ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মন্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার রাতে পাঠানো ব্যাখ্যায় কমিশন বলছে, হামলার ঘটনাটি যে ভোটে কোনো বাধা তৈরি করতে পারবে না, বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলার মধ্য দিয়ে সিইসি মূলত সে বার্তাই দিতে চেয়েছেন।
শুক্রবার ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়।
গুরুতর আহত হাদিকে শুরুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সোমবার তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
এদিন সকালে গুলশানের এক অনুষ্ঠানে হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে মন্তব্য করেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দুই একটা খুন-খারাবি হয়। এই যে হাদীর একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল।”
সিইসির এ মন্তব্যের সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। সিইসিকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
এ ধরনের মন্তব্য করায় সিইসির পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
অন্যদিকে সিইসির মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।
এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার রাতে ইসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে সিইসির মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার মূলত তার বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন যে, হাদির উপর সন্ত্রাসী হামলা আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না। কমিশন ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।”
এ ব্যাখ্যা সিইসির মন্তব্যের বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির ‘অবসান ঘটাবে’ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
কমিশন বলেছে, “ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিশন জরুরি সভা করে। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।