নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে দৌড় কর্মসূচি ‘রোকেয়া রান’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫সকাল ৭টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এই দৌড় কর্মসূচি পালিত হয়। গত ২৫ নভেম্বর শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মহিলা পরিষদ ও বিডি রানার্স যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করে। এ ‘রোকেয়া রান’ নারীদের সব জড়তা, ক্লান্তি ও আড়ষ্টতা কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের। মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার ‘জাগো ভগিনীরা জাগো’ আহ্বানে উজ্জীবিত থেকে নারী-পুরুষের জন্য সমতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে কাজ করে যাবো।’
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লড়াইয়ের কেন্দ্রে ছিল প্রথা ভাঙার লড়াই। কিন্তু আজ আবার নারীদের নানা ঘেরাটোপে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রোকেয়ার সম্বন্ধে কটূক্তি করার স্পর্ধা দেখানো হচ্ছে। যারা দেখাচ্ছে, তাদের সেই স্পর্ধার সামনে দাঁড়িয়ে আমরা জোর গলায় বলতে চাই, প্রথা ভাঙার লড়াইকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আজকের এ রোকেয়া রান বিশেষ অবদান রাখবে।’
দৌড় শেষে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া নারীমুক্তির যে মন্ত্র আমাদের শুনিয়েছিলেন, সেই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা ছুটে চলেছি, ছুটে যাব সমাজের সব জায়গায়। সব জায়গায় নারীরা সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হবে। এ আকাক্সক্ষা পূরণের পথে সমাজের যা কিছু বাধা আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে, সেসব বাধাকে পেছনে ফেলে আমরা অবিরাম ছুটছি, ছুটবো!’ বাংলাদেশের প্রথম আয়রনম্যান ও বিডি রানার্সের অ্যাকটিভিস্ট মোহাম্মদ শামছুজ্জামান আরাফাত বলেন, ‘সমতাপূর্ণ সমাজ গড়তে রোকেয়ার চিন্তাভাবনা ছিল দূরদর্শিতাসম্পন্ন, যা আজকের দিনেও আমরা ভাবতে পারি না। পুরুষের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের যে অনুপ্রেরণা থাকে, তা আমাদের বার্তা দেয় যে সবাইকে একসঙ্গে অগ্রসর হতে হবে।’
উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী; লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক দীপ্তি শিকদার; প্রশিক্ষণ ও গবেষণা পরিচালক শাহাজাদী শামীমা আফজালী শম্পা এবং প্রোগ্রাম অফিসার (কাউন্সেলিং) সাবিকুন নাহার।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে দৌড় কর্মসূচি ‘রোকেয়া রান’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫সকাল ৭টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এই দৌড় কর্মসূচি পালিত হয়। গত ২৫ নভেম্বর শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মহিলা পরিষদ ও বিডি রানার্স যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করে। এ ‘রোকেয়া রান’ নারীদের সব জড়তা, ক্লান্তি ও আড়ষ্টতা কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের। মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার ‘জাগো ভগিনীরা জাগো’ আহ্বানে উজ্জীবিত থেকে নারী-পুরুষের জন্য সমতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে কাজ করে যাবো।’
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লড়াইয়ের কেন্দ্রে ছিল প্রথা ভাঙার লড়াই। কিন্তু আজ আবার নারীদের নানা ঘেরাটোপে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রোকেয়ার সম্বন্ধে কটূক্তি করার স্পর্ধা দেখানো হচ্ছে। যারা দেখাচ্ছে, তাদের সেই স্পর্ধার সামনে দাঁড়িয়ে আমরা জোর গলায় বলতে চাই, প্রথা ভাঙার লড়াইকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আজকের এ রোকেয়া রান বিশেষ অবদান রাখবে।’
দৌড় শেষে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া নারীমুক্তির যে মন্ত্র আমাদের শুনিয়েছিলেন, সেই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা ছুটে চলেছি, ছুটে যাব সমাজের সব জায়গায়। সব জায়গায় নারীরা সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হবে। এ আকাক্সক্ষা পূরণের পথে সমাজের যা কিছু বাধা আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে, সেসব বাধাকে পেছনে ফেলে আমরা অবিরাম ছুটছি, ছুটবো!’ বাংলাদেশের প্রথম আয়রনম্যান ও বিডি রানার্সের অ্যাকটিভিস্ট মোহাম্মদ শামছুজ্জামান আরাফাত বলেন, ‘সমতাপূর্ণ সমাজ গড়তে রোকেয়ার চিন্তাভাবনা ছিল দূরদর্শিতাসম্পন্ন, যা আজকের দিনেও আমরা ভাবতে পারি না। পুরুষের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের যে অনুপ্রেরণা থাকে, তা আমাদের বার্তা দেয় যে সবাইকে একসঙ্গে অগ্রসর হতে হবে।’
উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী; লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক দীপ্তি শিকদার; প্রশিক্ষণ ও গবেষণা পরিচালক শাহাজাদী শামীমা আফজালী শম্পা এবং প্রোগ্রাম অফিসার (কাউন্সেলিং) সাবিকুন নাহার।