image
ছবি: সংগৃহীত

দেশে এক বছরে ‘বিপজ্জনক’ মিনিপ্যাক বর্জ্যই ২ লাখ টন

শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে দেশে ১০ লাখ ৬০ হাজার টন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে বলে তথ্য উঠে এসেছে এক গবেষণায়। এসব বর্জ্যের মধ্যে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর মিনিপ্যাকই এক লাখ ৯২ হাজার ১০৪ টন।

শনিবার (২ জুলাই) গবেষণা সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) লালমাটিয়ায় নিজেদের কার্যালয়ে ‘প্লাস্টিক স্যাশে: স্মল প্যাকেট উইথ হিউজ এনভায়রনমেন্ট ডেস্ট্রাকশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এই তথ্য তুলে ধরে।

এসডোর গবেষণা বলছে, সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে শুধু খাবারের (চিপস, টমেটো সস, জুস, গুঁড়ো দুধ, কফি ইত্যাদি) মিনিপ্যাকেই ৪০ শতাংশ ক্ষুদ্র প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে। প্রসাধনীর (শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, টুথপেস্ট ও মাউথ ফ্রেশনার) ক্ষেত্রে এই হার ২৪ শতাংশ, ওষুধের (স্যালাইনের প্যাক, মেডিসিন স্ট্রিপ) ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ এবং মশলা, বেভারেজ ও গৃহস্থালি পরিচ্ছন্ন সামগ্রীর ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ উৎপাদন হয়েছে। বাকি ৭ শতাংশ বর্জ্য অন্যান্য মিনিপ্যাকে উৎপাদন হয়।

বৈঠকে এসডোর সভাপতি ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, ‘প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট আকারে ছোট হলেও পরিবেশে এর প্রভাব বিশাল।’

সরকারের কাছে মিনিপ্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করার অনুরোধ জানান তিনি।

ক্ষুদ্র প্লাস্টিক বর্জ্যের ভয়াবহতা তুলে ধরেন এসডোর মহাসচিব শাহরিয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দূষণ রোধে আমাদের সেই সময়ে ফিরে যেতে হবে যখন বাজারে স্যাশে (মিনিপ্যাক) ছিল না এবং মানুষ কেনাকাটার জন্য রিফিল সিস্টেম ব্যবহার করত। …আমাদের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের কাঁচামাল, উৎপাদন ও বিপণনের ওপর অধিক শুল্ক আরোপ করতে হবে।’

বৈঠকে জানানো হয়, শুধু কক্সবাজারেই এক বছরে ৬৯ হাজার ৮৪১ টন (১৩৯৬৮ টন মিনিপ্যাক) একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য পাওয়া গেছে। আর কুতুপালং এলাকায় মিলেছে ৯ হাজার ৭৩ টন (১৬৩৩ টন মিনিপ্যাক) টন।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

» ‘মব সন্ত্রাসে’ হত্যা ২০২৫ সালে আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে

সম্প্রতি