রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় ইন্তেকাল করেন। গত ২৩ নভেম্বর থেকে তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া ও ক্ষমা চেয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান।
বুধবার, (৩১ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত বিপুল জনতার উদ্দেশে বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘আমার মা মরহুম বেগম খালেদা জিয়া জীবত থাকা অবস্থায় কারও কাছে থেকে ঋণ নিয়ে থাকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। জীবদ্দশায় আচরণ কিংবা কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে মায়ের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আল্লাহ তাকে বেহেশত দান করেন।’
জানাজাকে ঘিরে জাতীয় সংসদের মূল মাঠ ও আশপাশের পুরো এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। একদিকে বিজয় সরণি ও আগারগাঁও, অন্যদিকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে খালেদা জিয়াকে দাফন করা হয়।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ গুলশানে নেয়া হয়। শুরুতে ‘ফিরোজায়’ নেয়ার কথা থাকলেও পরে মরদেহ লাল-সবুজ পতাকা মোড়ানো গাড়িতে করে তারেক রহমানের গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় নেয়া হয়। সেখানে বেলা ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত পরিবারের সদস্য ও বিএনপির নেতাকর্মীরা শেষ শ্রদ্ধা জানান।
জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিকও জানাজায় অংশ নেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি প্রথম সারিতে ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্য ও জাতীয় নেতরা।