alt

‘সিইসি ও ইসি নিয়োগ বিল’ সংসদে উঠছে আজ

তাড়াহুড়ার অইনে কল্যাণ হবে না : সন্তব্য শামসুল হুদার

ফয়েজ আহমেদ তুষার : রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্চ কমিটি রেখেই যেহেতু আইন করা হচ্ছে, তাই সার্চ কমিটিতে সংসদের বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের যুক্ত করা উচিত। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন; সুশীল সমাজের এমন নাগরিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হলে একটি ভালো আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্চ কমিটি রেখেই যেহেতু আইন করা হচ্ছে, তাই সার্চ কমিটিতে সংসদের বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের যুক্ত করা উচিত। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন; সুশীল সমাজের এমন নাগরিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হলে একটি ভালো আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে।

সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হলেও তা একটি আইনের অধীনে হবে বলে উল্লেখ করা আছে। গত ৫০ বছরেও সেই আইন না হওয়ায় বরাবরই নির্বাচন কমিশন গঠনে দেখা দেয় বিতর্ক। তা এড়াতে গত দুই বার সার্চ কমিটি গঠন করে নিয়োগের একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হলেও বিতর্ক থামেনি।

টানা পাঁচ দিন বিরতির পর একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক আজ বেলা ১১টায় বসছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আজই বিলটি সংসদে উত্থাপন করবেন। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। কমিটির রিপোর্টের ওপর সংসদে আলোচনা করে ভোটভুটির মাধ্যমে বিলটি পাস করতে হবে।

চলতি অধিবেশনেই এটি পাস হবে এবং নতুন আইনের অধীনেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী। নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। এ লক্ষ্যে মতামত নিতে রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন। সংলাপে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে নতুন ইসি গঠনের পক্ষে মত দেয়। ‘সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটির প্রয়োজন নেই’- বেশ কয়েকটি দল এমন মত দিলেও আইনটি কেমন হওয়া উচিত এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোন রূপরেখা কোন দলই রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়নি।

গত ১৭ জানুয়ারি ইসি গঠন সংক্রান্ত আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের আমলে বিগত দুই মেয়াদে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করা হয়েছে। আইনে সার্চ কমিটি এবং গত দুই কমিশনের সদস্যদের বৈধতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এই আইন সংসদে পাস হলে ইতিপূর্বে গঠিত সার্চ কমিটি এবং তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বৈধ হবে এবং উক্ত বিষয়ে আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতিকে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়, তাই ইসি গঠনে ক্ষমতাসীনদের পছন্দের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সুবিধামতো ধারা যুক্ত করে আইনটি পাস করতে আওয়ামী লীগের কোন অসুবিধা হবে না।

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক ফিরলে সংসদের ক্ষমতাকে খর্ব করবে কিনা, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

ছবি

১২ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার মৃত্যু

ছবি

সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়েরও অনুমোদন লাগবে

ছবি

হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে ধোঁয়াশা, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ: আইএলওর তিনটি কনভেনশনে সই করল অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বাধ্যতামূলক ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ

ছবি

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, বললেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

ছবি

এক দিনে ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু, চলতি বছর প্রাণহানি ২৫৫

ছবি

কোনো চাপের কাছে ইসি নতি স্বীকার করবে না: সিইসি নাসির

ছবি

আত্মসমর্পণকারী সেনা কর্মকর্তারা নির্দোষ, অপরাধীরা ভারতে পালিয়েছেন: আইনজীবী

ছবি

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

ছবি

নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার রোধে সহযোগিতা চাইলেন সিইসি

ছবি

১০ চুক্তি বাতিলের বিষয়ে জানেনা ভারতীয় হাইকমিশন

ছবি

ইউনূসকে চিঠি দিয়ে ‘উদ্বেগ’: একগুচ্ছ আহ্বান আন্তর্জাতিক ৬ মানবাধিকার সংস্থার

ছবি

‘টার্গেট’ করে হত্যার অভিযোগ সঠিক নয়: যুক্তিতর্কে রাষ্ট্রনিযুক্ত হাসিনার আইনজীবী

ছবি

ভারতের সঙ্গে চুক্তি ‘বাতিলের তালিকা সঠিক নয়’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

অভিযুক্ত ২৫ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে বুধবার হাজির না হলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি: প্রসিকিউশন

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ৮১৪ জন

ছবি

জোবায়েদ হত্যা: ফাঁসির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি

শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত, প্রধান উপদেষ্টার বিবৃতি

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ছে ১৫ শতাংশ, কার্যকর দুই ধাপে

ছবি

জবির জোবায়েদ হত্যা: ৪১ ঘন্টা পর মামলা, ৩জন গ্রেপ্তার

ছবি

২৫ সেপ্টেম্বর থেকে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী ও তার প্রেমিক: পুলিশ

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান: ‘হত্যা’ মামলার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

ছবি

নতুন হ্যাকার গ্রুপ ‘মিস্টিরিয়াস এলিফ্যান্ট’: টার্গেটে বাংলাদেশও

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে মৃত্যু ৪, হাসপাতালে ভর্তি ৯৪২ জন

ছবি

ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার মানে ‘হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে আসামিকে বলা সাঁতার কাটো’: রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

ছবি

নির্বাচনের ‘সহায়ক পরিবেশ আছে’, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ‘উদ্বেগ নেই’: ইসি সচিব

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

জুলাই যোদ্ধারা আইডি কার্ড ও আইনি সুরক্ষা চায়, বৈঠকে গুরুত্বারোপ

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে যুক্তিতর্ক শুরু করলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী

ছবি

নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমাবেশ, একশজনের অনশন চলছে

বাংলাদেশে একদিনে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু; চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ২৪৫

tab

‘সিইসি ও ইসি নিয়োগ বিল’ সংসদে উঠছে আজ

তাড়াহুড়ার অইনে কল্যাণ হবে না : সন্তব্য শামসুল হুদার

ফয়েজ আহমেদ তুষার

রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্চ কমিটি রেখেই যেহেতু আইন করা হচ্ছে, তাই সার্চ কমিটিতে সংসদের বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের যুক্ত করা উচিত। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন; সুশীল সমাজের এমন নাগরিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হলে একটি ভালো আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ সংসদে উঠছে আজ; যা চলতি অধিবেশনেই পাস হবে। এই আইনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, যাদের অধীনে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি গঠন আইন ক্ষমতাসীনদের পক্ষে যাচ্ছে, বিএনপিসহ অনেকগুলো দল এ অভিযোগ তুলেছে। তবে জাতীয় সংসদে ‘না ভোট’ দিয়ে আইনটির পাস ঠেকানোর মতো প্রতিনিধিত্ব দলগুলোর নেই। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, খসড়া আইনটিতে নানা অপূর্ণতা রয়েছে যা সংশোধন করা জরুরি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই আইনটি প্রণয়নে তাড়াহুড়া করেছে বলে মনে করছেন সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে ত্রুটিপূর্ণ আইন প্রণয়ন কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। খসড়ায় অনেক অপূর্ণতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটির অনেক সংশোধন করতে হবে।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্চ কমিটি রেখেই যেহেতু আইন করা হচ্ছে, তাই সার্চ কমিটিতে সংসদের বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের যুক্ত করা উচিত। তারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে কাজ করেন; সুশীল সমাজের এমন নাগরিক, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হলে একটি ভালো আইন প্রণয়ন সম্ভব হবে।

সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হলেও তা একটি আইনের অধীনে হবে বলে উল্লেখ করা আছে। গত ৫০ বছরেও সেই আইন না হওয়ায় বরাবরই নির্বাচন কমিশন গঠনে দেখা দেয় বিতর্ক। তা এড়াতে গত দুই বার সার্চ কমিটি গঠন করে নিয়োগের একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হলেও বিতর্ক থামেনি।

টানা পাঁচ দিন বিরতির পর একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক আজ বেলা ১১টায় বসছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আজই বিলটি সংসদে উত্থাপন করবেন। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। কমিটির রিপোর্টের ওপর সংসদে আলোচনা করে ভোটভুটির মাধ্যমে বিলটি পাস করতে হবে।

চলতি অধিবেশনেই এটি পাস হবে এবং নতুন আইনের অধীনেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী। নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। এ লক্ষ্যে মতামত নিতে রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন। সংলাপে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে নতুন ইসি গঠনের পক্ষে মত দেয়। ‘সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটির প্রয়োজন নেই’- বেশ কয়েকটি দল এমন মত দিলেও আইনটি কেমন হওয়া উচিত এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোন রূপরেখা কোন দলই রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়নি।

গত ১৭ জানুয়ারি ইসি গঠন সংক্রান্ত আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের আমলে বিগত দুই মেয়াদে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করা হয়েছে। আইনে সার্চ কমিটি এবং গত দুই কমিশনের সদস্যদের বৈধতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এই আইন সংসদে পাস হলে ইতিপূর্বে গঠিত সার্চ কমিটি এবং তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বৈধ হবে এবং উক্ত বিষয়ে আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

নির্বাচনী বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতিকে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়, তাই ইসি গঠনে ক্ষমতাসীনদের পছন্দের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সুবিধামতো ধারা যুক্ত করে আইনটি পাস করতে আওয়ামী লীগের কোন অসুবিধা হবে না।

back to top