alt

এবারের ঈদে ২৫ লাখ মানুষ মোটরসাইকেলে বাড়ি গেছেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এই তথ্য জানায়।

প্রতিবোদনটিতে বলা হয়, ঈদযাত্রায় সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিল ব্যাপক মোটরসাইকেলের ব্যবহার, যা পূর্বে কখনো দেখা যায়নি। গণপরিবহন সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী না হওয়া এবং যানজট এড়াতে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা করেছেন। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কারণ মোটরসাইকেল ৪ চাকার যানবাহনের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই মোটরসাইকেল দূরের যাত্রায় কোনোভাবেই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন এবং অন্যদের আক্রান্ত করছেন।

মোটরসাইকেল উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে সরকার নানা প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, ফলে দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার ব্যাপকহারে বাড়ছে। এটা সরকারের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার মোটরসাইকেলের ব্যবসা করতে যেয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার জনসম্পদ নষ্ট হচ্ছে। সরকারের উচিত গণপরিবহন উন্নত, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে এবং রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণ করে মোটরসাইকেল নিরুৎসাহিত করা।

এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্করা যাতে মোটরসাইকেল চালাতে না পারে সে জন্য কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা-সহ এ বিষয়ে পারিবারিক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।

মোটরসাইকেল উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই প্রচারণার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণে চটকদার বিজ্ঞাপন নির্মাণ ও প্রচার বন্ধ করতে হবে বলেও জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে (২৫ এপ্রিল-৮ মে) দেশে ২৮৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০০ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৩৮ জন ও শিশু ৫১ জন।

এই ১৪ দিনে ১২৮ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন। দুর্ঘটনায় ৫৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। এই সময়ে ৭ টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৭ টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮৩ টি দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৭ টি দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৯ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং নাটোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৮ জন নিহত হয়েছেন। শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, নড়াইল, ঝালকাঠি, ঠাকুরগাঁও এবং নেত্রকোনা এই ৬ টি জেলায় সামান্য সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকা থেকে কম-বেশি ৯০ লাখ মানুষ ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় গেছেন। দেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৩ কোটি মানুষ যাতায়াত করেছেন। ঈদের আগে-পরে যথেষ্ট ছুটি থাকায় এবং সরকারের কিছুটা তৎপরতার কারণে ঈদযাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক ছিল।

তবে গণপরিবহনের টিকেট কালোবাজারি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও পথে-ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের করের টাকায়, বৈদেশিক ঋণে আমাদের সড়ক নির্মাণ করা হয়। এই সড়কে চাঁদাবাজি করা হয় কিসের অধিকারে, কোন নৈতিকতায় প্রশ্নটির উত্তর জরুরি।

এছাড়া ঈদযাত্রা ও ঈদ উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন। কিন্তু যেসকল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেনি, শুধু আহত হয়েছেন- সেসব দুর্ঘটনার অধিকাংশই গণমাধ্যমে আসেনি। ফলে দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র জানা যাচ্ছে না।

তবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যে পরিমাণ মানুষ ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন তা থেকে অনুমান করা যায় সারা দেশে আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার হবে বলেও জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

এর আগে গত বছরের ঈদুল ফিতরের চেয়ে এ বছরের ঈদুল ফিতর উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৮ দশমিক ৪১ ভাগ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৭৪ ভাগ।

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৮৫৭ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ৩

ছবি

নভেম্বরেই গণভোট চায় জামায়াত, সরকার সিদ্ধান্ত নিলে বাস্তবায়ন করবে ইসি

ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার

ছবি

সাত কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র খসড়া: পক্ষে-বিপক্ষে শিক্ষার্থীরা

ছবি

ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করেছে সরকার

ছবি

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে ‘অস্থায়ী কারাগার’ ঘোষণা

ছবি

একই দিনে একই প্রশ্নে মেডিকেল ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর

ছবি

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা রাতে সড়কে অবস্থান করছেন

ছবি

মিরপুর ছেড়ে গুলশানের ভোটার হলেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

রাতের অন্ধকারে ভোট চাই না: সিইসি

ছবি

ঢাবি ছাত্রীকে ‘মারধর’: কারণ জানতে চাইলো আদালত, যা বললেন পরিচালক

ছবি

আগের তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের এবার বিরত রাখা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বিচারকদেরও জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকা দরকার: অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু, ফেইসবুক পেইজে সাইবার হামলার ‘অভিযোগ’ তাজুলের

ছবি

আটক বললে অবশ্যই ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

প্রধান উপদেষ্টা রোমে পৌঁছেছেন

ছবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা: “আমার ছেলেমেয়েরা সবাই দেশে, আমি একা সেফ এক্সিট নিয়ে কী করব”

ছবি

বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, চলতি বছরে প্রাণ হারাল ২৩০ জন

ছবি

এলপি গ্যাসের দাম: রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের দুষলেন জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি: দলগুলোর মতামত চেয়েছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট, সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে প্রস্তাব দেবে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ১৭ অক্টোবর

ছবি

সেনা সদর: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৫ কর্মকর্তা হেফাজতে

ছবি

দেশে ফিরলেন শহিদুল আলম, বললেন ‘ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে’

ছবি

হামাস-ইসরায়েলের সংলাপকে স্বাগত জানালো বাংলাদেশ

ছবি

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৩০৯ বাংলাদেশি

ছবি

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ৩০৮ জন

ছবি

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মারা গেছেন

ছবি

আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে মুক্ত করার চেষ্টা চলছে:প্রেস উইং

ছবি

অবহেলায় এস এম সুলতানের স্মৃতিস্থান, দর্শণার্থীদের হতাশা

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস: মনোসামাজিক সাপোর্ট কর্নার ও কাউন্সিলর নিয়োগ জরুরি

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৭৮১ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ৪ জন

ছবি

গুমের মামলায় হাসিনাসহ ৩০ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ১২ দপ্তরে

ছবি

‘অবৈধ সম্পদ’: মামলার দুইদিনের মাথায় এনবিআর সদস্য বেলাল ওএসডি

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ সমর্থকদের গ্রেপ্তারে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ব্যবহার বাড়াচ্ছে: এইচআরডব্লিউ

গণভোটের দিনক্ষণ নিয়ে মতবিরোধের মধ্যেই জুলাই সনদ সইয়ের তারিখ ঘোষণা

tab

এবারের ঈদে ২৫ লাখ মানুষ মোটরসাইকেলে বাড়ি গেছেন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এই তথ্য জানায়।

প্রতিবোদনটিতে বলা হয়, ঈদযাত্রায় সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিল ব্যাপক মোটরসাইকেলের ব্যবহার, যা পূর্বে কখনো দেখা যায়নি। গণপরিবহন সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী না হওয়া এবং যানজট এড়াতে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা করেছেন। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কারণ মোটরসাইকেল ৪ চাকার যানবাহনের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই মোটরসাইকেল দূরের যাত্রায় কোনোভাবেই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন এবং অন্যদের আক্রান্ত করছেন।

মোটরসাইকেল উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে সরকার নানা প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, ফলে দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার ব্যাপকহারে বাড়ছে। এটা সরকারের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার মোটরসাইকেলের ব্যবসা করতে যেয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার জনসম্পদ নষ্ট হচ্ছে। সরকারের উচিত গণপরিবহন উন্নত, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করে এবং রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণ করে মোটরসাইকেল নিরুৎসাহিত করা।

এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্করা যাতে মোটরসাইকেল চালাতে না পারে সে জন্য কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা-সহ এ বিষয়ে পারিবারিক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।

মোটরসাইকেল উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই প্রচারণার দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণে চটকদার বিজ্ঞাপন নির্মাণ ও প্রচার বন্ধ করতে হবে বলেও জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে (২৫ এপ্রিল-৮ মে) দেশে ২৮৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০০ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৩৮ জন ও শিশু ৫১ জন।

এই ১৪ দিনে ১২৮ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন। দুর্ঘটনায় ৫৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। এই সময়ে ৭ টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১৭ টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮৩ টি দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৭ টি দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৯ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং নাটোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৮ জন নিহত হয়েছেন। শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, নড়াইল, ঝালকাঠি, ঠাকুরগাঁও এবং নেত্রকোনা এই ৬ টি জেলায় সামান্য সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকা থেকে কম-বেশি ৯০ লাখ মানুষ ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় গেছেন। দেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৩ কোটি মানুষ যাতায়াত করেছেন। ঈদের আগে-পরে যথেষ্ট ছুটি থাকায় এবং সরকারের কিছুটা তৎপরতার কারণে ঈদযাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক ছিল।

তবে গণপরিবহনের টিকেট কালোবাজারি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও পথে-ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের করের টাকায়, বৈদেশিক ঋণে আমাদের সড়ক নির্মাণ করা হয়। এই সড়কে চাঁদাবাজি করা হয় কিসের অধিকারে, কোন নৈতিকতায় প্রশ্নটির উত্তর জরুরি।

এছাড়া ঈদযাত্রা ও ঈদ উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন। কিন্তু যেসকল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেনি, শুধু আহত হয়েছেন- সেসব দুর্ঘটনার অধিকাংশই গণমাধ্যমে আসেনি। ফলে দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র জানা যাচ্ছে না।

তবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যে পরিমাণ মানুষ ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন তা থেকে অনুমান করা যায় সারা দেশে আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার হবে বলেও জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

এর আগে গত বছরের ঈদুল ফিতরের চেয়ে এ বছরের ঈদুল ফিতর উদযাপনকালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৮ দশমিক ৪১ ভাগ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৭৪ ভাগ।

back to top