alt

ইন্টারনেটে উগ্রবাদের প্রচার ঠেকাতে অংশীজনদের এক হয়ে কাজ করতে হবে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২১ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শাহ আলম বলেছেন, ‘ইন্টারনেটের অপব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সহিংস উগ্র মতবাদ ছড়ানো হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনের প্রয়োগ বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া গেলে উগ্রবাদ প্রতিরোধ সম্ভব। এ বিষয়ে অংশীজনরা একসঙ্গে বসে নিয়মিত মতবিনিময় করলে করণীয় নির্ধারণ করা সহজ হবে। গতকাল ২০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন) আয়োজিত ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাইবার সচেতনতার গুরুত্ব’ এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি মো. শাহ আলম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা আরিফ সোহেল। সঞ্চালক হিসাবে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ। এতে পৃষ্ঠপোষকতা করে বেসরকারি সংস্থা রূপান্তর।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। প্যানেল আলোচক ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ও বেসরকারি সংস্থা আপন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এম. আফতাবুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রূপান্তরের লিয়াজু ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ২৯ জন ‘ট্রুথ অ্যাম্বাসেডর’কে সচেতনতামূলক কর্মসূচির জন্য পুরস্কৃত করা হয়।

ডিআইজি মো. শাহ আলম বলেন, ইন্টারনেট পুরোপুরি উন্মুক্ত জগৎ। এখানে ব্যবহারকারীর প্রতিটা কাজ নজরদারির আওতায় থাকে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না, যা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা তৈরিতে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারে ক্ষতিকর দিকগুলোর বিষয়ে যুব সমাজকে সচেতন করতে হবে। সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে পারিবারিকভাবে মূল্যবোধ তৈরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমাজের প্রত্যেক স্তরে যতো বেশি আলোচনা করা যাবে ততো সহিংস উগ্রবাদের বিস্তার ঠেকানো সহজ হবে।

খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, গত ২০ বছরে সংগঠিত অপরাধমূলক কর্মকান্ডের পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সহিংস উগ্রবাদ অন্যতম সমস্যা। শুধু পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সহিংস উগ্রবাদ ঠেকানো সম্ভব নয়। এজন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এুরসালিননোমানী বলেন, ইন্টারনেট এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মৌলিক অংশ হয়ে গেছে। কনটেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অভিভাবকরা বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে ইন্টারনেটে সন্তানের নিয়মিত কার্যক্রম এবং বন্ধু নির্বাচনের বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত।

ইমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেটে সহিংস উগ্র আচরণ ঠেকাতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকরা এ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারে সহযোগিতা করলে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। অভিভাবকদের প্রতি সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী বলেন, ইন্টারনেটে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে সমাজে সহিংসতা ছড়ানো হচ্ছে। কোনো কিছু শুনেই তা প্রচার করাই মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই ইন্টারনেটে কিছু দেখা মাত্রই তা অন্যদের মধ্যে ছড়ানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভিন্ন মতদর্শের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখানো যাবে না। সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

এম. আফতাবুজ্জামান বলেন, তরুণদের সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা ইন্টারনেটকেই দীর্ঘ সময় ব্যবহার করছে এবং সচেতনতার অভাবে তারা উগ্রবাদে জড়ানোর ঝুঁকিতে আছে। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা এক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল দিতে পারে।

ছবি

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি

ছবি

রঙিন হবে গণভোটের ব্যালট, সাদাকালো সংসদেরটি

ছবি

চাপ দিলে নাম প্রকাশ করে দেব: দুদক চেয়ারম্যান

ছবি

শব্দ দূষণে সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড, গেজেট

ছবি

নেতৃত্বের দায় না থাকলে বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়: প্রসিকিউটর

শুধু আ’লীগ নেতা হওয়ার কারণে বিচার না করার আর্জি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৬৩৩ জন ভর্তি, মৃত্যু ১

ছবি

নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিরপেক্ষ ভূমিকা চায় সিইসি

ছবি

‘প্লট দুর্নীতি’: টিউলিপের রায় ১ ডিসেম্বর

রোকেয়ায় রেজিস্ট্রার: নিয়ম ভেঙে নিয়োগ, অনিয়মেই বাড়লো মেয়াদ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের রায় ৪ ডিসেম্বর

ছবি

তাজরীন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর: ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও বিচারের দাবি স্বজনদের

ছবি

৪১ শতাংশ আইসিইউ রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না

ছবি

সাংবাদিকবান্ধব নয় দেশের আইন, যারাই ক্ষমতায় যান ‘নিবর্তনের মানসিকতা পোষণ করেন’

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৭০৫ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ২

ছবি

অতিরিক্ত সংস্কার করতে গিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো দুর্বল করা যাবে না: আসিফ নজরুল

ছবি

খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে: মেডিকেল বোর্ড

ছবি

সিনহা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ওসি প্রদীপ

ছবি

ভূমিকম্প: ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত: নাবিকরা চেলেঞ্জ মোকাবিলা ও সমুদ্রসীমা রক্ষা করবে

ছবি

সংবাদমাধ্যম থেকে বিচারকদের ‘অবমাননাকর’ ছবি সরানোর আদেশ

ছবি

জনগণের আস্থা ফেরাতে নির্বাচনী প্রচারণার দিকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান কমনওয়েলথ মহাসচিবের

ছবি

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

ছবি

ভূমিকম্পের সময় করণীয়, জানালো দমকল বিভাগ

ছবি

পোস্টাল ভোটিং: প্রথম পর্বে নিবন্ধনের সময় বাড়লো

প্লট দুর্নীতি মামলায় হাসিনা পরিবারের রায় আগামী বৃহস্পতিবার

ছবি

হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আবার চিঠি দেয়া হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সম্ভাবনা নেই: উপদেষ্টা

বৈচিত্র্য বাধাগ্রস্ত হলে ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান: সেনাদের ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদনে ট্রাইব্যুনাল

ছবি

ঘুমধুম সীমান্তে মায়ানমার সেনা ও বিজিপির ৫ সদস্য আটক

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৮ জনের মৃত্যু

ছবি

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে আবারও ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

টিএফআই ও জেআইসি নির্যাতন মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিয়োগ

ছবি

প্লট দুর্নীতি মামলায় হাসিনা পরিবারসহ আসামিদের রায় বৃহস্পতিবার

বিমানবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা

tab

ইন্টারনেটে উগ্রবাদের প্রচার ঠেকাতে অংশীজনদের এক হয়ে কাজ করতে হবে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২১ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শাহ আলম বলেছেন, ‘ইন্টারনেটের অপব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সহিংস উগ্র মতবাদ ছড়ানো হচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনের প্রয়োগ বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া গেলে উগ্রবাদ প্রতিরোধ সম্ভব। এ বিষয়ে অংশীজনরা একসঙ্গে বসে নিয়মিত মতবিনিময় করলে করণীয় নির্ধারণ করা সহজ হবে। গতকাল ২০ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন) আয়োজিত ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাইবার সচেতনতার গুরুত্ব’ এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি মো. শাহ আলম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা আরিফ সোহেল। সঞ্চালক হিসাবে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ। এতে পৃষ্ঠপোষকতা করে বেসরকারি সংস্থা রূপান্তর।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। প্যানেল আলোচক ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী ও বেসরকারি সংস্থা আপন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এম. আফতাবুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রূপান্তরের লিয়াজু ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ২৯ জন ‘ট্রুথ অ্যাম্বাসেডর’কে সচেতনতামূলক কর্মসূচির জন্য পুরস্কৃত করা হয়।

ডিআইজি মো. শাহ আলম বলেন, ইন্টারনেট পুরোপুরি উন্মুক্ত জগৎ। এখানে ব্যবহারকারীর প্রতিটা কাজ নজরদারির আওতায় থাকে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না, যা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা তৈরিতে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারে ক্ষতিকর দিকগুলোর বিষয়ে যুব সমাজকে সচেতন করতে হবে। সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে পারিবারিকভাবে মূল্যবোধ তৈরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমাজের প্রত্যেক স্তরে যতো বেশি আলোচনা করা যাবে ততো সহিংস উগ্রবাদের বিস্তার ঠেকানো সহজ হবে।

খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, গত ২০ বছরে সংগঠিত অপরাধমূলক কর্মকান্ডের পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সহিংস উগ্রবাদ অন্যতম সমস্যা। শুধু পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সহিংস উগ্রবাদ ঠেকানো সম্ভব নয়। এজন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এুরসালিননোমানী বলেন, ইন্টারনেট এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মৌলিক অংশ হয়ে গেছে। কনটেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অভিভাবকরা বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে ইন্টারনেটে সন্তানের নিয়মিত কার্যক্রম এবং বন্ধু নির্বাচনের বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত।

ইমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেটে সহিংস উগ্র আচরণ ঠেকাতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকরা এ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারে সহযোগিতা করলে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। অভিভাবকদের প্রতি সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী বলেন, ইন্টারনেটে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে সমাজে সহিংসতা ছড়ানো হচ্ছে। কোনো কিছু শুনেই তা প্রচার করাই মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই ইন্টারনেটে কিছু দেখা মাত্রই তা অন্যদের মধ্যে ছড়ানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভিন্ন মতদর্শের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখানো যাবে না। সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

এম. আফতাবুজ্জামান বলেন, তরুণদের সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। ফলে তারা ইন্টারনেটকেই দীর্ঘ সময় ব্যবহার করছে এবং সচেতনতার অভাবে তারা উগ্রবাদে জড়ানোর ঝুঁকিতে আছে। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা এক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল দিতে পারে।

back to top