কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিনের অদুরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে ফিরার পথে মিয়ানমারের পশ্চিমে সেন্টমার্টিনে পূর্বে বাংলাদেশের জলসীমা থেকে আরাকান আার্মির সদস্যরা স্পীডবোট দিয়ে ধাওয়া করে দুটি নৌকাসহ ৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় মাছ শিকার শেষে ফিরার সময় বাংলাদেশ মিয়ানমারের জলসীমার মধ্যখানে এ ঘটনা ঘটে। ট্রলার দুটি মালিক শাহপরীর দ্বীপ ডাংগর পাড়ার রাশেদ ও আব্দুল্লাহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর বলেন , শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম বোট ঘাট থেকে ১৭ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৩টার দিকে দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা মাছ শিকারের উদ্দেশে সাগরে যাত্রা করে। নৌকা দুটি শাহপরীর দ্বীপ ডাঙ্গর পাড়া এলাকার বাসিন্দার রাশেদ ও আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন। মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে এসে অস্ত্রের মুখে জেলেদের জিম্মি করে ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যায়।
আটককৃত জেলেরা হলেন, সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ডাঙ্গরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ জালালের ছেলে মো. রাশেদ (২৫), লালু ফকিরের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৩০), বশির আহমদের ছেলে মো. আনোয়ার (৩০), রশিদ আহমেদের ছেলে মো. ইব্রাহিম (১৯), সলিমুল্লাহর ছেলে মো. মঞ্জুর আলম (৩৫), ইলিয়াছের ছেলে মো. ওমর ফারুক (২০), কালা মিয়ার ছেলে মো. কবির আহমেদ (৫৫), কাশিমের ছেলে মো. জাফর আলম (২০) এবং আমানউল্লাহর ছেলে মো. জসিম (১৮)।
এ ঘটনায় আটক জেলেদের পরিবারে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হাতে ৯ জন বাংলাদেশি জেলের আটকের বিষয়টি শুনেছি। কী কারণে তাদের আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
বিজিবির তথ্য মতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনও ১৫০ জেলে আরাকান আর্মির হাতে রয়েছে। যার ফলে অনেক জেলে সাগরে মাছ শিকারে যেতে ভয় পাচ্ছে।