alt

জাতীয়

ভর্তুকি আর কত, গ্যাস-বিদ্যুৎ দেয়া যাবে ক্রয়মূল্যে : প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে চাইলে গ্রাহককে এর ক্রয়মূল্যে অর্থাৎ উৎপাদন খরচ যত, তত টাকা পরিশোধের মানসিকতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। জাতীয় স্বার্থে জনগণকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ‘বিনিয়োগ ভবন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সরকারপ্রধান এ মন্তব্য করেন।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইংল্যান্ড দেড়শ’ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু সেই পর্যায়ে যাইনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ দেয়া যাবে ক্রয়মূল্যে। আর কত ভর্তুকি দেয়া যায়। আর এক্ষেত্রে কেন দেব। আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে।’

নতুন বছরের শুরুতেই একবার গ্যাসের দাম এবং দুই দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সরকার। মার্চ থেকে খুচরা বিদ্যুতের মূল্য আরেক দফা বাড়তে পারে, এমনটি বলছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কিনে নেয় রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এক্ষেত্রে সরকারি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গড়ে দেড় টাকার মধ্যে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও বেসরকরি তেলভিত্তিক কোন কোন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২২ টাকা কিংবা ক্যাপাসিটি চার্জের কারণে এরচেয়ে অনেক বেশি দরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনে পিডিবি। ফলে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর বেড়ে যায়।

এরপর পিডিবি উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা কম দামে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে প্রতি বছরই লোকসানে থাকে। সাধারণ গ্রাহকদের একটি বড় অংশও উৎপাদন খরচের চেয়ে কমা দামে বিদ্যুৎ পায়। লোকসান কামতে পিডিবিকে ভর্তুকি দেয় সরকার।

বর্তমানে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২ টাকা খরচ হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। তাতেই আমরা অনেক চিৎকার শুনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেয়া যাবে যদি সবাই ক্রয়মূল্য যা হবে, সেটা দিতে রাজি থাকে। তাহলে দেয়া যাবে। তাছাড়া আর কত ভর্তুকি দেয়া যায়।’

আমদানিকৃত ডিজেলে আগে থেকেই ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। তবে চলামন গ্যাস সংকট মোকাবিলায় ব্যয়বহুল এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির কারণে জ্বালানি খাতে ভর্তুরি পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি প্রয়োজন হবে বলে হিসাব করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই খাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা করে ভর্তুকি বরাদ্দ করা হয়।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ভর্তুকি ১২ হাজার কোটি টাকা এবং গ্যাস খাতে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি দেয়া হয়েছিল। গত এক যুগে এই দুই খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।

অতি দরিদ্র বা দরিদ্র জনগণের জন্য বিদ্যুতের ভর্তুকি এখন বহাল থাকলেও মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত এবং ব্যবসায়ীদের আর ভর্তুকি মূল্যে গ্যাস-বিদ্যুৎ দিতে চাচ্ছে না সরকার।

প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক এক ভাষণেও এমন ইঙ্গিত দেন। ব্যবসায়ীদের তিনি উৎপাদন মূল্যে গ্যাস ক্রয়ের আহ্বান জানান ওই ভাষণে।

রোববার বিনিয়োগ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা করোনা মোকাবিলা করতে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা চালু থাকে। প্রণোদনা দেয়ার ফলেই অর্থনীতির গতিটা সচল রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্যই ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার। আমরা পৌঁছে দিয়েছি। জেনারেটরের ওপর যে ট্যাক্স ছিল, সেই ট্যাক্স আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিল্প-কলকারখানায় যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়েছে।’

গত বছর নভেম্বরে পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফলে ডিসেম্বর থেকে পিডিবি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ৫ টাকা ১৭ পয়সা ছিল।

বিইআরসির তথ্য অনুযায়ী, নতুন মূল্য কার্যকর হওয়ার ফলে পিডিবির আয় বছরে আট হাজার কোটি টাকা বাড়বে। ইউনিটপ্রতি দাম বাড়িয়ে ৮ টাকা ২৮ পয়সা করলে পিডিবি পুরো ১৭ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি থেকে পিডিবি মুক্ত হতে পারত।

এ বছর ৩০ জানুয়ারি সরকারের নির্বাহী আদেশে পিডিবির পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৮ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়।

এদিকে গত জানুয়ারির ১২ তারিখে খুচরা বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ, ১৮ জানুয়ারি গ্যাসের দাম শিল্পে ১৬০ শতাংশ, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৭৮ শতাংশ ও বাণিজ্যিক খাতে ১৪ শতাংশ বাড়ানো হয়।

উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে, বিশেষ করে সারাদেশে গড়ে ওঠা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ করলে তাতে বিনিয়োগকারী যেমন লাভবান হবেন দেশেরও লাভ হবে।’

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৪ বছরে আপনাদের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি। শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা ব্যবসা করেন, এখন আর ওই হাওয়া ভবনের পয়সাও দিতে হয় না। কোন কিছুই করতে হয় না, সেই পরিবেশ আমরা তৈরি করে দিয়েছি।’

‘আর আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য একদম তৃণমূলের মানুষ। তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে, আমাদের নিজস্ব বাজার হচ্ছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আমাদের আশপাশের যে দেশগুলো রয়েছে, তাদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ স্থাপন করছি।’

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ভুটান, নেপাল, ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার সর্বক্ষেত্রেই চমৎকার একটি যোগাযোগের জায়গা। তাছাড়া এই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের বাজার, এই সুবিধাটা যে কেউ নিতে পারেন।’

‘আমরা কক্সবাজারে অন্তর্জাতিক মানের এয়ারপোর্ট করে দিচ্ছি, ঢাকার সঙ্গে সরাসরি রেললাইন করা হয়েছে, আমরা সড়কের উন্নয়ন করেছি। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে ইস্ট এবং ওয়েস্টের মধ্যে একটা ব্রিজ হতে পারে বাংলাদেশ। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলছি। আমরা মনে করি, আমাদের ভৌগোলিক যে অবস্থান, সেটাও অত্যন্ত অনুকূলে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাতারবাড়িতে ইতোমধ্যে ডিপ সি পোর্টের কার্যক্রম শুরু করেছে, পায়রা পোর্টের উন্নতি হচ্ছে, মোংলা পোর্টের উন্নয়ন করা হচ্ছে। বে টার্মিনালসহ আরও অনেক সুবিধা সরকার করে দিচ্ছে।’

পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে, সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। কারও সহযোগিতা বা সমর্থন পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু সমর্থন আমার জনগণ দিয়েছে। ফলে আমরা সফলতার সঙ্গে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি করেছি।’

দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুবিধা নিতে সবাইকে বিনিয়োগের আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমি এটুকু বলব, সবাই বিনিয়োগ করুন। এতে নিজেরাও লাভবান হবেন আবার আমার দেশটাও লাভবান হবে। আমাদের রপ্তানি বাস্কেট বাড়াতে হবে। কিছু নতুন পণ্য এবং বাজার আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। সেটাই হচ্ছে সবথেকে বড় কথা। কাজেই দেশি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের দেশ আরও উন্নত হোক, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা চাই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ হবে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা আমরা প্রণয়ন করে দিয়েছি এবং তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাও আমরা করে যাচ্ছি।’

‘এখানেই আমরা থেমে না থেকে ২১০০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে সেজন্য ডেল্টা পরিকল্পনাও প্রণয়ন করে দিয়েছি। কাজেই বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে সেটাই আমরা আশা করি। কাজেই আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত, আমি তাদের বলব, আপনারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করবেন, যাতে এই বাংলাদেশটাকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’

শুধু সোনার বাংলাদেশই নয়, বাংলাদেশকে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে আমাদের জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট, অর্থনীতি হবে স্মার্ট, ব্যবসা-বাণিজ্য হবে স্মার্ট, সবই আমরা ডিজিটাল সিস্টেমে করব।’

এর আগে বিনিয়োগ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বহুতল এই ভবনটি তিনটি সংস্থা বিডা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ছবি

জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র সবার কাম্য: আলী রীয়াজ

ছবি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা নয়, জানাল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

ছবি

মাসের শেষ দিকে নিম্নচাপের আভাস, ৮ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ

ছবি

সাবেক এমপি ও সংগীতশিল্পী মমতাজ ধানমন্ডিতে গ্রেপ্তার

পারভেজ হত্যা: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে টিনা

লম্বা ছুটির কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ছবি

জিআই সনদপ্রাপ্ত হাজরাপুরী লিচুমেলা বসেছে মাগুরায়

ছবি

বেরোবিতে ইউজিসির নিয়ম উপেক্ষা করে শিক্ষক নিয়োগ

ছবি

‘কোরবানির পশু পরিবহনে নৌপথে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা’

দেশে যেসব কারণে বাড়ে প্লেনের সিটের দাম

ছবি

জাতীয় সংগীত অবমাননার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠ

ছবি

পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসাসেবায় আত্মনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

এবার গুজরাট থেকে ৭৮ বাংলাদেশিকে পুশব্যাক, নির্যাতনের অভিযোগ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে সাজানো নাটক চলছে: মির্জা আব্বাস

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: জয় দেখাতে ক্ষয় আড়াল

একাত্তরে যারা জনযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল তারা অবস্থান ব্যাখ্যা করবে, আশা এনসিপির

ছবি

বাইসাইকেল কিনতে টাকা চুরি দেখে ফেলায় দুই খালাকে হত্যা

প্রজ্ঞাপন দেখে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সব সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, প্রজ্ঞাপন

হাসিনাই জুলাই হত্যার ‘নির্দেশদাতা’: ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন

ছবি

চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে ২৭.৭০% প্রবৃদ্ধি, হুন্ডি কমায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বৃদ্ধি

ছবি

চিকিৎসা ব্যয়ের চাপ, বিদেশে ডলার নেওয়ার অনুমোদিত সীমা বাড়লো

ছবি

র‍্যাব পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন

ছবি

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন: নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন দেখে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

ছবি

জুলাইয়ের দমন-পীড়নের ‘মাস্টারমাইন্ড ও হুকুমদাতা’ শেখ হাসিনা: ট্রাইব্যুনালের তদন্ত প্রতিবেদন

ছবি

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা

ছবি

দাবদাহ: ৭ পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বনশ্রীতে শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, গৃহকর্তা গ্রেপ্তার

এক যুগ পর ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া

নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম শক্ত হাতে দমন করা হবে -ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি

ছবি

পাথারিয়ায় বনভূমি দখল, জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ছবি

ঝিকরগাছা ও গুরুদাসপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, এক কর্মীর মৃত্যু

ছবি

২৫ মে পেট্রোল পাম্প মালিকদের কর্মবিরতির ঘোষণা

ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম তথ্য জানাতে রাডার স্টেশন চালু

ছবি

সারাদেশে গরম চরমে, অতিষ্ঠ মানুষ ও প্রাণিকুল

‘ট্রেড বাস্কেটে’ সর্বোচ্চ গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের

tab

জাতীয়

ভর্তুকি আর কত, গ্যাস-বিদ্যুৎ দেয়া যাবে ক্রয়মূল্যে : প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত রাখতে চাইলে গ্রাহককে এর ক্রয়মূল্যে অর্থাৎ উৎপাদন খরচ যত, তত টাকা পরিশোধের মানসিকতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। জাতীয় স্বার্থে জনগণকে বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ‘বিনিয়োগ ভবন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সরকারপ্রধান এ মন্তব্য করেন।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইংল্যান্ড দেড়শ’ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু সেই পর্যায়ে যাইনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ দেয়া যাবে ক্রয়মূল্যে। আর কত ভর্তুকি দেয়া যায়। আর এক্ষেত্রে কেন দেব। আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে।’

নতুন বছরের শুরুতেই একবার গ্যাসের দাম এবং দুই দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সরকার। মার্চ থেকে খুচরা বিদ্যুতের মূল্য আরেক দফা বাড়তে পারে, এমনটি বলছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কিনে নেয় রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এক্ষেত্রে সরকারি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গড়ে দেড় টাকার মধ্যে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও বেসরকরি তেলভিত্তিক কোন কোন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২২ টাকা কিংবা ক্যাপাসিটি চার্জের কারণে এরচেয়ে অনেক বেশি দরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনে পিডিবি। ফলে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর বেড়ে যায়।

এরপর পিডিবি উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা কম দামে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে প্রতি বছরই লোকসানে থাকে। সাধারণ গ্রাহকদের একটি বড় অংশও উৎপাদন খরচের চেয়ে কমা দামে বিদ্যুৎ পায়। লোকসান কামতে পিডিবিকে ভর্তুকি দেয় সরকার।

বর্তমানে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২ টাকা খরচ হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। তাতেই আমরা অনেক চিৎকার শুনি। গ্যাস-বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেয়া যাবে যদি সবাই ক্রয়মূল্য যা হবে, সেটা দিতে রাজি থাকে। তাহলে দেয়া যাবে। তাছাড়া আর কত ভর্তুকি দেয়া যায়।’

আমদানিকৃত ডিজেলে আগে থেকেই ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। তবে চলামন গ্যাস সংকট মোকাবিলায় ব্যয়বহুল এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির কারণে জ্বালানি খাতে ভর্তুরি পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ৬৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি প্রয়োজন হবে বলে হিসাব করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই খাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা করে ভর্তুকি বরাদ্দ করা হয়।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেও বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ভর্তুকি ১২ হাজার কোটি টাকা এবং গ্যাস খাতে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি দেয়া হয়েছিল। গত এক যুগে এই দুই খাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।

অতি দরিদ্র বা দরিদ্র জনগণের জন্য বিদ্যুতের ভর্তুকি এখন বহাল থাকলেও মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত এবং ব্যবসায়ীদের আর ভর্তুকি মূল্যে গ্যাস-বিদ্যুৎ দিতে চাচ্ছে না সরকার।

প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক এক ভাষণেও এমন ইঙ্গিত দেন। ব্যবসায়ীদের তিনি উৎপাদন মূল্যে গ্যাস ক্রয়ের আহ্বান জানান ওই ভাষণে।

রোববার বিনিয়োগ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা করোনা মোকাবিলা করতে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা চালু থাকে। প্রণোদনা দেয়ার ফলেই অর্থনীতির গতিটা সচল রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্যই ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার। আমরা পৌঁছে দিয়েছি। জেনারেটরের ওপর যে ট্যাক্স ছিল, সেই ট্যাক্স আমি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিল্প-কলকারখানায় যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়েছে।’

গত বছর নভেম্বরে পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ফলে ডিসেম্বর থেকে পিডিবি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ৫ টাকা ১৭ পয়সা ছিল।

বিইআরসির তথ্য অনুযায়ী, নতুন মূল্য কার্যকর হওয়ার ফলে পিডিবির আয় বছরে আট হাজার কোটি টাকা বাড়বে। ইউনিটপ্রতি দাম বাড়িয়ে ৮ টাকা ২৮ পয়সা করলে পিডিবি পুরো ১৭ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি থেকে পিডিবি মুক্ত হতে পারত।

এ বছর ৩০ জানুয়ারি সরকারের নির্বাহী আদেশে পিডিবির পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৮ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়।

এদিকে গত জানুয়ারির ১২ তারিখে খুচরা বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ, ১৮ জানুয়ারি গ্যাসের দাম শিল্পে ১৬০ শতাংশ, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৭৮ শতাংশ ও বাণিজ্যিক খাতে ১৪ শতাংশ বাড়ানো হয়।

উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে, বিশেষ করে সারাদেশে গড়ে ওঠা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ করলে তাতে বিনিয়োগকারী যেমন লাভবান হবেন দেশেরও লাভ হবে।’

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৪ বছরে আপনাদের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি। শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা ব্যবসা করেন, এখন আর ওই হাওয়া ভবনের পয়সাও দিতে হয় না। কোন কিছুই করতে হয় না, সেই পরিবেশ আমরা তৈরি করে দিয়েছি।’

‘আর আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য একদম তৃণমূলের মানুষ। তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে, আমাদের নিজস্ব বাজার হচ্ছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আমাদের আশপাশের যে দেশগুলো রয়েছে, তাদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ স্থাপন করছি।’

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ভুটান, নেপাল, ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার সর্বক্ষেত্রেই চমৎকার একটি যোগাযোগের জায়গা। তাছাড়া এই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের বাজার, এই সুবিধাটা যে কেউ নিতে পারেন।’

‘আমরা কক্সবাজারে অন্তর্জাতিক মানের এয়ারপোর্ট করে দিচ্ছি, ঢাকার সঙ্গে সরাসরি রেললাইন করা হয়েছে, আমরা সড়কের উন্নয়ন করেছি। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে ইস্ট এবং ওয়েস্টের মধ্যে একটা ব্রিজ হতে পারে বাংলাদেশ। সেভাবেই আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলছি। আমরা মনে করি, আমাদের ভৌগোলিক যে অবস্থান, সেটাও অত্যন্ত অনুকূলে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাতারবাড়িতে ইতোমধ্যে ডিপ সি পোর্টের কার্যক্রম শুরু করেছে, পায়রা পোর্টের উন্নতি হচ্ছে, মোংলা পোর্টের উন্নয়ন করা হচ্ছে। বে টার্মিনালসহ আরও অনেক সুবিধা সরকার করে দিচ্ছে।’

পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে, সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। কারও সহযোগিতা বা সমর্থন পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু সমর্থন আমার জনগণ দিয়েছে। ফলে আমরা সফলতার সঙ্গে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি করেছি।’

দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুবিধা নিতে সবাইকে বিনিয়োগের আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমি এটুকু বলব, সবাই বিনিয়োগ করুন। এতে নিজেরাও লাভবান হবেন আবার আমার দেশটাও লাভবান হবে। আমাদের রপ্তানি বাস্কেট বাড়াতে হবে। কিছু নতুন পণ্য এবং বাজার আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। সেটাই হচ্ছে সবথেকে বড় কথা। কাজেই দেশি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের দেশ আরও উন্নত হোক, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা চাই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ হবে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা আমরা প্রণয়ন করে দিয়েছি এবং তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাও আমরা করে যাচ্ছি।’

‘এখানেই আমরা থেমে না থেকে ২১০০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে সেজন্য ডেল্টা পরিকল্পনাও প্রণয়ন করে দিয়েছি। কাজেই বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে সেটাই আমরা আশা করি। কাজেই আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত, আমি তাদের বলব, আপনারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করবেন, যাতে এই বাংলাদেশটাকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’

শুধু সোনার বাংলাদেশই নয়, বাংলাদেশকে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে আমাদের জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট, অর্থনীতি হবে স্মার্ট, ব্যবসা-বাণিজ্য হবে স্মার্ট, সবই আমরা ডিজিটাল সিস্টেমে করব।’

এর আগে বিনিয়োগ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বহুতল এই ভবনটি তিনটি সংস্থা বিডা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

back to top