ডেঙ্গুতে আরও ১৯০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শনিবার,(২০ ডিসেম্বর ২০২৫) কেউ মারা যায়নি।
এ নিয়ে চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে শনিবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত হয়ে এক লাখ ১ হাজার ৫৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এসব মৃত্যুর মধ্যে শুধু রাজধানীতে মারা গেছেন ২৬০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৯ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ১১ শিশু, ৬-১০ বছর বয়সের ৫ শিশু, ১১-১৫ বছর বয়সের ১৭ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ২১ জন, ২১-২৫ বছরের ২৬ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ৩২ জন, ৩৬-৪০ বছরের ২৯ জন, ৪১-৪৫ বছর বয়সের ১৩ জন ও ৬৬-৭০ বছর বয়সের ১ জন রয়েছে।
রাজধানীতে ডেঙ্গুতে নিহতদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ১৯২ জন, ঢাকা উত্তরে ৬৮ জন।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভেক্টরবাহিত রোগ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের বিস্তার বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং আদ্রতার পরিবর্তন এ রোগগুলোর সংক্রমণ পরিধি ও মৌসুমি ধরন আমূল বদলে দিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার শহরগুলোতে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস মশার প্রজনন ও টিকে থাকার হার দ্রুত বাড়ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের আবহাওয়া ধরন বদলে গেছে, বর্ষাকাল দীর্ঘায়িত হয়েছে। এবার এডিস মশার উপদ্রব ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে পারে বলে কীটততত্ববিদরা আশঙ্কা করছেন।