image

গ্যাসের চাপ কম : সিলিন্ডার ভরছে না সিএনজি চালকদের ক্ষোভ

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ঢাকা শহরে সিএনজি চালিয়ে প্রতিদিন দুই বার লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিলে তো আমাদের চলবে না। এখন তো সারা দিন চলে যায় গ্যাসের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে, গাড়িতে যাত্রী কখন উঠাব।আগে দিনে একবার গ্যাস নিলে সারা দিন চলে যেত। এখন দিনে দুই বার গ্যাস নিয়েও সিলিন্ডার ভরছে না এমন ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবহনের চালক ও হেল্পাররা ।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্যাসের এমন সংকট দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহে রাজধানীর সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের চাপ কম থাকায় ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাচ্ছেন না চালকরা।

জানা গেছে, রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকার চারটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মধ্যে গ্যাসের ন্যূনতম চাপ রয়েছে এসটি পাওয়ার লিমিটেড নামের একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে। বাকিগুলোতে গ্যাস বিক্রি বন্ধ রয়েছে।

সিএনজিচালক আবাদুল মামুন বলেন, সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার ৩০০ টাকার গ্যাসে ভরে যায়। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে ১২০ টাকার বেশি গ্যাস নেওয়া যাচ্ছে না। যতবারই আসি পাম্পে, শুনি গ্যাসের চাপ কম। আগে যেখানে একবার গ্যাস নিলে সারাদিন চলে যেত, এখন সেখানে দিনে দুই-তিন বার নিতে হয়। আর লাইনে দাঁড়াতে হয় দুই-তিন ঘণ্টা। এখন তো গ্যাস নিতেই সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, যাত্রী আর কখন তুলব। এ অবস্থা চলতে থাকলে গাড়ির জমাও দিতে পারব না, নিজেকেও না খায়ে থাকতে হবে।

এসটি পাওয়ারের ঠিক উল্টো পাশে অবস্থিত মক্কা সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনটিতে গ্যাসের চাপ নেই। তাই গ্যাস নিতে আসা গাড়ির চালকরা ফিরে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে স্টেশনটির বিক্রয় কর্মী আতিক জানান, এক সপ্তাহ ধরে গ্যাসের চাপ না থাকায় তারা পাম্পের মেশিন বন্ধ রেখেছে। গ্যাসের চাপ ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তারা মেশিন চালু করবেন না।

কিন্তু দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়েও চাহিদা মতো গ্যাস পাচ্ছেন না চালকরা। চাহিদা মতো গ্যাস না পেয়ে ও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চালকরা ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

তিনি বলেন, আমার গাড়ির সিলিন্ডার পূর্ণ হতে সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু পাব মাত্র ১৫০-২০০ টাকার গ্যাস। এতে তো সারাদিন চলবে না। আবার বিকেলের দিকে লাইনে দাঁড়াতে হবে দুই-তিন ঘণ্টা গ্যাসের জন্য।

একই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানের চালক বলেন, রাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, মাঝে মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ এসে বলছে রাস্তা ছাড়তে। রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এই লাইনও সামনে এগোচ্ছে না। এসব সমস্যার কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে আমাদের গ্যাস নিতে আসতে দিনে দুই-তিন বার।

শুধু চালকরাই নয়, গ্যাসের চাপ কম থাকায় বিড়ম্বনায় আছেন রিফুয়েলিং কর্তৃপক্ষও। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্যাস না থাকার কারণে একদিকে যেমন তাদের বিক্রি কমেছে, তেমনি স্টেশনে প্রতিদিন সৃষ্টি হতে থাকা লম্বা লাইন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এসটি পাওয়ার লিমিটেড রিফুয়েলিং স্টেশনের বিক্রয় কর্মী বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে গ্যাসের চাপের এ অবস্থা চলছে। বিষয়টি আমরা তিতাসকে জানাই। তারা এসে গ্যাসের পাইপ পরীক্ষা করে চলে যায়। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। তারা বলেও যায়নি যে কি কারণে গ্যাসের চাপ কমে গেছে। আমরা বিভিন্নভাবে শুনেছি, লাইনে গ্যাসের সংকট রয়েছে।

গ্যাসের চাপ না থাকায় আমাদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আগে যেখানে প্রতিদিন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গ্যাস বিক্রি করা যেত এখন তা নেমে এসেছে ১ লাখে। কখন এ সমস্যার সমাধান হবে তাও আমরা জানি না।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

» দিল্লি থেকে হাইকমিশনারকে ঢাকায় জরুরি তলব, বৈঠক করলেন নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

» হাদি হত্যাকাণ্ড-: সিবিউন, সঞ্জয় ও ফয়সালের তিন দিনের রিমান্ড

» ৪৬তম বিসিএসের বুধবার ও কালের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত

সম্প্রতি