জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার, (০৭ ডিসেম্বর ২০২৫) তাকে গ্রেপ্তার করে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তার সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’
শওকত মাহমুদের ছোট ছেলে সুলতান মাহমুদ সিয়াম বলেন, ‘বাবাকে আমাদের আফতাব নগরের বাসার নিচ থেকে নিয়ে গেছে। ‘তারা (ডিবি) সাড়ে ১২টার দিকে এসেছিল। আধা ঘণ্টা কথা বলেছে, তারপর নিয়ে গেছে।’ শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। আমরা যাচাই করে দেখছি।’
সরকার ‘উৎখাতের ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার অভিযোগে যে মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন। একই মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ডিবি প্রধান শফিকুল।
গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকা থেকে এনায়েতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাডো গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘুরছিলেন তিনি। পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘোরাঘুরির কারণ জানতে চাইলে এনায়েত কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তখন পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা মডেল থানায় মামলা করে।
এনায়েত করিম চৌধুরী ১৯৮৮ সালে আমেরিকায় যান এবং ২০০৪ সালে আমেরিকান পাসপোর্ট পান। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ২৫ এপ্রিল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’র আত্মপ্রকাশ ঘটে। যার চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এর আগে ২০২৩ সালের ২১ মার্চ শওকত মাহমুদকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানসহ দলের সব পদ থেকে ‘বহিষ্কার’ করা হয়েছিল। সেই সময় বনানীতে জাতীয় ইনসাফ কমিটি (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) নামে এক অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়। তখন সংগঠনের আহ্বায়ক ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব হিসেবে শওকত মাহমুদ বক্তব্য দিয়েছিলেন।