সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের মিশন, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার এসব বিদেশি মিশন তাদের ফেইসবুক পেইজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানায়।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের দপ্তর তাদের ফেইসবুক পোস্টে লিখেছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদে আমরা গভীর শোকাহত। শোকাবহ এই পরিস্থিতিতে আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবার এবং তার প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
এ সময়ে আমরা বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের ফেইসবুক পেইজের এক পোস্টে লিখেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি তার দেশের আধুনিক ইতিহাস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে।
ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাস তাদের ফেইসবুকে পেইজে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
চীন দূতাবাস তাদের ফেইসবুক পেইজে লিখেছে, ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমরাও শোকাহত। তার মৃত্যু জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার দৃঢ়তা ও নিষ্ঠার উত্তরাধিকার চিরকাল অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
ফ্রান্সের দূতাবাস তাদের ফেইসবুক পেইজে বলেছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রথম নারী সরকারপ্রধান খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস গভীর শোক প্রকাশ করছে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জাতীয় জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এই শোকের সময়ে ফ্রান্স তার পরিবার, তার দল এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের ফেইসবুক পেইজে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ইন্তেকালের সংবাদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
অত্যন্ত বেদনাদায়ক এই সময়ে তার পরিবার, স্বজন ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
জার্মানি দূতাবাসের ফেইসবুক পেইজে লেখা হয়েছে, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বেগম জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। গত কয়েক দশকে তার সঙ্গে জার্মানির সম্পৃক্ততার কথা স্মরণ করছে জার্মানি।
এর মধ্যে রয়েছে ২০০৪ সালে ঢাকায় জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশকা ফিশারের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ এবং ২০১১ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান উলফের সঙ্গে তার বৈঠক। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে জার্মানির জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।
কানাডা হাইকমিশন তাদের ফেইসবুকে লিখেছে, ‘খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তার পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কানাডা আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছে। এই কঠিন সময়ে তার পরিবার যেন শক্তি ও সান্ত¡না খুঁজে পায় সেই কামনা করেছে কানাডা।’
জাপান দূতাবাস তাদের ফেইসবুক পোস্টে লিখেছে, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবার, বিএনপির সদস্যরা এবং বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে খালেদা জিয়া দুইবার জাপান সফর করেন এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা জোরদারে মূল্যবান অবদান রাখেন। তার নিষ্ঠা ও উল্লেখযোগ্য অর্জনের জন্য আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার আত্মা চিরশান্তিতে বিশ্রাম নিক।’
অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন তাদের ফেইসবুক পেইজে লিখেছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা।’
ইরান দূতাবাস এক বার্তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সব নেতাকর্মীর প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছে।
এতে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন বিশিষ্ট জাতীয় নেতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং তার দীর্ঘ কর্মজীবনে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ও জনকল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় ছিল।