দেশের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দর সমূহকে এক নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এসব অঞ্চলের কোথাও কোথাও কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানান।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকার অদূরে অবস্থানরত লঘুচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। চলতি মাসে সাগরে বড় কোন লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের ১৬টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট ঢাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে পশ্চিম ও উত্তরপশ্চিম দিক থেকে দমকা হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। রোববার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

গতকাল দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ২০১ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।