alt

রূপপুর নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষেপে গেলেন মন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক: : বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। মন্ত্রণালয়ের অন্য বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করায় হঠাৎ ক্ষেপে যান মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের ভর্ৎসনা করে অনুষ্ঠানকক্ষ থেকে বের হয়ে যেতেও বলেন তিনি।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এ ঘটনা ঘটে।বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলার পর এক সাংবাদিক বলেন, ‘মন্ত্রী, আমরা দু-একটি প্রশ্ন করে চলে যেতে চাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বলো ভাই। তোমাদের তো সময়ের দাম আছে। এতগুলো কথা বললাম, এগুলা কি একটাও কাজের কথা হয়নি। আচ্ছা বলো।’

রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল সরবরাহে কত দেরি হতে পারে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘ওই ব্যাপারে এখন কিছু বলব না। এত কথার মধ্যে তোমরা চলে গেলে রূপপুরে।

এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, এ প্রশ্ন আজকের ওয়ার্কশপের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

পরে মন্ত্রী সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি বুঝি না, তোমরা প্রফেশনাল না? আর ইউ প্রফেশনাল? লেট মি দিস অ্যান্সার? ইউ আর প্রফেশনাল, লাইক মি আর্কিটেকচার। তোমরা তো প্রফেশনাল। তোমাদের রেগুলার প্রফেশনাল স্ট্যাডির ব্যবস্থা আছে? নাই।’

এ সময় উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, ‘আছে আছে।’ তখন মন্ত্রী বলেন, ‘ঘোড়ার ডিম আছে তোমাদের। আমাদের একটা ইনস্টিটিউট আছে ওখান থেকে যদি সার্টিফিকেট না পাও, ইউ ক্যান নট প্র্যাকটিস। কারণ হলো, ওটার (ইনস্টিটিউট) শুরুটা হয় আমার হাত দিয়ে। ওইগুলো করো আগে। বিকজ, আমরা বাংলাদেশকে ওই জায়গায় নিতে চাই।’

মন্ত্রীর এ কথায় এক সাংবাদিক বলেন, ‘বাধ্যবাধকতা নেই যে সনদ ছাড়া সাংবাদিকতা করা যাবে না।’

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওইটাই তো প্রবেলম। তোমার যদি একটা ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকে, কালকে বলে দিলা তুমি সাংবাদিক। তুমি তো প্রফেশনালিজমের কিছু বোঝোই না। একটা প্রফেশন, তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। একটা কথা বলে দিলা, যেকোনো জায়গা থেকে চলে আসলে, তার মানে তোমাদের কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই।’

তিনি বলেন, ‘তোমার প্রফেশনালি যদি জ্ঞান-গরিমা থাকে, ন্যাচারালি তখন তুমি একভাবে বলবা, আর যদি না থাকে আরেকভাবে বলবা। তারপরও তুমি বলছো। অ্যানিওয়ে ভাই, আমি তোমার এই কথায় যেতে চাই না। একদিন আইসো, তোমাদের বসদের সঙ্গে কথা হয় তো, উনাদের সঙ্গেই কথা বলব। তোমাদের সঙ্গে বলে আর লাভ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আচ্ছা, এই সাবজেক্ট বাদ দিয়ে দাও। আমি ওই জন্য বলছি, তোমরা এই সাবজেস্টের ওপর ধর না কেন? এটা বাদ দিয়ে তুমি চলে গেলে অন্য জায়গায়। এটা নিয়ে আর কোনো কথাই হবে না। তুমি এখানে আসছো কী জন্য? তুমি রূপপুরের ব্যাপারে কথা বলতে আসছো? এখান থেকে তোমার প্রশ্ন বের করতে হবে, উত্তর নিতে হবে। সেটা হলে তুমি প্রোপার জিনিসটা করলা।’

তখন এক সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা যারা সাংবাদিকতায় কাজ করি তাদের সাবজেক্টের বাইরেও প্রশ্ন করতে হয়। আপনাকে আমরা পাই না, গত ৮-৯ মাসে আপনার প্রোগ্রামে আসিনি, এই প্রথম এলাম। তাও আবার জরুরি ভিত্তিতে আসতে বলেছেন। ১১টার প্রোগ্রাম, ১১টা ১০ মিনিটে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা বড় জিনিস মনে করে চলে এসেছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জনগণের জানার আগ্রহ আছে। জনসাধারণের ভিউ থেকে আমাদেরও অনেক কিছু জানতে হয়।’

এ সময় মন্ত্রী ধমকের সুরে ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘আমি একটা কথা পরিষ্কার বলে যাই, ইউ লিসেন টু মি। আপনারা যদি না আসতে চান, চলে যান। গেট গোয়িং।’

মন্ত্রী ধমকের সুরে কথা বলায় সাংবাদিকরা বের হয়ে যেতে চান। তখন মন্ত্রী বলেন, ‘ইউ শুড গো। আমি বললাম প্রশ্নটা ওটার ওপর না করে এটার ওপরে করেন। এটা বলতে পারব না আমি?’

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন: প্রেস সচিব

ছবি

আইআরআইয়ের প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচনী পরিবেশ এখনও নাজুক

ছবি

মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলেন সেতু বিভাগের সচিব

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দেয়া হয়েছিল দাবি অ্যাটর্নি জেনারেলের

হালদা নদীকে মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: দলগুলোকে দায়িত্ব দেয়ার চার দিনেও অগ্রগতি নেই

ছবি

শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে বড় বাধা দুর্বল আইন, শক্তিশালীকরণের দাবি

ছবি

ইন্টারনেট বন্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, বিলুপ্ত হচ্ছে এনটিএমসি

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ জন

ছবি

আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনও কাজ হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

জুলাইযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন

ছবি

সাবেক বিচারপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১,০৬৯ জন

জামিনে মুক্তি পাওয়া আ’লীগ নেতারা অপরাধে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

ছবি

তদন্ত প্রতিবেদন: পাইলটের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়

ছবি

বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার আগ্রহ আয়ারল্যান্ডের

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আশা সেনাবাহিনীর

ছবি

অগ্নিঝুঁকিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যাগার, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ, নিরাপত্তা জোরদার

ছবি

নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা আসবে, সেনাবাহিনী ফিরবে ব্যারাকে: জিওসি মাইনুর রহমান

ছবি

নিষিদ্ধ দলের মিছিলের চেষ্টা করলে আইনের কঠোর প্রয়োগ: প্রেস সচিব

দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা: হাই কোর্টের বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের অপসারণ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ গেল ১০ জনের

ছবি

আইসিটি মামলায় আটক ১৫ সেনা কর্মকর্তার চাকরি নিয়ে সেনাসদরের ব্যাখ্যা: “এটি একটি আইনগত প্রক্রিয়া”

ছবি

১৪ মাসে ৪০ বিচারবহির্ভূত হত্যা, আইনের মাধ্যমে ফয়সালা করা হবে: স্বরাষ্ট্র্র উপদেষ্টা

ছবি

আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি: বিএনপির আপত্তি আমলে নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার

কোটা আন্দোলনে হামলায় ঢাবির আরও ২৭৫ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত

ছবি

নির্বাচন: দেড় লাখের মধ্যে ৪৮ হাজার পুলিশের প্রশিক্ষণ শেষ

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তিনবারেও সাক্ষী হাজিরে ব্যর্থ প্রসিকিউশন

ছবি

নভেম্বর মাসেও কমছে না ডেঙ্গু, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

ছবি

সনদ, গণভোট: দলগুলোকে দ্রুত ‘সিদ্ধান্ত’ নেয়ার আহ্বান, নইলে পদক্ষেপ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় মাধবদীতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি

ছবি

বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্কের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

বিটিআরসির প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে: আইএসপিএবি

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪৭ জন

ছবি

পঞ্চদশ সংশোধনী পুরো বাতিল চেয়ে আপিল

tab

রূপপুর নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষেপে গেলেন মন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:

বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষেপে গেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। মন্ত্রণালয়ের অন্য বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করায় হঠাৎ ক্ষেপে যান মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের ভর্ৎসনা করে অনুষ্ঠানকক্ষ থেকে বের হয়ে যেতেও বলেন তিনি।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এ ঘটনা ঘটে।বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলার পর এক সাংবাদিক বলেন, ‘মন্ত্রী, আমরা দু-একটি প্রশ্ন করে চলে যেতে চাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বলো ভাই। তোমাদের তো সময়ের দাম আছে। এতগুলো কথা বললাম, এগুলা কি একটাও কাজের কথা হয়নি। আচ্ছা বলো।’

রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল সরবরাহে কত দেরি হতে পারে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘ওই ব্যাপারে এখন কিছু বলব না। এত কথার মধ্যে তোমরা চলে গেলে রূপপুরে।

এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, এ প্রশ্ন আজকের ওয়ার্কশপের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

পরে মন্ত্রী সাংবাদিকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি বুঝি না, তোমরা প্রফেশনাল না? আর ইউ প্রফেশনাল? লেট মি দিস অ্যান্সার? ইউ আর প্রফেশনাল, লাইক মি আর্কিটেকচার। তোমরা তো প্রফেশনাল। তোমাদের রেগুলার প্রফেশনাল স্ট্যাডির ব্যবস্থা আছে? নাই।’

এ সময় উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, ‘আছে আছে।’ তখন মন্ত্রী বলেন, ‘ঘোড়ার ডিম আছে তোমাদের। আমাদের একটা ইনস্টিটিউট আছে ওখান থেকে যদি সার্টিফিকেট না পাও, ইউ ক্যান নট প্র্যাকটিস। কারণ হলো, ওটার (ইনস্টিটিউট) শুরুটা হয় আমার হাত দিয়ে। ওইগুলো করো আগে। বিকজ, আমরা বাংলাদেশকে ওই জায়গায় নিতে চাই।’

মন্ত্রীর এ কথায় এক সাংবাদিক বলেন, ‘বাধ্যবাধকতা নেই যে সনদ ছাড়া সাংবাদিকতা করা যাবে না।’

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওইটাই তো প্রবেলম। তোমার যদি একটা ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকে, কালকে বলে দিলা তুমি সাংবাদিক। তুমি তো প্রফেশনালিজমের কিছু বোঝোই না। একটা প্রফেশন, তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। একটা কথা বলে দিলা, যেকোনো জায়গা থেকে চলে আসলে, তার মানে তোমাদের কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই।’

তিনি বলেন, ‘তোমার প্রফেশনালি যদি জ্ঞান-গরিমা থাকে, ন্যাচারালি তখন তুমি একভাবে বলবা, আর যদি না থাকে আরেকভাবে বলবা। তারপরও তুমি বলছো। অ্যানিওয়ে ভাই, আমি তোমার এই কথায় যেতে চাই না। একদিন আইসো, তোমাদের বসদের সঙ্গে কথা হয় তো, উনাদের সঙ্গেই কথা বলব। তোমাদের সঙ্গে বলে আর লাভ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আচ্ছা, এই সাবজেক্ট বাদ দিয়ে দাও। আমি ওই জন্য বলছি, তোমরা এই সাবজেস্টের ওপর ধর না কেন? এটা বাদ দিয়ে তুমি চলে গেলে অন্য জায়গায়। এটা নিয়ে আর কোনো কথাই হবে না। তুমি এখানে আসছো কী জন্য? তুমি রূপপুরের ব্যাপারে কথা বলতে আসছো? এখান থেকে তোমার প্রশ্ন বের করতে হবে, উত্তর নিতে হবে। সেটা হলে তুমি প্রোপার জিনিসটা করলা।’

তখন এক সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা যারা সাংবাদিকতায় কাজ করি তাদের সাবজেক্টের বাইরেও প্রশ্ন করতে হয়। আপনাকে আমরা পাই না, গত ৮-৯ মাসে আপনার প্রোগ্রামে আসিনি, এই প্রথম এলাম। তাও আবার জরুরি ভিত্তিতে আসতে বলেছেন। ১১টার প্রোগ্রাম, ১১টা ১০ মিনিটে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা বড় জিনিস মনে করে চলে এসেছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জনগণের জানার আগ্রহ আছে। জনসাধারণের ভিউ থেকে আমাদেরও অনেক কিছু জানতে হয়।’

এ সময় মন্ত্রী ধমকের সুরে ওই সাংবাদিককে বলেন, ‘আমি একটা কথা পরিষ্কার বলে যাই, ইউ লিসেন টু মি। আপনারা যদি না আসতে চান, চলে যান। গেট গোয়িং।’

মন্ত্রী ধমকের সুরে কথা বলায় সাংবাদিকরা বের হয়ে যেতে চান। তখন মন্ত্রী বলেন, ‘ইউ শুড গো। আমি বললাম প্রশ্নটা ওটার ওপর না করে এটার ওপরে করেন। এটা বলতে পারব না আমি?’

back to top