image
বৃহস্পতিবার, ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবী আদালতে জবানবন্দি দেন -সংবাদ

হাদি হত্যা: ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীর জবানবন্দি

বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়াসহ তিনজন দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অন্য দুইজন হলেন- দাউদের শ্যালক (সামিয়ার) ওয়াহিদ আহমেদ ও বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা।

দুই দফায় ৯ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তারা ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনায়েদের আদালতে সামিয়া ও ওয়াহিদ এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দীনের আদালতে আসামি লিমার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার, (২৫ ডিসেম্বর ২০২৫) পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রোকনুজ্জামান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২০ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ তাদের দ্বিতীয় দফায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদির ওপর দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এরপর গত ২০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর প্রচারণা শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডের পাকা রাস্তার ওপর শরিফ ওসমান হাদির পিছন থেকে অনুসরণ করে আসা মোটরসাইকেলে থাকা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামি ওসমান হাদিকে চলন্ত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।

আহত শরিফ ওসমান হাদিকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার এম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

» কারাগারে বসেই ভোট: ব্যালটে থাকবে না প্রার্থীর নাম, ডাকযোগে পৌঁছাবে ইসিতে

» হাদি হত্যা: যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন সেই চালকের জবানবন্দি রেকর্ড

» ডেঙ্গু: আরও ৭১ জন হাসপাতালে ভর্তি

» টঙ্গীতে ‘জুলাই যোদ্ধা’ তাহরিমা গ্রেপ্তার

» পোস্টাল ভোট: ৭ লাখ ৩৯ হাজার নিবন্ধন

সম্প্রতি