image

ঢাকা-দিল্লী সম্পর্ক নিয়ে পাকিস্তানের ডনের সম্পাদকীয়

শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সবচেয়ে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত বাংলাদেশের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর। কারণ তাঁর সমর্থক ও সহানুভূতিশীলদের অভিযোগ, ভারতের ইন্ধনেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের সম্পাদকীয়তে এমনটাই বলা হয়েছে।

সম্পাদকীয়তে ডন বলেছে, চলতি সপ্তাহে হিন্দুত্ববাদী মব নয়া দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের হামলার চেষ্টা করে। এছাড়া ভারতের অন্যান্য শহরের বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতেও আক্রমণের খবর প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় হিন্দু পরিষদের (বিএইচপি) মতো ভারতের চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো ময়মনসিংহে এক হিন্দুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাকে ঢাকার মিশনগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।

ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, ভারতে থাকা মিশনগুলোতে এসব হামলার প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতও দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ভারতে নিযুক্ত তাঁর দেশের শীর্ষ কূটনীতিক হত্যার হুমকি পেয়েছেন। যদিও ভারত কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনাকে ছোট করে দেখার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মিশনগুলো লক্ষ্য করে উগ্রপন্থিদের মবগুলোকে।

সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা ওয়াজেদের শাসনামলে ঢাকার সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ছিল। যদিও গতবছর হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হয়। অনেকেই দিল্লিকে হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের সমর্থক হিসেবে দেখেন। গতবছর গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সেই মনোভাবকে দমাতে পারেনি। বরং ওসমান হাদির হত্যাকারী ভারতে পালিয়েছে—এই তথ্য সেই ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে।

ডনের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সম্ভবত উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের এ অবনতির মূল কারণ প্রতিবেশীদের প্রতি ভারতের আধিপত্যবাদী মনোভাব। দিল্লির উচিত হাদির হত্যাকারীকে ধরতে ঢাকাকে সাহায্য করা এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা। পাশাপাশি দিল্লির উচিত সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় ইন্ধন না দেওয়া। বাস্তবতা হলো দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে সব দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে। এবং কোনো দেশকেই আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারকারী হিসেবে কাজ করা উচিত না। একই সঙ্গে অন্যদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা এবং মাতব্বরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

» কারাগারে বসেই ভোট: ব্যালটে থাকবে না প্রার্থীর নাম, ডাকযোগে পৌঁছাবে ইসিতে

» হাদি হত্যা: যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন সেই চালকের জবানবন্দি রেকর্ড

» ডেঙ্গু: আরও ৭১ জন হাসপাতালে ভর্তি

» টঙ্গীতে ‘জুলাই যোদ্ধা’ তাহরিমা গ্রেপ্তার

» পোস্টাল ভোট: ৭ লাখ ৩৯ হাজার নিবন্ধন

সম্প্রতি