alt

‘সিনোফার্মের টিকা কিনতে চীনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১২ জুন ২০২১

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সিনোফার্মের টিকা কিনতে চীনের সঙ্গে ক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে । শনিবার (১২ জুন) দুপুরে করোনাযুদ্ধে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ারের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‌‘এর আগে ভ্যাকসিনের দাম প্রকাশ হওয়ায় আমাদের সমস্যা হয়েছে। এজন্য চুক্তি অনুযায়ী কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।’

বাংলাদেশ সরকার গত ২৯ এপ্রিল সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ভারত সেরাম ইনস্টিটিউটের উত্পাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন রপ্তানি স্থগিত করলে এই সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।

এরপর, গত ২৯ মে অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির সভায় সিনোফার্মের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কেনার সিদ্ধান্ত হয়।

স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কোন জায়গায় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এরকম কোনো তথ্য কেউ দেখাতে পারবে? কেউ এমন তথ্য দিতে পারবে না বরং অন্য অনেক খাতের কোটি টাকা কানাডায় চলে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টিআইবি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে। এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের সব দেশ বা সংস্থা প্রশংসা করেছে বাংলাদেশের। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

তিনি বলেন, টিআইবি ঘরে বসে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। অথচ করোনা শনাক্তে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে টিআইবি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় আগামী দিনের জন্য ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরে সংস্থাটি।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রমে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, লকডাউন, টিকা ক্রয় ও বিতরণে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ছিল না।

জাহিদ মালেক বলেন, তারা (টিআইবি) বলছে রোগীদের জন্য আমরা কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করিনি। অথচ সারাদেশে ১৫ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্য। যে কারণে ভারতের মতো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এখনো অনেক দেশ যথাযথভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও লকডাউন চলমান।

তিনি আরও বলেন, টিকা ক্রয়ে সততা ছিল না বলে দাবি করছে টিআইবি। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে স্পষ্ট চুক্তির মাধ্যমে টিকা ক্রয় করেছি। টাকাতে টিকা ক্রয় করা হয়েছে, এজন্য তাদের কত টাকা দিতে হবে সব বিস্তারিত ছিল।

মন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে আইসিইউ বাড়াতে পারিনি বলে টিআইবি যে দাবি করছে এটা সঠিক নয়। গত বছর যেখানে তিন থেকে চারশোটি আইসিইউ ছিল, সেখানে এখন ১ হাজারের বেশি আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র জনগণের কাছে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। করোনার জন্য যে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, তার ব্যবহার করা হয়নি। অথচ আমরা সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। এমন মিথ্যাচার আমরা গ্রহণ করি না।

উপস্থাপনায় অসচ্ছল ছিল এমন অভিযোগ করলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, আমাদের টিকা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ছিল। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করোনায় সামনের সারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে। অনেক অভিযোগ করা হয়েছে যা মোটেও গ্রহণযোগ্য না।

বসুন্ধরার আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওটা চালু হলেও ছয় মাসে ছয়টা রোগী হয়েছে। এর পেছনে লাখ লাখ টাকা ভাড়া দেওয়ার কারণে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আইসোলেশন সেন্টার থেকে সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অধিদফতরের ড্রাইভার থেকে শুরু করে যারা অন্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি ভুয়া রিপোর্টের দেওয়ায় সাবরিনা এবং সাহিদদের গ্রেফতার করে আদালতে দেওয়া হয়েছে। সনদ দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ছবি

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির বৈঠক

ছবি

ট্রাইব্যুনাল: নাহিদের সাক্ষ্য বুধবার, মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা: বাংলাদেশ-ভারতের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আন্তঃনির্ভতা নতুন সুযোগে রূপান্তরের সম্ভাবনা

ছবি

ধর্মীয় উৎসবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নয়, সমান নাগরিক অধিকারের বাংলাদেশ চান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য বুধবার

ছবি

জুলাই আন্দোলন: ইনু-নূরসহ ৯ আসামির ভার্চুয়াল হাজিরা

ছবি

বাংলাদেশে উষ্ণায়নের প্রভাব: কর্মদিবস নষ্ট, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য সচিব

ছবি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে অঙ্গীকার ইউনূসের

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি : মাইকেল মিলার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

ছবি

সেপ্টেম্বরের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ছবি

দ্বিমতের কোনো জায়গা নাই, এই সুযোগ আর আসবে না: ইউনূস

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত সময়ের আগেই

ছবি

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোতে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাত: ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিদ্ধান্ত

ছবি

টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি: দেড় মাসে নিবন্ধন প্রায় ৮৯ লাখ শিশু

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যোগদান

ছবি

মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

আসামের ভূমিকম্পে কাঁপলো বাংলাদেশ

ছবি

নারীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২০ বছর করার ভাবনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সাগরে লঘুচাপ, ছয় বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই: উপদেষ্টা

ছবি

মরমী সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭ হাজার ছাড়াল, চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ১৪৭

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিআইজি ও মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম কারাগারে

ছবি

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশে নতুন নিয়ম

ছবি

লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজের গাড়িতে ছুঁড়ে মারা হলে ডিম

tab

‘সিনোফার্মের টিকা কিনতে চীনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১২ জুন ২০২১

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সিনোফার্মের টিকা কিনতে চীনের সঙ্গে ক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে । শনিবার (১২ জুন) দুপুরে করোনাযুদ্ধে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ারের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‌‘এর আগে ভ্যাকসিনের দাম প্রকাশ হওয়ায় আমাদের সমস্যা হয়েছে। এজন্য চুক্তি অনুযায়ী কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।’

বাংলাদেশ সরকার গত ২৯ এপ্রিল সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ভারত সেরাম ইনস্টিটিউটের উত্পাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন রপ্তানি স্থগিত করলে এই সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।

এরপর, গত ২৯ মে অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির সভায় সিনোফার্মের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কেনার সিদ্ধান্ত হয়।

স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কোন জায়গায় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে বা দুর্নীতি হয়েছে এরকম কোনো তথ্য কেউ দেখাতে পারবে? কেউ এমন তথ্য দিতে পারবে না বরং অন্য অনেক খাতের কোটি টাকা কানাডায় চলে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে টিআইবি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে। এটা খুবই দুঃখজনক। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের সব দেশ বা সংস্থা প্রশংসা করেছে বাংলাদেশের। বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে।

তিনি বলেন, টিআইবি ঘরে বসে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আমরা করোনা শনাক্ত করতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এমন মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছে। অথচ করোনা শনাক্তে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে কোনো দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সুশাসনে ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে টিআইবি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় আগামী দিনের জন্য ১৯টি সুপারিশ তুলে ধরে সংস্থাটি।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, করোনা প্রতিরোধের কার্যক্রমে রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, লকডাউন, টিকা ক্রয় ও বিতরণে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং প্রয়োজনীয় সমন্বয় ছিল না।

জাহিদ মালেক বলেন, তারা (টিআইবি) বলছে রোগীদের জন্য আমরা কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করিনি। অথচ সারাদেশে ১৫ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্য। যে কারণে ভারতের মতো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এখনো অনেক দেশ যথাযথভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও লকডাউন চলমান।

তিনি আরও বলেন, টিকা ক্রয়ে সততা ছিল না বলে দাবি করছে টিআইবি। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে স্পষ্ট চুক্তির মাধ্যমে টিকা ক্রয় করেছি। টাকাতে টিকা ক্রয় করা হয়েছে, এজন্য তাদের কত টাকা দিতে হবে সব বিস্তারিত ছিল।

মন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে আইসিইউ বাড়াতে পারিনি বলে টিআইবি যে দাবি করছে এটা সঠিক নয়। গত বছর যেখানে তিন থেকে চারশোটি আইসিইউ ছিল, সেখানে এখন ১ হাজারের বেশি আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র জনগণের কাছে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। করোনার জন্য যে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, তার ব্যবহার করা হয়নি। অথচ আমরা সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছি। এমন মিথ্যাচার আমরা গ্রহণ করি না।

উপস্থাপনায় অসচ্ছল ছিল এমন অভিযোগ করলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, আমাদের টিকা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ছিল। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করোনায় সামনের সারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হয়েছে। অনেক অভিযোগ করা হয়েছে যা মোটেও গ্রহণযোগ্য না।

বসুন্ধরার আইসোলেশন সেন্টার নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওটা চালু হলেও ছয় মাসে ছয়টা রোগী হয়েছে। এর পেছনে লাখ লাখ টাকা ভাড়া দেওয়ার কারণে সবার সঙ্গে আলোচনা করে আইসোলেশন সেন্টার থেকে সরঞ্জাম বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অধিদফতরের ড্রাইভার থেকে শুরু করে যারা অন্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনকি ভুয়া রিপোর্টের দেওয়ায় সাবরিনা এবং সাহিদদের গ্রেফতার করে আদালতে দেওয়া হয়েছে। সনদ দেওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

back to top