alt

প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট বর্জ্য বছরে ২ লাখ টন

এই বর্জ্যরে ৪০ শতাংশই খাদ্যপণ্যের

: শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

প্রতি বছর দেশে এক লাখ ৯২ হাজার ১০৪ টন প্লাস্টিক স্যাশে বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। এই ‘স্যাশে বর্জ্য’ যা আমাদের কাছে মিনি প্যাক বা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নামে পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষ দৈনিক প্রায় ১৩ কোটি বা ১২৯ মিলিয়ন স্যাশে ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে।

শনিবার (২ জুলাই) ‘প্লাস্টিক স্যাশে : স্মল প্যাকেট উইথ হিউজ এনভায়রনমেন্ট ডেস্ট্রাকশন’ শিরোনামের একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো)। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত ঢাকা, রংপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগে পরিচালিত একটি জরিপের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

সমীক্ষা অনুসারে, দেশে প্লাস্টিক স্যাশে বা মিনি প্যাকের ব্যবহার এবং ব্যবহার পরবর্তী বর্জ্য সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। সেখানে এসডোর এই গবেষণা অনুসারে, প্লাস্টিকের স্যাশে পণ্যকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, দেশে উৎপন্ন মোট প্লাস্টিক ব্যাগের ৪০ শতাংশ খাদ্যসামগ্রী থেকে তৈরি হয়, এরপরে প্রসাধনী পণ্য (২৪ শতাংশ), ওষুধ (৪ শতাংশ), পানীয়, ঘর পরিষ্কারের পণ্য, রান্নার উপাদান ৭ শতাংশ ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে।

৪০ শতাংশ খাবারের স্যাশের মধ্যে আছে চিপস, টমেটো সস, জুস এবং গুঁড়া দুধ, কফি, ইত্যাদি। ওষুধের স্যাশের মধ্যে আছে, স্যালাইনের প্যাকেট এবং মেডিসিন স্ট্রিপ। কসমেটিকস স্যাশের মধ্যে আছে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, টুথপেস্ট এবং মাউথ ফ্রেশনার। রান্নার উপাদানগুলো মসলা প্যাকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণায় ঢাকা ও রংপুরের ৩৫৩ জন উত্তরদাতার কাছ থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্যাম্পু/ কন্ডিশনার (৬৯ শতাংশ), স্যালাইন প্যাক (৫০ শতাংশ), ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাউডার (৩০ শতাংশ) ক্রয় করেছেন। প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা যায়, ব্যবহারকারীরা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের স্যাশে (মিনি প্যাক) ব্যবহার করেছেন।

মন্ট্রিয়ালের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি নতুন গবেষণায় পাওয়া গেছে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের চা ব্যাগে আমাদের মগে প্রায় ১১.৬ বিলিয়ন মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা এবং ৩.১ বিলিয়ন ন্যানো প্লাস্টিক নির্গত হয়।

সাবেক সচিব এবং এসডোর সভাপতি সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, ‘প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট আকারে ছোট হলেও পরিবেশে এর প্রভাব বিশাল।’ তিনি সরকারের কাছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে বিশেষ করে স্যাশে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ কার্যকর করার অনুরোধ জানান।

প্লাস্টিক স্যাশের ভয়াবহ দিক তুলে ধরে এসডোর উপদেষ্টা বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে মানুষ মিনি প্যাকেটের ওপর অনেকবেশি নির্ভরশীল। তাই জনগণের মধ্যে আরও সচেতনতা তৈরি করতে হবে, যাতে তারা এই মিনি প্যাকেটগুলো ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন। এছাড়া উৎপাদকদের উচিত এইসব স্যাশে উৎপাদন বন্ধ করে রিফিল সিস্টেমের দিকে এগিয়ে যাওয়া।’

এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দূষণ রোধে আমাদের সেই সময়ে ফিরে যেতে হবে যখন বাজারে স্যাশে ছিল না এবং মানুষ কেনাকাটার জন্য রিফিল সিস্টেম ব্যবহার করত। তিনি আরও বলেন, আমাদের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের কাঁচামাল, উৎপাদন ও বিপণনের ওপর অধিক শুল্ক আরোপ করতে হবে।’

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা এ বিষয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সরকারকে প্লাস্টিকের স্যাশের পরিবর্তে সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প প্রচার করতে এবং একটি আইনি কাঠামো বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ এনভায়রনমেন্টাল অ্যাসেম্বলি (ইউনিয়া ৫.২) এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটি আন্তঃসরকারি কমিটি গঠন করার এবং ২০২৪ সালের মধ্যে লিগ্যালি বাইন্ডিং প্লাস্টিক কনভেনশন নিয়ে আলোচনা ও চূড়ান্ত করার। বাংলাদেশসহ ১৭৫টি দেশ এই বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। তাই আমাদের উচিত নিজেদের এর জন্য প্রস্তুত করা এবং দেশব্যাপী একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১৯৯০ সালে এসডো প্রতিষ্ঠার পর জীববৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি ১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম পলিথিনবিরোধী আন্দোলন শুরু করে, যার ফলে ২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন শপিং ব্যাগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ছবি

ডেমু ট্রেন কেনায় রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের মামলা

ছবি

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির বৈঠক

ছবি

ট্রাইব্যুনাল: নাহিদের সাক্ষ্য বুধবার, মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা: বাংলাদেশ-ভারতের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আন্তঃনির্ভতা নতুন সুযোগে রূপান্তরের সম্ভাবনা

ছবি

ধর্মীয় উৎসবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নয়, সমান নাগরিক অধিকারের বাংলাদেশ চান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য বুধবার

ছবি

জুলাই আন্দোলন: ইনু-নূরসহ ৯ আসামির ভার্চুয়াল হাজিরা

ছবি

বাংলাদেশে উষ্ণায়নের প্রভাব: কর্মদিবস নষ্ট, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য সচিব

ছবি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে অঙ্গীকার ইউনূসের

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি : মাইকেল মিলার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

ছবি

সেপ্টেম্বরের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ছবি

দ্বিমতের কোনো জায়গা নাই, এই সুযোগ আর আসবে না: ইউনূস

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত সময়ের আগেই

ছবি

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোতে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাত: ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিদ্ধান্ত

ছবি

টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি: দেড় মাসে নিবন্ধন প্রায় ৮৯ লাখ শিশু

ছবি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যোগদান

ছবি

মানুষের জন্ম উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

আসামের ভূমিকম্পে কাঁপলো বাংলাদেশ

ছবি

নারীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২০ বছর করার ভাবনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সাগরে লঘুচাপ, ছয় বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই: উপদেষ্টা

ছবি

মরমী সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭ হাজার ছাড়াল, চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ১৪৭

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিআইজি ও মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম কারাগারে

tab

প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট বর্জ্য বছরে ২ লাখ টন

এই বর্জ্যরে ৪০ শতাংশই খাদ্যপণ্যের

শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

প্রতি বছর দেশে এক লাখ ৯২ হাজার ১০৪ টন প্লাস্টিক স্যাশে বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। এই ‘স্যাশে বর্জ্য’ যা আমাদের কাছে মিনি প্যাক বা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নামে পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষ দৈনিক প্রায় ১৩ কোটি বা ১২৯ মিলিয়ন স্যাশে ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে।

শনিবার (২ জুলাই) ‘প্লাস্টিক স্যাশে : স্মল প্যাকেট উইথ হিউজ এনভায়রনমেন্ট ডেস্ট্রাকশন’ শিরোনামের একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো)। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত ঢাকা, রংপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগে পরিচালিত একটি জরিপের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

সমীক্ষা অনুসারে, দেশে প্লাস্টিক স্যাশে বা মিনি প্যাকের ব্যবহার এবং ব্যবহার পরবর্তী বর্জ্য সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। সেখানে এসডোর এই গবেষণা অনুসারে, প্লাস্টিকের স্যাশে পণ্যকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, দেশে উৎপন্ন মোট প্লাস্টিক ব্যাগের ৪০ শতাংশ খাদ্যসামগ্রী থেকে তৈরি হয়, এরপরে প্রসাধনী পণ্য (২৪ শতাংশ), ওষুধ (৪ শতাংশ), পানীয়, ঘর পরিষ্কারের পণ্য, রান্নার উপাদান ৭ শতাংশ ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রী রয়েছে।

৪০ শতাংশ খাবারের স্যাশের মধ্যে আছে চিপস, টমেটো সস, জুস এবং গুঁড়া দুধ, কফি, ইত্যাদি। ওষুধের স্যাশের মধ্যে আছে, স্যালাইনের প্যাকেট এবং মেডিসিন স্ট্রিপ। কসমেটিকস স্যাশের মধ্যে আছে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, টুথপেস্ট এবং মাউথ ফ্রেশনার। রান্নার উপাদানগুলো মসলা প্যাকের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গবেষণায় ঢাকা ও রংপুরের ৩৫৩ জন উত্তরদাতার কাছ থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্যাম্পু/ কন্ডিশনার (৬৯ শতাংশ), স্যালাইন প্যাক (৫০ শতাংশ), ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাউডার (৩০ শতাংশ) ক্রয় করেছেন। প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা যায়, ব্যবহারকারীরা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের স্যাশে (মিনি প্যাক) ব্যবহার করেছেন।

মন্ট্রিয়ালের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি নতুন গবেষণায় পাওয়া গেছে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের চা ব্যাগে আমাদের মগে প্রায় ১১.৬ বিলিয়ন মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা এবং ৩.১ বিলিয়ন ন্যানো প্লাস্টিক নির্গত হয়।

সাবেক সচিব এবং এসডোর সভাপতি সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, ‘প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। প্লাস্টিকের মিনি প্যাকেট আকারে ছোট হলেও পরিবেশে এর প্রভাব বিশাল।’ তিনি সরকারের কাছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে বিশেষ করে স্যাশে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ কার্যকর করার অনুরোধ জানান।

প্লাস্টিক স্যাশের ভয়াবহ দিক তুলে ধরে এসডোর উপদেষ্টা বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে মানুষ মিনি প্যাকেটের ওপর অনেকবেশি নির্ভরশীল। তাই জনগণের মধ্যে আরও সচেতনতা তৈরি করতে হবে, যাতে তারা এই মিনি প্যাকেটগুলো ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন। এছাড়া উৎপাদকদের উচিত এইসব স্যাশে উৎপাদন বন্ধ করে রিফিল সিস্টেমের দিকে এগিয়ে যাওয়া।’

এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দূষণ রোধে আমাদের সেই সময়ে ফিরে যেতে হবে যখন বাজারে স্যাশে ছিল না এবং মানুষ কেনাকাটার জন্য রিফিল সিস্টেম ব্যবহার করত। তিনি আরও বলেন, আমাদের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের কাঁচামাল, উৎপাদন ও বিপণনের ওপর অধিক শুল্ক আরোপ করতে হবে।’

এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা এ বিষয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সরকারকে প্লাস্টিকের স্যাশের পরিবর্তে সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প প্রচার করতে এবং একটি আইনি কাঠামো বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ এনভায়রনমেন্টাল অ্যাসেম্বলি (ইউনিয়া ৫.২) এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটি আন্তঃসরকারি কমিটি গঠন করার এবং ২০২৪ সালের মধ্যে লিগ্যালি বাইন্ডিং প্লাস্টিক কনভেনশন নিয়ে আলোচনা ও চূড়ান্ত করার। বাংলাদেশসহ ১৭৫টি দেশ এই বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। তাই আমাদের উচিত নিজেদের এর জন্য প্রস্তুত করা এবং দেশব্যাপী একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১৯৯০ সালে এসডো প্রতিষ্ঠার পর জীববৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি ১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম পলিথিনবিরোধী আন্দোলন শুরু করে, যার ফলে ২০০২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন শপিং ব্যাগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।

back to top