বিটিসিএলের টেলিফোন ও ইন্টারনেটে প্রিপেইড সিষ্টেম চাল হচ্ছে

আগামী মার্চ মাসে এ প্রক্রিয়া চালু-এমডি

রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
বাকী বিল্লাহ

বিটিসিএলের (সাবেক টিএন্ডটি) টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবায় প্রিপেইড সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিটিসিএলের প্রস্তুতি চলছে। আগামী মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ প্রক্রিয়া চালু করা হবে। বিটিসিএলের এমডি ডঃ রফিকুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিটিসিএলের হেড অফিস থেকে জানা গেছে, সারাদেশে বিটিসিএলের এখন টেলিফোনের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। এ সব টেলিফোনে ডিজিটাল যুগেও এনালগ সিস্টেমে বিল জমা দিতে হচ্ছে। বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ বিলের কাগজ ঠিকানা মত পাঠানোর পর গ্রাহক বিল হাতে পাইলে ব্যাংকে গিয়ে বিল পরিশোধ করেন। এতে প্রায় সময় সমস্যা হচ্ছে। আবার নানা কারনে বিল মাসের পর মাস বকেয়া পড়ে থাকে। অতিরিক্ত বিল বকেয়া পড়ে যাওয়ার কারনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। তখন আবার দ্রæত বিল পরিশোধ করে তদবির করতে হয়। এ নিয়ে গ্রাহকরা প্রতিনিয়ত নানা মুখী সমস্যায়ও পড়েন।

আবার অনেক সময় ফোন না করলেও মাসিক লাইন রেণ্টসহ বিল পরিশোধ করতে হয়। এ সব জটিলতা ও সেবার মান আরও বাড়াতে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার মধ্যে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রথমে রাজধানীর বিটিসিএলের ফোন নম্বর গুলো প্রিপেইড চালুর পদক্ষেপ নেয়া হবে। যে সব গ্রাহক চাইবেন তার ল্যান্ড ফোন প্রিপেইড সিস্টেম চালু করবেন তাদের ফোন নম্বর ওই সিস্টেমে চালু করা হবে। আর কেউ ইচ্ছা করলে পোস্ট পেইডের মত চালু রাখতে পারবেন।

প্রিপেইড সিষ্টেমের বিল বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। পিপ্রেইড সিস্টেম চালু করলে গ্রাহক প্রিপেইড মোবাইলের মত বিল পরিশোধ করবেন। টাকা না থাকলে ফোন করা যাবে না। টাকা থাকলে ফোন সচল থাকবে। প্রথমে ঢাকা হলেও পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ প্রক্রিয়া চালু করা হবে।

বিটিসিএলের লান্ড ফোন ছাড়াও ইণ্টারনেট সেবাও প্রিপেইড সিষ্টেমে চালু করা হবে। তবে ইণ্টারনেট সেবা দুই ধরনের। তার মধ্যে বিটিসিএল সরসরি গ্রাহককে সেব দেয়। আর কিছু ইণ্টারনেট সেবা কোম্পানীর মাধ্যমে গ্রাহককে দেয়। তাও প্রিপেইডের আওতায় আনা হবে।

বিটিসিএলের একজন কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ টেলিফোন সেবার মান আরও আধূনিক ও গ্রাহকদেরকে সন্তুষ্টি করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় বিটিসিএলের এমডি সংবাদকে বলেন,এই সেবার কার্যক্রম চালু হলে গ্রাহকদের অনেক সুবিধা হবে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর আরও তথ্য তুলে ধরা হবে।

অপর দিকে সরকারি ও বেসরকারি কয়েকজন গ্রাহক সংবাদকে জানান, মোবাইল যুগে বিটিসিএলের সে স্বর্ণযুগ নেই। অনেকেই টেলিফোন ব্যবহার করে না। আবার কারো বাসায় সংযোগ থাকলেও অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। আগে মানুষ বিটিসিএলের ফোন পেতে অপেক্ষা করত। সংযোগ দিতে লাইনম্যানদের পিছু ঘুরত। অনেক ক্ষেত্রে খারাপ আচরণ করত। এখন সেই অবস্থা আর নেই। এখনো সেবার মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

রাস্তা খোড়াখুড়ি,লাইনে সমস্যাসহ নানা কারনে অফিস আদালত ছাড়া অনেক গ্রাহক বিটিসিএলের ফোন ব্যবহার করছেন না। এ পরিস্থিতিতে পিপ্রেইড সিষ্টেম চালু হলে তাও কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা দেখার বিষয়।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

» ‘মব সন্ত্রাসে’ হত্যা ২০২৫ সালে আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে

সম্প্রতি