image

বিজয় দিবসের বার্তায় ‘বাংলাদেশ’ অনুল্লেখ, আলোচনায় ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের শীর্ষ দুই রাজনৈতিক নেতার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট ঘিরে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী পৃথক বার্তায় বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

উভয় নেতাই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করা ভারতীয় সেনাদের। তবে তাদের দেওয়া বার্তায় একবারও ‘বাংলাদেশ’ শব্দটির উল্লেখ দেখা যায়নি, যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে বিজয় দিবসকে ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, “বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সেনাদের স্মরণ করছি, যাদের আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতকে ঐতিহাসিক বিজয় এনে দিয়েছিল।”

তিনি আরও লেখেন, “তাদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের মুহূর্ত স্থাপন করেছে। এই দিনটি তাদের বীরত্বের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি, তাদের অতুলনীয় চেতনাকে স্মরণ করার দিন। তাদের বীরত্ব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে।”

একই দিনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে হিন্দি ভাষায় দেওয়া পোস্টে লেখেন, “বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বীরদের শ্রদ্ধা জানাই, যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব, নিষ্ঠা ও অটল সংকল্পের মাধ্যমে ইতিহাস গড়েছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “তাদের দুর্জয় সাহস, সংগ্রাম এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ প্রতিটি ভারতীয়র জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।” রাহুল গান্ধীর বক্তব্যেও যুদ্ধটি কোথায় হয়েছিল বা কার সঙ্গে সংঘটিত হয়েছিল—সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।

দুই শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার বক্তব্যেই মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতীয় সেনাদের লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট অনুপস্থিত ছিল, যা ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।

তবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ভিন্ন অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতীয় বীরদের পাকিস্তানকে পরাজিত করা এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করে ইতিহাস গড়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন।

এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীও একটি পোস্ট দেয়, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের প্রশংসার পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের কথাও তুলে ধরা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, “বিজয় দিবস কেবল একটি তারিখ নয়, এটি এক ঐতিহাসিক জয়ের প্রতীক। এটি ছিল সেই বিজয়, যেখানে মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।”

‘জাতীয়’ : আরও খবর

সম্প্রতি