভেম্বর ২০২৫) তার দাফন সম্পন্ন হওয়ার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী এ বাহিনী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দায়িত্ব পালনের সময় মায়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নায়েক আক্তার হোসেন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়েছে।
‘শনিবার, সকালে ঢাকার সিএমএইচ থেকে বিজিবির হেলিকপ্টারযোগে আক্তার হোসেনের মরদেহ ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নেয়া হয়। ‘সেখানে নামাজে জানাজা শেষে যথাযোগ্য ও সামরিক মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।’
গত ১২ অক্টোবর সকালে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের রেজুআমতলী এলাকার পেয়ারাবুনিয়া অঞ্চলে টহল দেয়ার সময় মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আহত হন আক্তার হোসেন। আক্তারকে প্রথমে রামু সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরদিন ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয় তাকে।
বিজিবির এ সদস্য মায়ানমার সীমান্তবর্তী রেজু আমতলী বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। বিস্ফোরণে তার এক পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়, অন্য পায়েও গুরুতর জখম হয়। মায়ানমারে সংঘাতের মধ্যে সীমান্তে আরাকান আর্মির পেতে রাখা মাইনে এর আগেও বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গত ৬ এপ্রিল কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মায়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবকের পা উড়ে যায়। ২২ জুন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই নাইক্ষ্যংছড়িতেই গত ১১ আগস্ট স্থলমাইন বিস্ফোরণে একটি বন্য হাতি গুরুতর আহত হয়। বিস্ফোরণে হাতিটির ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়।