ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
কুটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

চার বছর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে এবার রাষ্ট্রদূত করে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সেনেট। শুক্রবার,(১৯ ডিসেম্বর ২০২৫) লিংকডইনে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটের অনুমোদন পেয়ে আমি সম্মানিত এবং বাংলা?দে?শের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ‘অ্যাম্বাসেডর এক্সট্রাঅর্ডিনারি অ্যান্ড প্লেনিপটেনশিয়ারি’ হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। সব প্রক্রিয়া সেরে সেনেটের অনুমোদন পাওয়ায় এখন তার আনুষ্ঠানিক নিয়োগ চূড়ান্ত হল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ঢাকা মিশনে এবার তিনি পিটার হাসের উত্তরসূরি হচ্ছেন।

পিটার হাস ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তদশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে অবসরে যান হাস। বর্তমানে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। তিনি ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি এ দায়িত্ব নেন।

নতুন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টেনসেন ২০২২ সালের অগাস্ট থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক কৌশলগত প্রতিরোধ মিশনের আন্তর্জাতিক প্রভাব নিয়ে পরামর্শ দিতেন। দুই দশকের বেশি সময়ের কূটনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি ওয়াশিংটন ও বিদেশে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, রাষ্ট্রদূত হলে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক উন্নতি, বাণিজ্য বাধা ও বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণে কাজ করবেন তিনি।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার

সম্প্রতি