alt

গণতন্ত্রর ধারাবাহিক না থাকলে দেশ উন্নয়ন হতো না: প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশেরও উন্নতি হয়েছে।গণতান্ত্রিক ধারা ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার আছে বলেই এই উন্নয়ন ।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউক ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়িত ১১টি প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ যারা একবেলা ক্ষুধার অন্ন জোগাড় করতে পারত না। এই বঞ্চনার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া এবং বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা দেয়াই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর এ দেশে ক্ষমতা বদল হয়েছে বন্দুকের নল দিয়ে। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে, হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যে গণতান্ত্রিক ধারা যে অব্যাহত হয়েছিল সেটা ব্যাহত হয়ে যায়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং মার্শাল ল’ জারি করা হয়, এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। আর সেই ধারায় ২১ বছর সরকার পরিচালিত হয়েছে। যার ফলে মানুষের যে উন্নয়ন এবং উন্নয়নের গতি ব্যাহত হয়েছিল।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যেমন তিনি (বঙ্গবন্ধু) ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সীমিত সম্পদ নিয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অপরদিকে সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি প্রথম ৯ ভাগের ওপর অর্জিত হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমলে ১৯৭৫ সালে। কিন্তু পঁচাত্তরের পরে সেই অগ্রগতি সম্পূর্ণ থেমে যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী; জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য। তাই ২১ বছরে উন্নয়নটা হতে পারেনি। ’৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্তত আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম।

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ২

ছবি

এলপি গ্যাস: ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়লো ৩৮ টাকা

ছবি

নির্বাচন: লটারিতে ৫২৭ ওসির বদলি ভাগ্য নির্ধারণ

ছবি

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কর্মশালা হঠাৎ স্থগিত

ছবি

খালেদার শারীরিক অবস্থার ওপর ‘নির্ভর করছে’ তারেকের দেশে ফেরা

ছবি

খালেদা জিয়ার ‘অতিগুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা’ কার্যকরের নির্দেশ সরকারের

ছবি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানালেন, তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাস চাননি

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৬১০ জন হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ২

ছবি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ১৮ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ গেল জাপানে

ছবি

তারেক রহমানের দেশে আসতে আইনগত বাধা আছে বলে জানা নেই: আইন উপদেষ্টা

ছবি

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চাভিলাষী সংস্কার নতুন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

ছবি

পূর্বাচল প্লট দুর্নীতি মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিক দণ্ডিত

পোস্টাল ভোট: প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন এক লাখ ছাড়ালো

ছবি

কামালকে দিয়ে প্রত্যর্পণ শুরুর তথ্য নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকারি এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব যথাযথ নয়: বিইআরসি

১২২ বার পেছালো প্রতিবেদন জমার সময়

ছবি

বিডিআর বিদ্রোহ: হত্যাকাণ্ডে ‘হাসিনার সায়, জড়িত আওয়ামী লীগ, মূল সমন্বয়কারী তাপস’, বলছে তদন্ত কমিশন

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৩৬ জন

ছবি

খালেদা জিয়া: কিডনির কার্যক্ষমতায় স্থিতিশীলতা ছাড়া পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর’ বলছেন চিকিৎসকরা

ছবি

তারেক ফিরতে চাইলে একদিনে ট্রাভেল পাস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে ট্রাইব্যুনালে তলব

ছবি

কামালকে প্রত্যর্পণের অফিসিয়াল তথ্য নেই : পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা

ছবি

উপদেষ্টা পরিষদের সভা: এনজিও নিবন্ধনের নিয়ম ও অনুদান অবমুক্তির শর্ত সহজ হচ্ছে

সমালোচনামূলক কনটেন্ট সরাতে গুগলকে অনুরোধের যে ব্যাখ্যা দিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

ছবি

বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে

ইন্টারপোলের সম্মেলন শেষে দেশে ফিরলেন আইজিপি

ছবি

ডেঙ্গু: নভেম্বর মাসে হাসপাতালে ২৩,৮৯৪ জন, মৃত্যু ৯৪

ছবি

তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে, ভোটের প্রস্তুতি মোটামুটি শেষ: সিইসি

ছবি

তারেকের দেশে ফেরা ‘নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই’, সরকারের কোনো নিষেধ নেই, বললেন প্রেস সচিব

ছবি

খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’, বিদেশে নেয়ার পরিস্থিতি নেই

ছবি

তারেক রহমানের দেশে ফেরায় সরকারের কোনো বাধা নেই: প্রেস সচিব

ছবি

আরব আমিরাতে আরও ২৪ বন্দীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে: আসিফ নজরুল

ছবি

ত্বকী হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দাখিলে তদন্ত কর্মকর্তাকে তাগিদ আদালতের

ছবি

‘চাপের মুখে’ প্রশাসন, স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ চায় বিএএসএ

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন

tab

গণতন্ত্রর ধারাবাহিক না থাকলে দেশ উন্নয়ন হতো না: প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশেরও উন্নতি হয়েছে।গণতান্ত্রিক ধারা ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার আছে বলেই এই উন্নয়ন ।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউক ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়িত ১১টি প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ যারা একবেলা ক্ষুধার অন্ন জোগাড় করতে পারত না। এই বঞ্চনার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া এবং বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা দেয়াই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর এ দেশে ক্ষমতা বদল হয়েছে বন্দুকের নল দিয়ে। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে, হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যে গণতান্ত্রিক ধারা যে অব্যাহত হয়েছিল সেটা ব্যাহত হয়ে যায়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং মার্শাল ল’ জারি করা হয়, এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। আর সেই ধারায় ২১ বছর সরকার পরিচালিত হয়েছে। যার ফলে মানুষের যে উন্নয়ন এবং উন্নয়নের গতি ব্যাহত হয়েছিল।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যেমন তিনি (বঙ্গবন্ধু) ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সীমিত সম্পদ নিয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অপরদিকে সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি প্রথম ৯ ভাগের ওপর অর্জিত হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আমলে ১৯৭৫ সালে। কিন্তু পঁচাত্তরের পরে সেই অগ্রগতি সম্পূর্ণ থেমে যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী; জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য। তাই ২১ বছরে উন্নয়নটা হতে পারেনি। ’৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্তত আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম।

back to top