ভুল পরিকল্পনায় এলএনজি নির্ভরতা বাড়ছে
করোনাকালে গ্যাসের দাম বাড়ালে তার ধাক্কা সামলাতে পারবে না নিম্ন আয়ের মানুষ। আরও কিছুদিন সরকারকে ভর্তুকি দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গতকাল জ্বালানি খাত নিয়ে এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব নিয়ে আলোচনা করে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বালানি খাতে ভুল পরিকল্পনা ও অবহেলার কারণে এলএনজি নির্ভরতা বেড়েছে এবং এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। জ্বালানি খাতে গ্যাস এবং এলএনজি সরবরাহ বিষয়ে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে সিপিডি।
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং আবদুল্লাহ ফাহাদ ‘জ্বালানি সরবরাহে গ্যাস-এলএনজি বিতর্ক : বিদ্যুৎ খাতের জন্য এলএনজি আমদানির মূল্য এবং ফলাফল’ শীর্ষক এ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ কমাতে সরকার এলএনজির ওপর নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। অথচ এই জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল। তাই হঠাৎ করে দাম বাড়লে চাপে পড়বে ভোক্তা। এলএনজি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই বিকল্প হিসেবে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি।
এ সময় বিলুপ্ত কয়লা খনির জমিতে এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি না করার পরামর্শ দেন গবেষকরা। তবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, বাড়তি চাহিদা সামাল দিতেই এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে ঝুঁকছে সরকার।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশেষ গোষ্ঠী অনৈতিক সুবিধা নেয়ায় পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। একইসঙ্গে অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিতাস।
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট আবদুল্লাহ ফাহাদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বলেন, গ্যাসের আমদানি নির্ভরতা জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, ‘দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও, অজানা কারণে সঠিকভাবে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে না। তাই এই সংকট দেখা দিয়েছে।’ সম্প্রতি গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব এসেছে তা অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, তারা বলছেন তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ইকোনোমি বেড়েছে। এটা ঠিক নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা দেখছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি’র চেয়াম্যান মোহাম্মদ আবদুল জলিল জানান, সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়েই কাজ করছেন তারা।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বালানি খাতে ভুল পরিকল্পনা ও অবহেলার কারণে এলএনজি নির্ভরতা বেড়েছে। তারা বলেছেন, এই খাতের নীতি-নির্ধারকরা সঠিক পলিসি নিতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এখন দ্রুত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সঠিক পথে এগোতে হবে। নিজেদের গ্যাস অনুসন্ধান বাড়াতে হবে। এলএনজি আমদানি কমাতে হবে।
সেমিনারে বলা হয় গত ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানিকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গ্যাসের দামের চেয়ে ২৪ গুণ বেশি হতে যাচ্ছে। এলএনজি আমদানি বাড়িয়ে গ্যাসের ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা বড় বাজেট ঘাটতি তৈরি করবে। তাই এলএনজি আমদানির পাশাপাশি বিকল্প ও পরিচ্ছন্ন জ¦ালানির জোগান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে সরকারকে। একইসঙ্গে গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে সিস্টেম লস-অপচয়-চুরি রাধ করতে হবে। এলএনজির দাম ও বাজার স্থির থাকে না বলে রপ্তানিকারকরাও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে না। ফলে খোলাবাজার থেকে বড় অঙ্কের গ্যাস কিনতে হয় আমদানিকারক দেশগুলোকে। বাংলাদেশে এক সময় সিংহভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো গ্যাস থেকে। এখন অন্য উৎস জ¦ালানি থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। তবে মূল্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভারসাম্যপূর্ণ জ¦ালানি মিশ্রণও রক্ষা করতে হবে। দেশে ১০ টিসিএফ গ্যাসের মজুদ রয়েছে। তাই স্থল ও সমুদ্রভাগে অনুসন্ধান জোরদার করার বিকল্প নেই।
বক্তারা বলেন, এলএনজি আমদানিকে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতের জন্য। চলমান গ্যাস সংকট স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন। বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, ক্যাপটিভ পাওয়ার জেনারেশন কমানো, ক্লিন-এনার্জি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচার করা এই সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস সরবরাহের ঘাটতির কারণে গৃহস্থলি, শিল্প, পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাতসহ প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকা- চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির মাধ্যমে গ্যাসের ঘাটতি সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করছে। সরকারের উচিত ক্লিন এনার্জি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর জোর দেয়া, জ্বালানি-মিশ্রণে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা, শক্তির দক্ষতা উন্নত করা। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) তার বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। সেমিনারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুন বলেন, বেশি দামে এলএনজি আমদানি ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং এলএনজি নির্ভরতা পরিবেশগতভাবে টেকসই নয়। সেমিনারে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এম তামিম, অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ভুল পরিকল্পনায় এলএনজি নির্ভরতা বাড়ছে
সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
করোনাকালে গ্যাসের দাম বাড়ালে তার ধাক্কা সামলাতে পারবে না নিম্ন আয়ের মানুষ। আরও কিছুদিন সরকারকে ভর্তুকি দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গতকাল জ্বালানি খাত নিয়ে এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব নিয়ে আলোচনা করে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বালানি খাতে ভুল পরিকল্পনা ও অবহেলার কারণে এলএনজি নির্ভরতা বেড়েছে এবং এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। জ্বালানি খাতে গ্যাস এবং এলএনজি সরবরাহ বিষয়ে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে সিপিডি।
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং আবদুল্লাহ ফাহাদ ‘জ্বালানি সরবরাহে গ্যাস-এলএনজি বিতর্ক : বিদ্যুৎ খাতের জন্য এলএনজি আমদানির মূল্য এবং ফলাফল’ শীর্ষক এ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ কমাতে সরকার এলএনজির ওপর নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। অথচ এই জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল। তাই হঠাৎ করে দাম বাড়লে চাপে পড়বে ভোক্তা। এলএনজি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই বিকল্প হিসেবে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে সিপিডি।
এ সময় বিলুপ্ত কয়লা খনির জমিতে এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি না করার পরামর্শ দেন গবেষকরা। তবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, বাড়তি চাহিদা সামাল দিতেই এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে ঝুঁকছে সরকার।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশেষ গোষ্ঠী অনৈতিক সুবিধা নেয়ায় পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। একইসঙ্গে অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিতাস।
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট আবদুল্লাহ ফাহাদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বলেন, গ্যাসের আমদানি নির্ভরতা জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, ‘দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও, অজানা কারণে সঠিকভাবে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে না। তাই এই সংকট দেখা দিয়েছে।’ সম্প্রতি গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব এসেছে তা অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, তারা বলছেন তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ইকোনোমি বেড়েছে। এটা ঠিক নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা দেখছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি’র চেয়াম্যান মোহাম্মদ আবদুল জলিল জানান, সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়েই কাজ করছেন তারা।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বালানি খাতে ভুল পরিকল্পনা ও অবহেলার কারণে এলএনজি নির্ভরতা বেড়েছে। তারা বলেছেন, এই খাতের নীতি-নির্ধারকরা সঠিক পলিসি নিতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এখন দ্রুত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সঠিক পথে এগোতে হবে। নিজেদের গ্যাস অনুসন্ধান বাড়াতে হবে। এলএনজি আমদানি কমাতে হবে।
সেমিনারে বলা হয় গত ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানিকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গ্যাসের দামের চেয়ে ২৪ গুণ বেশি হতে যাচ্ছে। এলএনজি আমদানি বাড়িয়ে গ্যাসের ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা বড় বাজেট ঘাটতি তৈরি করবে। তাই এলএনজি আমদানির পাশাপাশি বিকল্প ও পরিচ্ছন্ন জ¦ালানির জোগান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে সরকারকে। একইসঙ্গে গ্যাস উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে সিস্টেম লস-অপচয়-চুরি রাধ করতে হবে। এলএনজির দাম ও বাজার স্থির থাকে না বলে রপ্তানিকারকরাও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে না। ফলে খোলাবাজার থেকে বড় অঙ্কের গ্যাস কিনতে হয় আমদানিকারক দেশগুলোকে। বাংলাদেশে এক সময় সিংহভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো গ্যাস থেকে। এখন অন্য উৎস জ¦ালানি থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। তবে মূল্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভারসাম্যপূর্ণ জ¦ালানি মিশ্রণও রক্ষা করতে হবে। দেশে ১০ টিসিএফ গ্যাসের মজুদ রয়েছে। তাই স্থল ও সমুদ্রভাগে অনুসন্ধান জোরদার করার বিকল্প নেই।
বক্তারা বলেন, এলএনজি আমদানিকে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতের জন্য। চলমান গ্যাস সংকট স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন। বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, ক্যাপটিভ পাওয়ার জেনারেশন কমানো, ক্লিন-এনার্জি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচার করা এই সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস সরবরাহের ঘাটতির কারণে গৃহস্থলি, শিল্প, পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাতসহ প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকা- চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির মাধ্যমে গ্যাসের ঘাটতি সামঞ্জস্য করার চেষ্টা করছে। সরকারের উচিত ক্লিন এনার্জি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর জোর দেয়া, জ্বালানি-মিশ্রণে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা, শক্তির দক্ষতা উন্নত করা। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) তার বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। সেমিনারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুন বলেন, বেশি দামে এলএনজি আমদানি ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং এলএনজি নির্ভরতা পরিবেশগতভাবে টেকসই নয়। সেমিনারে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এম তামিম, অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।