সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সংঘটিত বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী ৬ জন শান্তিরক্ষীর নামাজে জানাযা আজ ঢাকা সেনানিবাসস্থ কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে জানাযায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
জানাযার পূর্বে শাহাদাতবরণকারী ব্যক্তিদের জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করে শোনানো হয় এবং তাঁদের আত্মীরা বক্তব্য রাখেন।
এরপর জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে ইউনিসফা-এর চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসার মি. বরিস-এফ্রেম চৌমাভি বক্তব্য প্রদান করেন। জানাযা নামাজ শেষে তাঁদের প্রতি যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর ইউনিসফা-এর চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসার শাহাদাতবরণকারীদের নিকট আত্মীয়দের কাছে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের পতাকা হস্তান্তর করেন।
জানাযা শেষে শাহাদাতবরণকারীদের পরিবারের কাছে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক শোকবার্তা হস্তান্তর করা হয়।
এই ঘৃণ্য ড্রোন হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ইতোপূর্বে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে এবং ইউনিসফাসহ সকল মিশন এলাকায় ড্রোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ৬ জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি ৯ জন শান্তিরক্ষী আহত হন, যাদের মধ্যে ৮ জন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সারাদেশ: মহানন্দা নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ
সারাদেশ: হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সংস্কৃতি