পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাজা হবে কি না—তার সিদ্ধান্ত জানানো হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
রোববার এক আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রায়ের দিন ঘোষণা করেন।
এদিন কারাগারে থাকা আসামি খুরশীদ আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। দুদকের পক্ষে কৌঁসুলি খান মো. মাইনুল হাসান (লিপন) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের সর্বোচ্চ দণ্ড জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার প্রত্যাশা জানান।
অন্যদিকে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি, রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে আইনজীবী শাহীনুর রহমান যুক্তি তুলে ধরে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি দাবি করেন এবং তার খালাস চান।
কৌঁসুলি মাইনুল হাসান লিপন বলেন, “আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছি। আশা করছি, আদালত থেকে সর্বোচ্চ সাজাটাই আসবে।”
গত ৩১ জুলাই এই মামলাসহ মোট ছয় মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনাসহ পরিবারের সাত সদস্য এবং আরও ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল।
গত ১০ নভেম্বর শেখ পরিবারের তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর ১৭ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে খুরশীদ আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
শেখ পরিবারের অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক
ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক
মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক
শেখ পরিবার ছাড়া মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন—
জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে এই ছয় মামলা দায়ের করে দুদক। সব মামলারই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য বিদেশে অবস্থান করায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হয়েও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাজা হবে কি না—তার সিদ্ধান্ত জানানো হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
রোববার এক আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রায়ের দিন ঘোষণা করেন।
এদিন কারাগারে থাকা আসামি খুরশীদ আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। দুদকের পক্ষে কৌঁসুলি খান মো. মাইনুল হাসান (লিপন) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের সর্বোচ্চ দণ্ড জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার প্রত্যাশা জানান।
অন্যদিকে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি, রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে আইনজীবী শাহীনুর রহমান যুক্তি তুলে ধরে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি দাবি করেন এবং তার খালাস চান।
কৌঁসুলি মাইনুল হাসান লিপন বলেন, “আমরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছি। আশা করছি, আদালত থেকে সর্বোচ্চ সাজাটাই আসবে।”
গত ৩১ জুলাই এই মামলাসহ মোট ছয় মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনাসহ পরিবারের সাত সদস্য এবং আরও ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল।
গত ১০ নভেম্বর শেখ পরিবারের তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর ১৭ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে খুরশীদ আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
শেখ পরিবারের অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—
শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক
ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক
মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক
শেখ পরিবার ছাড়া মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন—
জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে এই ছয় মামলা দায়ের করে দুদক। সব মামলারই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য বিদেশে অবস্থান করায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হয়েও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।