আওয়ামী লীগ শাসনামলে টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম-নির্যাতনের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। একই সঙ্গে পলাতক অন্য আসামিদের পক্ষেও স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ এ নিয়োগের আদেশ দেয়। বেঞ্চের অন্য সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হওয়ার আবেদন করেন জেড আই খান পান্না। আদালত তা মঞ্জুর করে। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় প্রসিকিউশনসহ আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সেনা, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করে অবস্থান নেন।
টিএফআই সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় মোট ১৭ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার ১০ জনকে সেদিন আদালতে পেশ করা হয়। তারা হলেন—
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম
• র্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল
• র্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে)
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল কে এম আজাদ
• র্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম
এ মামলায় সাতজন পলাতক রয়েছেন—ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ আরও চারজন।
অন্যদিকে জেআইসি সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার তিনজনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তারা হলেন—
• ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিক
• ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিক
• ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) মেজর জেনারেল শেখ মো. সারওয়ার হোসেন
এই মামলার ১০ আসামি এখনো পলাতক, তাদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর তিন মামলায় গ্রেপ্তার মোট ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্য আসামিরা জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রীতে ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
আওয়ামী লীগ শাসনামলে টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম-নির্যাতনের দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। একই সঙ্গে পলাতক অন্য আসামিদের পক্ষেও স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ এ নিয়োগের আদেশ দেয়। বেঞ্চের অন্য সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হওয়ার আবেদন করেন জেড আই খান পান্না। আদালত তা মঞ্জুর করে। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় প্রসিকিউশনসহ আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সেনা, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করে অবস্থান নেন।
টিএফআই সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় মোট ১৭ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার ১০ জনকে সেদিন আদালতে পেশ করা হয়। তারা হলেন—
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম
• র্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল
• র্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে)
• র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল কে এম আজাদ
• র্যাবের সাবেক পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স উইং) কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম
এ মামলায় সাতজন পলাতক রয়েছেন—ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ আরও চারজন।
অন্যদিকে জেআইসি সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার তিনজনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তারা হলেন—
• ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিক
• ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজাহার সিদ্দিক
• ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (সিটিআইবি) মেজর জেনারেল শেখ মো. সারওয়ার হোসেন
এই মামলার ১০ আসামি এখনো পলাতক, তাদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর তিন মামলায় গ্রেপ্তার মোট ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্য আসামিরা জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রীতে ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি।