image

হত্যা মামলায় সুব্রত বাইনের মেয়ের রিমান্ড আবেদন, শুনানি কাল

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

যুবদল নেতা আরিফ হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন বিথীর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির দিন আগামী বৃহস্পতিবার ধার্য করেছে আদালত। গতকাল সোমবার কুমিল্লা জেলা কারাগারের সামনে থেকে বিথীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার, (১৬ ডিসেম্বর ২০২৫) তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. মাজহারুল ইসলাম। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে আগামীকাল রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামান।

প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই আরিফ রেজা এ তথ্য জানান। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তার মেয়ে খাদিজা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। ২০২৪ সালেত ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে খাদিজা তার বাবাসহ মগবাজার ও হাতিরঝিল এলাকায় আরিফকে প্রতিপক্ষ মনে করতেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুব্রত বাইন ও আসামি খাদিজার প্রত্যক্ষ প্ররোচনা এবং পরিকল্পনায় আরিফকে হত্যা করা হয়।

‘আরিফের মৃত্যুতে খাদিজা জড়িত ছিল বলে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।’ মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাতিরঝিল থানার নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে আরিফকে গুলি করা হয়।

আরিফ সিকদার ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। এ মামলায় বাদী হয়েছেন আরিফের বোন রিমা আক্তার। এতে সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গত ২৭ মে ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুষ্টিয়া থেকে শীর্ষ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধারের কথা জানায় সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় ২৮ মে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন হাতিরঝিল থানার এস আই আসাদুজ্জামান। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে এবং তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো।

মামলা বলা হয়, সুব্রত বাইন তৎকালীন সময়ে খুন-ডাকাতি সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করেন। পরে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। ৫ আগস্টের পর সে দেশে প্রবেশ করে পুনরায় খুন, চাঁদাবাজি শুরু করে। তার সহযোগী আসামি এস এম শরীফের হাতিরঝিলের একটি বাড়িতে তারা নিয়মিত মিটিং করেন এবং সেখানে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রাখা আছে বলে তথ্য পায় পুলিশ। পরে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা হতে একইদিন বিকেল ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও আসামি মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে আটক করা হয়। গত ১৩ জুলাই চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

সম্প্রতি