alt

পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক সাড়ে ৫ বছর আগেই খুলে দেয়া হয়

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক সাড়ে ৫ বছর আগেই খুলে দেয়া হয়। ১২ দশমিক ১২ কিলোমিটার ছয় লেনের সড়কটি নির্মাণ করতে সময় গেছে ৪ বছর। এই সড়ক দুটি নির্মাণ করতে কাজ করেছে ৫ হাজার শ্রমিক ও আড়াইশ’ বাংলাদেশি প্রকৌশলী। ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৯০৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে সংযোগ সড়কের উদ্বোধন করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করে বাংলাদেশি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবদুল মোনেম ও এইচসিএমজেবি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরাপত্তা ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু মোট ৫ ভাগে কাজ করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতু, নদীশাসন, দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া ও পুনর্বাসন। এর মধ্যে ছয় লেনের সংযোগ সড়কের ২০১৭ সালে কাজ শেষ হয়েছে। ছয় লেনের মধ্যে চার লেন মহাসড়ক ও দুই লেন স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য। প্রকল্পের সার্ভিস এলাকা ও সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ একইসঙ্গে শেষ হয়েছে। গাড়ি চলাচলের জন্য সাড়ে ৫ বছর আগেই ফেরি খুলে দেয়া হয়।’ দেশি প্রকৌশলী ও ঠিকাদার দিয়ে এই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের সংযোগ সড়কে ৮টি আন্ডারপাস রয়েছে। আন্ডারপাসের সড়কের উচ্চতা ৬ দশমিক ৫ মিটার। এছাড়া ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৫টি ছোট সেতু ও ২০টি কালভার্ট রয়েছে। এই সঙ্গে ৩টি সার্ভিস এরিয়া ও ২ টোলপ্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে। ১২ দশমিক ১২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬২ কিলোমিটার। এছাড়া জাজিরা প্রান্তের সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। বর্তমানে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপারের জন্য সংযোগ সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর সড়কটি দেশের যেকোন সড়কপথের চেয়ে মসৃণ, ওপরের শক্তিশালী পুরু স্তর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। দেশে এই প্রথম কোন সড়কে সাড়ে ৬ ইঞ্চি কার্পেটিং করা হয়েছে। সেতু চালুর আগে আরও দুই ইঞ্চি কার্পেটিং করা হয়েছে এই সড়কে। এর ফলে সড়কে পানি প্রবেশ করতে পারবে না। সেতু চালুর পর পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত এ সড়কে কোন মেরামত ছাড়াই যান চলাচল করবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

সরেজমিন সংযোগ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদীর দুই পাড়ে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মেদেনীমন্ডল ও কুমারভোগ দুটি ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।

এছাড়া শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার নাওডোবা ইউনিয়ন থেকে মাদারীপুরের পাঁচ্চর পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৯ কিলোমিটার সড়কই জাজিরা অংশে পড়েছে। বাকি দুই কিলোমিটার সড়ক মাওয়া অংশে পড়েছে। জাজিরা অংশের সড়কটি সমতল থেকে গড়ে পাঁচ থেকে ছয় মিটার উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে। আর রাস্তার মাঝখানে ফাঁকা রাখা হয়েছে এমন পরিমাণ জায়গা, যেখানে ভবিষ্যতে ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেলের পিয়ার তোলা যাবে। সড়কটির প্রতিটি লেন ১২ ফুট প্রশস্ত।

এছাড়া দ্রুতগামী যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন না হয় সেজন্য দু’পাশে স্থানীয় ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য এসব আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। এছাড়া সড়কের পাশে দেড় মিটার শোল্ডার নির্মাণ হয়েছে। চলতি পথে গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে পার্কিংয়ের জন্য এই দেড় মিটার অতিরিক্ত রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সংযোগ সড়কের স্থায়িত্ব হবে ১০০ বছর। তবে ২০-৩০ বছরের ব্যবধানে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সংযোগ সড়কের পুরুত্ব ৮১০ মিলিমিটার। চার লেন সড়কটির মধ্যস্থলে আছে বিভাজক। প্রতিটি লেন ৩ দশমিক ৬৫ মিটার বা ১২ ফুট প্রশস্ত।

জাজিরা সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হয়েছিল ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর। প্রকল্পের চুক্তি মূল্য ১ হাজার ৩১৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি। প্রকল্পের চুক্তি মূল্য ছিল ১৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। দুটি সংযোগ সড়ক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ছিল মেসার্স আবদুল মোনেম ও এইচসিএমজেবি।

এ বিষয়ে মেসার্স আবদুল মোনেমের নির্মাণ পরিচালক প্রকৌশলী আবিদ হাবিব সংবাদকে বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী ৪ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। গত সাড়ে ৫ বছর যাবত যানবাহন চলাচল করছে কিন্তু কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। দেশি শ্রমিক ও প্রকৌশলী দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। ৫-১০ বছর পর সড়কটি তদরকি করা হয় তাহলে ১০০ বছরের কিছু হবে না বলে জানান তিনি।

ছবি

বিমানবন্দরের আগুন তদন্তে বিশেষজ্ঞ আসছেন ৪ দেশ থেকে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সামনে ‘সংঘাতের আলামত’ দেখতে পাচ্ছেন মাহফুজ আলম

ছবি

ডেঙ্গুতে শিশু ও কিশোর আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি

রাষ্ট্র নাগরিকদের মর্যাদা রক্ষায় ব্যর্থ হলে ন্যায়ের জন্য লড়াই অপরিহার্য: প্রধান বিচারপতি

ছবি

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আসছেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

লিবিয়া সরকারের দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩০৯ বাংলাদেশি

ছবি

মানসিক সুস্থতাকে এগিয়ে নিতে তরুণ সমাজকে দায়িত্বশীল হতে হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

ছবি

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সর্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেয়ার নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি

বাংলাদেশি স্থপতি রেজোয়ানের ভাসমান স্কুল পেল ইউনেস্কোর কনফুসিয়াস পুরস্কার

ছবি

উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা: ‘বিতর্ক’ এড়াতে ফাওজুল কবিরের দুই ‘ফর্মুলা’

ছবি

চীন সংযোগে ঝুঁকি আছে, তা বাংলাদেশকে বোঝাবেন ক্রিস্টেনসেন

ছবি

অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে

ছবি

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬৮ জন, বাড়ছে শিশুরোগী

ছবি

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে বিদেশি কোনো চাপ নেই: প্রেস সচিব

ছবি

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সর্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা জানাল বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ,ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে

ছবি

চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের যমুনা অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের তিন ‘সহযোগী’ ১০ দিনের রিমান্ডে

ছবি

আইজিপির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ফের মঙ্গলবার

ছবি

শেখ হাসিনা ‘পালিয়ে যাননি’, চলে যেতে ‘বাধ্য’ করা হয়েছে: রাষ্ট্রনিযুক্ত হাসিনার আইনজীবী

ছবি

সংশোধিত আরপিও অনুমোদন: পলাতক আসামি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না

ছবি

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ : জার্মান রাষ্ট্রদূত

ছবি

জাতীয় নির্বাচনে জোটের প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে লড়াইয়ের বিধানসহ আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন

ছবি

১৩ নভেম্বর জানা যাবে জুলাই অভ্যুত্থান দমনচেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় তারিখ

ছবি

নির্বাচন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই: ইসি আনোয়ারুল

ছবি

রাজসাক্ষী মামুন অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচতে চাইছেন: হাসিনার আইনজীবী

ছবি

ঢাকার চেয়ে রাজশাহী ও খুলনার বায়ুদূষণ বেশি

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক ফিরলে সংসদের ক্ষমতাকে খর্ব করবে কিনা, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

ছবি

১২ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার মৃত্যু

ছবি

সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়েরও অনুমোদন লাগবে

ছবি

হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে ধোঁয়াশা, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ: আইএলওর তিনটি কনভেনশনে সই করল অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বাধ্যতামূলক ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ

ছবি

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, বললেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

tab

পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক সাড়ে ৫ বছর আগেই খুলে দেয়া হয়

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক সাড়ে ৫ বছর আগেই খুলে দেয়া হয়। ১২ দশমিক ১২ কিলোমিটার ছয় লেনের সড়কটি নির্মাণ করতে সময় গেছে ৪ বছর। এই সড়ক দুটি নির্মাণ করতে কাজ করেছে ৫ হাজার শ্রমিক ও আড়াইশ’ বাংলাদেশি প্রকৌশলী। ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৯০৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০১৭ সালে জানুয়ারিতে সংযোগ সড়কের উদ্বোধন করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করে বাংলাদেশি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবদুল মোনেম ও এইচসিএমজেবি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরাপত্তা ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু মোট ৫ ভাগে কাজ করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতু, নদীশাসন, দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া ও পুনর্বাসন। এর মধ্যে ছয় লেনের সংযোগ সড়কের ২০১৭ সালে কাজ শেষ হয়েছে। ছয় লেনের মধ্যে চার লেন মহাসড়ক ও দুই লেন স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য। প্রকল্পের সার্ভিস এলাকা ও সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজ একইসঙ্গে শেষ হয়েছে। গাড়ি চলাচলের জন্য সাড়ে ৫ বছর আগেই ফেরি খুলে দেয়া হয়।’ দেশি প্রকৌশলী ও ঠিকাদার দিয়ে এই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের সংযোগ সড়কে ৮টি আন্ডারপাস রয়েছে। আন্ডারপাসের সড়কের উচ্চতা ৬ দশমিক ৫ মিটার। এছাড়া ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ৫টি ছোট সেতু ও ২০টি কালভার্ট রয়েছে। এই সঙ্গে ৩টি সার্ভিস এরিয়া ও ২ টোলপ্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে। ১২ দশমিক ১২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬২ কিলোমিটার। এছাড়া জাজিরা প্রান্তের সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। বর্তমানে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপারের জন্য সংযোগ সড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, পদ্মা সেতুর সড়কটি দেশের যেকোন সড়কপথের চেয়ে মসৃণ, ওপরের শক্তিশালী পুরু স্তর ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। দেশে এই প্রথম কোন সড়কে সাড়ে ৬ ইঞ্চি কার্পেটিং করা হয়েছে। সেতু চালুর আগে আরও দুই ইঞ্চি কার্পেটিং করা হয়েছে এই সড়কে। এর ফলে সড়কে পানি প্রবেশ করতে পারবে না। সেতু চালুর পর পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত এ সড়কে কোন মেরামত ছাড়াই যান চলাচল করবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

সরেজমিন সংযোগ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদীর দুই পাড়ে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মেদেনীমন্ডল ও কুমারভোগ দুটি ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দেড় কিলোমিটার সংযোগ সড়ক।

এছাড়া শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার নাওডোবা ইউনিয়ন থেকে মাদারীপুরের পাঁচ্চর পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৯ কিলোমিটার সড়কই জাজিরা অংশে পড়েছে। বাকি দুই কিলোমিটার সড়ক মাওয়া অংশে পড়েছে। জাজিরা অংশের সড়কটি সমতল থেকে গড়ে পাঁচ থেকে ছয় মিটার উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে। আর রাস্তার মাঝখানে ফাঁকা রাখা হয়েছে এমন পরিমাণ জায়গা, যেখানে ভবিষ্যতে ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেলের পিয়ার তোলা যাবে। সড়কটির প্রতিটি লেন ১২ ফুট প্রশস্ত।

এছাড়া দ্রুতগামী যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন না হয় সেজন্য দু’পাশে স্থানীয় ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য এসব আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। এছাড়া সড়কের পাশে দেড় মিটার শোল্ডার নির্মাণ হয়েছে। চলতি পথে গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে পার্কিংয়ের জন্য এই দেড় মিটার অতিরিক্ত রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সংযোগ সড়কের স্থায়িত্ব হবে ১০০ বছর। তবে ২০-৩০ বছরের ব্যবধানে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সংযোগ সড়কের পুরুত্ব ৮১০ মিলিমিটার। চার লেন সড়কটির মধ্যস্থলে আছে বিভাজক। প্রতিটি লেন ৩ দশমিক ৬৫ মিটার বা ১২ ফুট প্রশস্ত।

জাজিরা সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হয়েছিল ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর। প্রকল্পের চুক্তি মূল্য ১ হাজার ৩১৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি। প্রকল্পের চুক্তি মূল্য ছিল ১৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। দুটি সংযোগ সড়ক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ছিল মেসার্স আবদুল মোনেম ও এইচসিএমজেবি।

এ বিষয়ে মেসার্স আবদুল মোনেমের নির্মাণ পরিচালক প্রকৌশলী আবিদ হাবিব সংবাদকে বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী ৪ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। গত সাড়ে ৫ বছর যাবত যানবাহন চলাচল করছে কিন্তু কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। দেশি শ্রমিক ও প্রকৌশলী দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। ৫-১০ বছর পর সড়কটি তদরকি করা হয় তাহলে ১০০ বছরের কিছু হবে না বলে জানান তিনি।

back to top