সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার, (১১ ডিসেম্বর ২০২৫) বনানী থানায় এ মামলা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে। মামলায় গোলাম দস্তগীর ছাড়াও তার পিএস এমদাদুল হক (৫২), সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩), এবং দিমন ভূঁইয়াকে (৫৫) আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে ২ হাজার ৪০১ দশমিক ৪৬ শতাংশ জমি (বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন আসামিরা। তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ৪ শতাংশ ভুয়া দলিল করে দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন।
এছাড়া মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশ, মোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩দশমিক ৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০ দশমিক ৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০ দশমিক ৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশও একইভাবে দখল করেন আসামিরা। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সে বছরের ২৪ অগাস্ট নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনের সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীকে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।