চীনা টিকার দাম প্রকাশ করায় সেখান থেকে টিকা পেতে দেরি হচ্ছে বলে দাবী করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তার ভাষ্য এটা না হলে আগেই টিকা পাওয়া যেত।

মন্ত্রী বলেছেন বিভিন্ন দেশ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আনার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি জানান যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভ্যাক্সের ১০ লাখ টিকা আসবে। কিন্তু টিকা কবে আসবে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন। আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাশিয়া থেকেও টিকা আনার বিষয়ে আলাপ–আলোচনা চলছে জানিয়েঠেল মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজও আলোচনা আছে। আজও জানা যেতে পারে। টিকা কিনে আনার পাশাপাশি দেশে উৎপাদন নিয়েও কাজ চলছে।’

আজ বুধবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন জনসমক্ষে টিকার দাম বলে দেওয়ায় চীন একটু নারাজ হয়েছে। তবে চীন থেকে টিকা আমদানি সংক্রান্ত কাগজপত্র সই করে চীনে পাঠানো হয়েছে। ‘এখন তারা একটি সময়সীমা জানাবে যে কবে কত টিকা দেবে। এখনো জানায়নি,’ বলেন মন্ত্রী।

এখন এই টিকা পেতে কত দেরি হবে তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে আশা করছেন এ মাসের মধ্যেই জানাবে চীন।

চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রস্তাব সম্প্রতি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের পর এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আকতার প্রতি ডোজ টিকার দাম কত হচ্ছে, সেটিও জানিয়েছিলেন। এই দাম জানানোর পর টিকা নিয়ে কিছুটি জটিলতা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

এই আলোচনার মধ্যেই ১ জুন শাহিদা আকতারকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে অন্য আদেশের মতো জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ বা সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের দেড় কোটি টিকা কিনতে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় প্রথম চালানে সিনোফার্মের ৫০ লাখ টিকা জুনে দেশে আসার কথা। তিন মাসে সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি টিকা কিনতে দুই পক্ষের মধ্যে তিনটি চুক্তি সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।