image

১৬৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল মৈত্রী এক্সপ্রেস

রোববার, ২৯ মে ২০২২
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মহামারি করোনার কারণে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর যাত্রী নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেল মৈত্রী এক্সপ্রেস।রোববার (২৯ মে) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটিতে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৭০টি। এর মধ্যে বিদেশি (ভারত) যাত্রী ১৬ জন। ইন্দোনেশিয়ান ১ জন।

তিনি বলেন, এখন থেকে ট্রেনটি সপ্তাহে পাঁচদিন চলাচল করবে। ট্রেনটিতে মোট আসন রয়েছে ৪৫৬টি। কিন্তু প্রথম দিনেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও কম। তবে দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে ট্রেনে করে ভারতগামী যাত্রীরা আনন্দিত।

মহাপরিচালক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসে যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এর এক বছর পর মিতালী এক্সপ্রেস উদ্বোধন করা হয়। পরে ঈদুল ফিতরের আগে আকাশ ও সড়কপথে পুরোদমে যাতায়াত চালু হলেও ঝুলে ছিল রেল যোগাযোগ।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনের স্টেশনের ম্যানেজার লিটন চন্দ্র দে জানান, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেছে। বিকেল চারটায় ট্রেনটি কলকাতা স্টেশনে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। আগামীকাল (সোমবার) আবার কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে বিকেল চারটায় ঢাকায় আসবে।

স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, মৈত্রী এখান থেকে সরাসরি সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে। ওখানে ২০ মিনিট যাত্রা বিরতির পর দুপুর ২টায় সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতার উদ্দেশে ছুটবে মৈত্রী। এরপর বিকেল ৪টায় কলকাতার চিতপুর স্টেশনে থামবে ট্রেনটি।

একইভাবে আগামীকাল সোমবার (৩০ মে) ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে চিতপুর স্টেশন থেকে ফিরতি ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করবে। বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সীমান্ত পেরিয়ে দর্শনা স্টেশনে এসে পৌঁছাবে। এখান থেকে সাড়ে ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) ঢাকা-কলকাতার মধ্যে যাত্রা শুরু করেছিল যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। সে সময় দু’দেশের সীমান্তবর্তী দর্শনা ও গেদে রেলস্টেশনে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন-কাস্টমস করা হতো। এরপর যাত্রীদের যাত্রাসময় কমানোর জন্য দু’দেশের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সীমান্তবর্তী স্টেশন দর্শনা ও গেদের পরিবর্তে স্ট্যাটিং পয়েন্ট অর্থাৎ ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট ও কলকাতার চিতপুর স্টেশন থেকে করা শুরু হয়।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» ‘অপমানবোধ’ করছেন রাষ্ট্রপতি, ভোটের পরে পদত্যাগ করতে চান: রয়টার্স

» খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা জানালো মেডিকেল বোর্ড

» দুই দিবসে বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক

» আমি কেন সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করবো: আদালতে শওকত মাহমুদ

সম্প্রতি