মোট ভর্তি ১ লাখ ৪৭৭ জন, মৃত্যু ৪০৯ জন
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৫ জন মারা গেছেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৮৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার, (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ লাখ ৪৭৭ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৪০৯ জন। তার মধ্যে রাজধানীতে ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৩৩৯ জন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৮ হাজার ৭২৯ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তবে যারা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের সংখ্যা জানা গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭১ জন, ঢাকা বিভাগে ৮৩ জন, ঢাকা উত্তরে ৫৩ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে ৩৩ জন, ময়মনসিংহে ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২ জন, সিলেট বিভাগে ৪ জন ভর্তি হয়েছে।
নিহত ৫ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ২ জন, ঢাকা উত্তরে ১ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন মারা গেছেন।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ২০ শিশু, ৬-১০ বছর বয়সের ১০ শিশু, ১১-১৫ বছর বয়সের ১৯ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ৪০ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ৬৮ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৫২ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ৪০ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ৪১ জন, ৪১-৪৫ বছর বয়সের ২৬ জন, ৪৬-৫০ বছর বয়সের ২১ জন, ৫১-৫৫ বছর বয়সের ১২ জন, ৭৬-৮০ বছর বয়সের ৫ জন, ৮০ বছর বয়সের ১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন ডেঙ্গুতে নানা বয়সের মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভেক্টরবাহিত রোগ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের বিস্তার বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং আদ্রতার পরিবর্তন এ রোগগুলোর সংক্রমণ পরিধি ও মৌসুমি ধরন আমূল বদলে দিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার শহরগুলোতে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস মশার প্রজনন ও টিকে থাকার হার দ্রুত বাড়ছে।
ডেঙ্গুর বিস্তার জলবায়ু উপাদানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আবহাওয়ার ধরন বদলে গেছে, বর্ষাকাল দীর্ঘায়িত হয়েছে। এবার এডিস মশার উপদ্রব ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে পারে বলে কীটতত্ত্ববিদরা আশঙ্কা করছেন।