alt

সিনিয়র সিটিজেনদের চিকিৎসা কষ্ট

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সরকারি হাসপাতালে

ডাক্তার দেখাতে আরও অসুস্থ হচ্ছেন

বাকী বিল্লাহ : সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে প্রবীণদের (সিনিয়র সিটিজেন) জন্য আলাদা লাইনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে টিকেট কেটে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনেক বৃদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এরপরও সিরিয়াল পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হাসপাতালে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একজন বৃদ্ধ মহিলা রোগী টিকেট কিনে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রক্ত পরীক্ষার আগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। প্রচ- অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। এভাবে অনেকের কষ্ট হচ্ছে।

প্রবীণদের মতে ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করতে গিয়ে প্রবীণরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এসব ঘটনা অহরহ ঘটছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈকালিক বহির্বিভাগে যাওয়া একজন ৭০ বছরের সিনিয়র সিটিজেন গতকাল সংবাদকে জানান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষজ্ঞ বেশি হওয়ায় সেখানে রোগীর সংখ্যা অনেক বাড়ছে। রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে আগত শহ শত রোগী সকালে ও বিকেলে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার জন্য যান। এসব রোগীদের মধ্যে কিছু রোগীর বয়স ৭০ বছর থেকে ৮৫ বছর। এসব প্রবীণ রোগী কোনমতে টিকেট সংগ্রহ করলেও বহির্বিভাগে গিয়ে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ডাক্তার দেখাতে কষ্ট হয়। অনেকেই কষ্টে কান্নাকাটি করছেন। এত কষ্ট থেকে মৃত্যুও ভালো বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।

এই প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, ১০০ জন রোগীর মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবীণ। তাদের জন্য আলাদা লাইন বা বসার ব্যবস্থা থাকলে তারা কোনমতে ডাক্তার দেখিয়ে শান্তিতে বাসায় ফিরতে পারেন। গতকাল ওই রোগী দুপুর আড়াইটার দিকে টিকেট সংগ্রহ করতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার টিকেট নেন, অবশেষে বিকেলে তিনি ডাক্তার দেখাতে সক্ষম হন, তারপর পরীক্ষার জন্য রক্ত দিতে গিয়ে দীর্ঘ লাইন।

কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবীণদের আলাদা লাইন আছে। তাদের আলাদাভাবে ডাক্তার দেখানো থেকে সবকিছু দ্রুত করে দেয়া হয়। এতে প্রবীণরা খুশি। বাংলাদেশের জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, পঙ্গু হাসপাতালসহ সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে সিনিয়র সিটিজেন নাগরিকদের দ্রুত আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য প্রবীণরা জোর দাবি জানিয়েছেন।

মহাখালী রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন সংবাদকে জানান, লাইনে দাঁড়াবে কেন। বহির্বিভাগে রোগীদের বসার ব্যবস্থা করতে হবে। ঠাঁসাঠাঁসি করে লাইনে দাঁড়ানোর কারণে ইনফেকশন হতে পারে। এখন দেশে নানা ধরনের সংক্রমণ রোগী রয়েছে।

এ বিশেষজ্ঞ বলেন, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা, প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকার দরকার। ঢাকার বাইরে কোন কোন স্থানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজধানীর সরকারি হাসপাতাল, স্পেলাইজড হাসপাতালগুলোতে আরও আগেই এ পদক্ষেপ নেয়া দরকার ছিল বলে তিনি মনে করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সংবাদকে জানান, তিনি সিনিয়র সিটিজেনদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন। যাতে সিনিয়র সিটিজেনেেদর আর কষ্ট করতে না হয়। তবে এর আগে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছেন। এতে বহু মুক্তিযোদ্ধা উপকৃত হয়েছেন। এ কাজ এখনো চলমান আছে। এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথিসিয়া অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক (আইসিইউ বিশেষজ্ঞ) ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, সিনিয়র সিটিজেনদের চিকিৎসার জন্য সরকারি নির্দেশনা আছে। তা বাস্তবায়ন করলে সিনিয়র সিটিজেনরা উপকৃত হবেন। লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে হবে না। তার জন্য এখনই পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বয়স ৬৫ বছর হলে তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিন্তু বাংলাদেশে এ ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় প্রবীণরা কষ্ট পাচ্ছেন। যাদের দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর, তারা কিভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা আর চিকিৎসা করবে তা কেউ চিন্তাও করে না। তাই এখনই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। চিকিৎসা ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রবীণদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা সর্বত্র থাকা ভালো।

ছবি

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু: হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৩ জন

ছবি

জেইসির মাধ্যমে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত, আজ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তর

চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন

ছবি

এক লাখ কর্মী নিয়োগ, প্রধান উপদেষ্টাকে অগ্রগতি জানালো জাপানি প্রতিনিধিদল

ছবি

মঙ্গলবার সরকারের হাতে যাবে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা

ছবি

নভেম্বরের পরও চলবে উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম: অন্তর্বর্তী সরকারের স্পষ্টীকরণ

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১

ছবি

অর্থ পাচারের মামলায় সম্রাট ও আরমানের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়া ও নৈতিক নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার

ডেঙ্গু: একদিনে সর্বোচ্চ ১১৪৩ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ৪

ছবি

শাহজালালে আগুন: অনুসন্ধানে ঢাকায় তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউলসহ দুই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বেড়েছে

ছবি

মেট্রো রেললাইনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু, ৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন

সেনা সদর দপ্তর আইন প্রয়োগ না করা পর্যন্ত আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তা কর্মরত: প্রসিকিউটর

ছবি

বিচারপতি খায়রুল হককে কেন জামিন দেয়া হবে না, হাইকোর্টের প্রশ্ন

আরপিও সংশোধন: রাষ্ট্রপতি সই করলেই জারি হবে অধ্যাদেশ

ছবি

অমর একুশে বইমেলা ‘যথা সময়েই’ অনুষ্ঠিত হবে: প্রেস সচিব

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেবে

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নভেম্বরেই শেষ : তথ্য উপদেষ্টার

ছবি

বাংলাদেশ–পাকিস্তান সহযোগিতা বাড়াতে আলোচনায় সাহির শামশাদ মির্জা ও প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে ফার্মগেটে একজন নিহত, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে, উপকূলে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত

ছবি

গুম প্রতিরোধে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার: আসিফ নজরুল

ছবি

বিমানবন্দরের আগুন তদন্তে বিশেষজ্ঞ আসছেন ৪ দেশ থেকে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সামনে ‘সংঘাতের আলামত’ দেখতে পাচ্ছেন মাহফুজ আলম

ছবি

ডেঙ্গুতে শিশু ও কিশোর আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি

রাষ্ট্র নাগরিকদের মর্যাদা রক্ষায় ব্যর্থ হলে ন্যায়ের জন্য লড়াই অপরিহার্য: প্রধান বিচারপতি

ছবি

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আসছেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

লিবিয়া সরকারের দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩০৯ বাংলাদেশি

ছবি

মানসিক সুস্থতাকে এগিয়ে নিতে তরুণ সমাজকে দায়িত্বশীল হতে হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

ছবি

পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সর্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেয়ার নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি

বাংলাদেশি স্থপতি রেজোয়ানের ভাসমান স্কুল পেল ইউনেস্কোর কনফুসিয়াস পুরস্কার

ছবি

উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা: ‘বিতর্ক’ এড়াতে ফাওজুল কবিরের দুই ‘ফর্মুলা’

ছবি

চীন সংযোগে ঝুঁকি আছে, তা বাংলাদেশকে বোঝাবেন ক্রিস্টেনসেন

tab

সিনিয়র সিটিজেনদের চিকিৎসা কষ্ট

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সরকারি হাসপাতালে

ডাক্তার দেখাতে আরও অসুস্থ হচ্ছেন

বাকী বিল্লাহ

সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে প্রবীণদের (সিনিয়র সিটিজেন) জন্য আলাদা লাইনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে টিকেট কেটে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনেক বৃদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এরপরও সিরিয়াল পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হাসপাতালে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একজন বৃদ্ধ মহিলা রোগী টিকেট কিনে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রক্ত পরীক্ষার আগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। প্রচ- অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। এভাবে অনেকের কষ্ট হচ্ছে।

প্রবীণদের মতে ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করতে গিয়ে প্রবীণরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এসব ঘটনা অহরহ ঘটছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈকালিক বহির্বিভাগে যাওয়া একজন ৭০ বছরের সিনিয়র সিটিজেন গতকাল সংবাদকে জানান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষজ্ঞ বেশি হওয়ায় সেখানে রোগীর সংখ্যা অনেক বাড়ছে। রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে আগত শহ শত রোগী সকালে ও বিকেলে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার জন্য যান। এসব রোগীদের মধ্যে কিছু রোগীর বয়স ৭০ বছর থেকে ৮৫ বছর। এসব প্রবীণ রোগী কোনমতে টিকেট সংগ্রহ করলেও বহির্বিভাগে গিয়ে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ডাক্তার দেখাতে কষ্ট হয়। অনেকেই কষ্টে কান্নাকাটি করছেন। এত কষ্ট থেকে মৃত্যুও ভালো বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।

এই প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, ১০০ জন রোগীর মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবীণ। তাদের জন্য আলাদা লাইন বা বসার ব্যবস্থা থাকলে তারা কোনমতে ডাক্তার দেখিয়ে শান্তিতে বাসায় ফিরতে পারেন। গতকাল ওই রোগী দুপুর আড়াইটার দিকে টিকেট সংগ্রহ করতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার টিকেট নেন, অবশেষে বিকেলে তিনি ডাক্তার দেখাতে সক্ষম হন, তারপর পরীক্ষার জন্য রক্ত দিতে গিয়ে দীর্ঘ লাইন।

কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবীণদের আলাদা লাইন আছে। তাদের আলাদাভাবে ডাক্তার দেখানো থেকে সবকিছু দ্রুত করে দেয়া হয়। এতে প্রবীণরা খুশি। বাংলাদেশের জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, পঙ্গু হাসপাতালসহ সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে সিনিয়র সিটিজেন নাগরিকদের দ্রুত আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য প্রবীণরা জোর দাবি জানিয়েছেন।

মহাখালী রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন সংবাদকে জানান, লাইনে দাঁড়াবে কেন। বহির্বিভাগে রোগীদের বসার ব্যবস্থা করতে হবে। ঠাঁসাঠাঁসি করে লাইনে দাঁড়ানোর কারণে ইনফেকশন হতে পারে। এখন দেশে নানা ধরনের সংক্রমণ রোগী রয়েছে।

এ বিশেষজ্ঞ বলেন, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা, প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকার দরকার। ঢাকার বাইরে কোন কোন স্থানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজধানীর সরকারি হাসপাতাল, স্পেলাইজড হাসপাতালগুলোতে আরও আগেই এ পদক্ষেপ নেয়া দরকার ছিল বলে তিনি মনে করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সংবাদকে জানান, তিনি সিনিয়র সিটিজেনদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন। যাতে সিনিয়র সিটিজেনেেদর আর কষ্ট করতে না হয়। তবে এর আগে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছেন। এতে বহু মুক্তিযোদ্ধা উপকৃত হয়েছেন। এ কাজ এখনো চলমান আছে। এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানেসথিসিয়া অ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক (আইসিইউ বিশেষজ্ঞ) ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, সিনিয়র সিটিজেনদের চিকিৎসার জন্য সরকারি নির্দেশনা আছে। তা বাস্তবায়ন করলে সিনিয়র সিটিজেনরা উপকৃত হবেন। লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করতে হবে না। তার জন্য এখনই পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বয়স ৬৫ বছর হলে তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকা দরকার। কিন্তু বাংলাদেশে এ ব্যবস্থা চালু না হওয়ায় প্রবীণরা কষ্ট পাচ্ছেন। যাদের দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর, তারা কিভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা আর চিকিৎসা করবে তা কেউ চিন্তাও করে না। তাই এখনই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। চিকিৎসা ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রবীণদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা সর্বত্র থাকা ভালো।

back to top