সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৩০০ থেকে ৩৫০ অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ধানমন্ডি থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে ছায়ানটের প্রধান ব্যবস্থাপক দুলাল ঘোষ বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক গুলিবিদ্ধ শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাস্তায় নেমে আসেন বিক্ষুব্ধ অসংখ্য লোক। সেই ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই ছায়ানট ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয় গভীর রাতে।
ওই হামলার পর ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তনের ক্লাসসহ সব কার্যক্রম পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
সেদিন গভীর রাতে মিছিল করে এসে একটি দল হামলা করে ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন ছায়ানট ভবনের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে হামলাকারীরা সামনে যা পেয়েছেন তাই ভাঙচুর করেছেন। তবলা, হারমোনিয়াম, তানপুরা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তছনছ করা হয় বই, কাগজপত্র। সেগুলোতে আগুনও দেওয়া হয়।
নজরুল, লালন এবং অন্যান্য মনীষীদের ছবি ভাঙচুর করা হয়।
হামলাকারীরা সেখান থেকে বাদ্যযন্ত্রসহ নানা ধরনের সামগ্রী লুটপাটও করে।
রাত আড়াইটার দিকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ভবনটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তবে তার আগেই হামলাকারীদের তাণ্ডবে তছনছ হয়েছে বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানটি।
একই রাতে কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর এ আগুন দেওয়া হয়। ডেইলি স্টার ভবনে আগুনে আটকা পড়েন প্রায় কুড়ি জন সংবাদকর্মী। তাদের উদ্ধারেও বাঁধা দেওয়া হয়। বেশ কিছু সময় পর তাদের উদ্ধার করেন দমকল বাহিনীর সদস্যরা।