image
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে না: প্রেস সচিব

বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রাজধানীর ফরেস সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে রেজিস্ট্রেশন ‘স্ক্র্যাপ’ করেছে, বাদ দিয়েছে। সে জন্য আওয়ামী লীগ এই ইলেকশনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।”

‘রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও উপেক্ষা নিয়ে’ প্রধান উপদেষ্টাকে পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতা চিঠি দিয়েছেন বলে ব্রিফিংয়ে সে বিষয়ে প্রেস সচিবের মন্তব্য জানতে চান এক সাংবাদিক।

জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ওই চিঠির বিষয়ে তিনি ‘অবগত নন’। এরপর আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। দলটির নেতা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ছিল অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের। ওই দাবিতে জোরালো আন্দোলনের মধ্যে গত ১২ মে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

অভ্যুত্থান দমাতে ‘গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্য ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারার আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এর অর্থ হল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ আপাতত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি বা প্রচার চালাতে পারবে না।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে দলটির নিবন্ধনও বাতিল হয়ে যায়।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

সম্প্রতি