ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনেই স্বাস্থ্যসেবা ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বিষয়ক দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। শনিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা সম্পন্ন হয়।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং ভুটানের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি নথিতে সই করেন।
একই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ও টেলিযোগাযোগ সেবা বাণিজ্য বিষয়ে আরেকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এই সমঝোতায় সই করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান। দুই সমঝোতা নথির সই ও বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আগে দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, এরপর তাদের নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
তিন দিনের সফরে শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শেরিং তোবগে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
সফরের প্রথম দিনেই তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করা হবে।
রোববার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ওইদিনই বাংলাদেশের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিন দিনের সফর শেষে ২৪ নভেম্বর সকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনেই স্বাস্থ্যসেবা ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বিষয়ক দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। শনিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে এসব সমঝোতা সম্পন্ন হয়।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং ভুটানের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি নথিতে সই করেন।
একই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ও টেলিযোগাযোগ সেবা বাণিজ্য বিষয়ে আরেকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এই সমঝোতায় সই করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান। দুই সমঝোতা নথির সই ও বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আগে দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, এরপর তাদের নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
তিন দিনের সফরে শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে শেরিং তোবগে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
সফরের প্রথম দিনেই তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করা হবে।
রোববার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ওইদিনই বাংলাদেশের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিন দিনের সফর শেষে ২৪ নভেম্বর সকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।