image
বিমানবন্দরে হাদির কফিনের সামনে বিভিন্ন দলের নেতারা -সংবাদ

কফিনবন্দী হয়ে দেশে ফিরলেন হাদি, শনিবার জানাজা

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে পৌঁছেছে। শুক্রবার,(১৯ ডিসেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তার মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে বিমানবন্দর থানার ওসি মোবারক হোসেন জানান। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।

হাদির মরদেহ রাখা হবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে

শনিবার বাদ জোহর মানিক মিয়া এভিনিউতে হবে জানাজা, ব্যাগ আনা যাবে না

কবি নজরুলের পাশে সমাহিত হবেন হাদি

শাহবাগে ওসমান হাদির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি পরিবারের

হাদির জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক

মৃত্যুতে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের শোক

হাদির লাশের সঙ্গে সিঙ্গাপুর থেকে আসেন তার বড় ভাই আবু বকর। বিমানবন্দরে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো হাদির কফিন বুঝে নিতে উপস্থিত ছিলেন হাদির বোন-জামাই আমিরুল ইসলাম এবং ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দরের ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে হাদির কফিনবাহী গাড়িটি যখন বেরিয়ে আসে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। আগেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়, মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার সদস্য। বিমানবন্দর থেকে হাদির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের হিমঘরে। শুক্রবার রাতে সেখানেই রাখা হবে কফিন।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হাদীর মরদেহ এখানে রাখার কথা বলার পর আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।’ ইনকিলাব মঞ্চ এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছে, ‘পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহীদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

শুক্রবার বিমানবন্দর থেকে হাদির কফিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেয়ার কথা থাকলেও তার বদলে শনিবারনেয়া হবে বলে ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির জানাজা হবে। এর আগে দুপুর আড়াইটায় জানাজার সময় জানানো হয়েছিল। হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন, তাদের কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানোও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মরদেহ রাখা হবে জাতীয়

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে

হাদির মরদেহ রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের হিমঘরে রাখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘হাদির মরদেহ এখানে রাখার ব্যাপারে আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা আমাদের বলার পর আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’ এটার পরিবর্তনও হতে পারে বলে আভাসও দিয়েছেন তিনি। হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।

জানাজায় ব্যাগ আনা যাবে না

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান বিন হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। শনিবার দুপুর ২টায় সেখানে তার জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। একই সঙ্গে জানাজার সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

কবি নজরুলের পাশে সমাহিত হবেন হাদি

পরিবারের ইচ্ছায় শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। শুক্রবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির ফেইসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে হিমাগারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে ওসমান হাদিকে রেখে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে অবস্থান নিবেন। ‘পরিবারের দাবির ভিত্তিতে ওসমান হাদিকে কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

### শাহবাগে হাদির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি পরিবারের

হাদির স্মৃতি রক্ষার্থে শাহবাগে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। হাদির মৃত্যুর খবর শুনে শুক্রবার সকালে তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি শহরের খাসমহলের বাসায় আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে আসেন। হাদির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। হাদির হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। হাদির বাসায় পরিবারের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে এখন তার ছোট বোন মাছুমা সুলতানা বিন হাদি ও ভগ্নিপতি আমির হোসেন হাওলাদার অবস্থান করছেন।

শুক্রবার সকালে আমির হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাদির উত্থান হয়েছিল শাহবাগে। সেই শাহবাগে যেনো একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়। ‘আর ওর যে কাব্যগ্রন্থ আছে সেগুলো যেনো পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ওর জীবনী যেনো স্কুলে কলেজে সংযুক্ত করা হয়। শরিফ ওসমান বিন হাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকার জন্য তিনি পরিচিতি পান।

হাদির জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক

হাদির মৃতুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে হাদির মৃত্যুর খবর আসার পর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্বে নেবে রাষ্ট্র। রাত সোয়া ১১টার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে আসেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই। ‘কিছুক্ষণ আগে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান আমাকে টেলিফোনে এই হৃদয়বিদারক সংবাদটি জানিয়েছেন।’ ইউনূস বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের এই অমর সৈনিককে মহান রাব্বুল আলামিন শহীদ হিসেবে কবুল করুন এই দোয়া করি।’

ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তার প্রয়ান দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যরা, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এ উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না। ‘আমি দেশের সব নাগরিকের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পেশাদারত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রাষ্ট্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি আবারও স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ওসমান হাদি ছিলেন পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের শত্রু। তার কণ্ঠ স্তব্ধ করে বিপ্লবীদের ভয় দেখানোর অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেয়া হবে। ‘ভয়, সন্ত্রাস কিংবা রক্তপাতের মাধ্যমে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। আমরা এখন গণতান্ত্রিক উত্তরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছি। শহীদ হাদি ছিলেন এই প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার একান্ত ইচ্ছা ছিল আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরবর্তী ধাপে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন,‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, তার এই মহতী ইচ্ছা অপূর্ণ রয়ে গেল। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায় আজ সমগ্র জাতির কাঁধে ন্যস্ত। আগামী দিনগুলোতে আমাদের সবাইকে ধৈর্য, সংযম, সাহস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের শত্রু ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী অপশক্তিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা যায়।

‘এই শোকের মুহূর্তে আসুন, আমরা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আদর্শ ও ত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করি। ধৈর্য ধারণ করি, অপপ্রচার ও গুজবে কান না দিই এবং যে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকি। ‘যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে অবিচল পদক্ষেপে এগিয়ে যাই। এটাই হবে শহীদ হাদির প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধা।’

হাদির মৃত্যুতে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের শোক

হাদি নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস। শুক্রবার নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা আলাদা শোকবার্তা প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের শোকবার্তায় বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তরুণ নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে এবং তার পরিবার, বন্ধু ও সমর্থকদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে।’ যুক্তরাজ্য হাই কমিশনের বার্তায় বলা হয়,‘তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ‘কঠিন এই সময়ে তার পরিবার, বন্ধু আর সমর্থকদের প্রতি আমরা আন্তারিক সমবেদনা জানাই।’ আর ইইউ দূতাবাস তাদের শোকবার্তায় বলেছে, ‘শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত এবং আমরা তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও শোকাহত সবার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে তার মৃত্যুর খবর আসে। শুক্রবার বাদ জুমা বাংলাদেশের সব মসজিদ এবং ধর্মীয় উপাসনালয়ে ওসমান হাদির আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করা হয়।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

» কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার

সম্প্রতি