image

বায়ুদূষণ রোধে কাল থেকে বিশেষ অভিযান

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বায়ুদূষণ রোধে আজ মঙ্গলবার থেকে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন। এছাড়া এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনে অভিযানে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানান।

আজ মঙ্গলবার নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেন তিনি। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ অধিদফতরে বর্তমানে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে বুধবার(আজ) থেকেই বায়ুদূষণকারী প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।’

অভিযানের সংখ্যা ও পরিধি বাড়াতে জরুরিভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাতে বলেছেন তিনি। একইসাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য দিতে জননিরাপত্তা বিভাগকে অনুরোধ করেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশের বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। তাই বায়ুদূষণ রোধে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে কার্যকর আইনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

পরিবেশমন্ত্রী এসময় হাইড্রলিক হর্ন ও শব্দদূষণ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশ দেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মনিরুজ্জামান,

অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।

গত রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত কর্মশালায় বেসরকারি সংস্থা ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম এই কর্মশালার এক গবেষণার বলা যায়, দূষণের মানমাত্রা বিবেচনায় বছরের বেশির ভাগ সময় ‘অস্বাস্থ্যকর’ থাকে রাজধানী ঢাকার বাতাস। মাঝেমধ্যে এটা ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে গিয়েও ঠেকে। বিশেষত শীতকালে বায়ুদূষণ পরিস্থিতি থাকে সবচেয়ে খারাপ। ৪৮ দিন ছাড়া বছরের বাকি সময় (৩১৭ দিন) ঢাকার বাতাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্মল বায়ুর মানমাত্রার চেয়ে খারাপ থাকে। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে শীতকালে ঢাকার বাতাস ১৬ গুণ বেশি দূষিত থাকছে। গবেষণাটি ঢাকা শহরের পানি, বায়ু ও শব্দদূষণবিষয়ক পরিবীক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে করা হয়েছে।

মৃত্যু ১ লাখ ৮৬ হাজার:

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বায়ুদূষণের বড় কারণ অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম ২ দশমিক ৫ ও পিএম ১০)। বায়ুদূষণজনিত নানা রোগবালাইয়ে প্রতিবছর ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। মৃত্যুর জন্য ৬৩ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী ঘরের বাইরের বায়ুদূষণ। আর ৩৭ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী ঘরের ভেতরের দূষিত বায়ু। সেখানে নির্মাণকাজের ধুলা, শিল্পকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়াকে বায়ুদূষণের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, রান্না করার জন্য চুলায় জীবাশ্ম জ্বালানির (কাঠ, খড়, গোবর ও পাতা পোড়ানো) ব্যবহারও দূষণ ও মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

‘জাতীয়’ : আরও খবর

সম্প্রতি