ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার, (০৭ ডিসেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৭ হাজার ৮২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৯৬ জন মারা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৬ জন, ঢাকা বিভাগে ৯৬ জন, ঢাকা উত্তরে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৭৫ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, ময়মনসিহ বিভাগে ২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩১ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন ও সিলেট বিভাগে ৩ জন রয়েছে। নিহত ২ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার।
বয়স অনুযায়ী ভর্তিকৃতদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ৪৫ জন, ৬-১০ বছর বয়সের ২০ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৩০ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৫৯ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৭০ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৬৯ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৪২ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৬০ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ৩ জন এবং ৮০ বছরের বেশি ১ জন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন পৃথিবীর অনেক মানুষ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশে ২০০০ সালে ডেঙ্গু প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকেই বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গু গবেষণা শুরু করেন।
বাংলাদেশে ডেঙ্গু এখন এক নীরব আতঙ্কের নাম। গত কয়েক বছর বর্ষা ও বর্ষার পরবর্তী সময়ে এর বিস্তার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবণতাটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, যদি এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নেয়া হয় তবে পরিস্থিতি আরও মারাত্বক আকার ধারণ করবে। এখনও সারাদেশে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব রয়েছে। যা ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য উপযোগী। চলতি ডিসেম্বর থেকে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গুর বিস্তার থাকবে। এখন নতুন করে এডিস মশার পাশাপাশি কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়ছে।