চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দেশে বেকারের সংখ্যা তার আগের প্রান্তিকের তুলনায় বাড়ার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএস।
ব্যুরো পরিচালিত শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, এ বছর জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশে বেকার ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। আর গত বছরের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এই সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার।
সে হিসাবে এক প্রান্তিকের ব্যবধানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে। তবে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এ বছর বেকারের সংখ্যা ৪০ হাজার কম।
চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে দেশে বেকার ছিলেন ২৫ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে সেই সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার। বিবিএস এই প্রথম প্রান্তিকভিত্তিক শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে, সেখানে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিবিএস মহাপরিচালক আতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তিনি বলেন, শীতকালে কাজের সুযোগ কম থাকে, বিশেষ করে কৃষিখাতে তখন কাজ কম থাকে। এখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। এ খাতে কাজের সুযোগ অনেক বেড়েছে। ফলে বেকার মানুষের সংখ্যা আবার কমে আসবে।
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার মানুষের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ১০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার।
অন্যদিকে শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে মোট বেকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৯০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৪০ হাজার।
জরিপের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশে বেকারত্ব ছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে তা ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে তা ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩-এর প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) ফলাফল অনুযায়ী, দেশের শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত মোট জনগোষ্ঠী ৭ কোটি ৩৬ লাখ। এ ছাড়া কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী বর্তমানে ৭ কোটি ১১ লাখ।
শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী ৪ কোটি ৬৩ লাখ; শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬১ দশমিক ৩৭।
অর্থনৈতিক খাত অনুযায়ী কৃষিতে নিয়োজিত আছে ৩ কোটি ১৯ লাখ, শিল্প খাতে ১ কোটি ২২ লাখ, সেবা খাতে ২ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ। এ ছাড়া দেশের যুব শ্রমশক্তি ২ কোটি ৭৩ লাখ। শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত মোট জনগোষ্ঠী ৭ কোটি ৩৬ লাখ। সেই হিসাবে দেশের মোট শ্রমশক্তির ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারাই, যারা গত সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কাজ করেনি, কিন্তু গত সাত দিনে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং গত ৩০ দিনে বেতন মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন।
তবে বেকারের এ সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক আছে। সংজ্ঞা বদলানো হলে বেকারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ মে ২০২৩
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দেশে বেকারের সংখ্যা তার আগের প্রান্তিকের তুলনায় বাড়ার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো- বিবিএস।
ব্যুরো পরিচালিত শ্রমশক্তি জরিপ বলছে, এ বছর জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশে বেকার ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। আর গত বছরের শেষ তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এই সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার।
সে হিসাবে এক প্রান্তিকের ব্যবধানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে। তবে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এ বছর বেকারের সংখ্যা ৪০ হাজার কম।
চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে দেশে বেকার ছিলেন ২৫ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে সেই সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার। বিবিএস এই প্রথম প্রান্তিকভিত্তিক শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে, সেখানে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিবিএস মহাপরিচালক আতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তিনি বলেন, শীতকালে কাজের সুযোগ কম থাকে, বিশেষ করে কৃষিখাতে তখন কাজ কম থাকে। এখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। এ খাতে কাজের সুযোগ অনেক বেড়েছে। ফলে বেকার মানুষের সংখ্যা আবার কমে আসবে।
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার মানুষের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ১০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ৮ লাখ ৮০ হাজার।
অন্যদিকে শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে মোট বেকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৯০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৪০ হাজার।
জরিপের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশে বেকারত্ব ছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে তা ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে তা ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩-এর প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) ফলাফল অনুযায়ী, দেশের শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত মোট জনগোষ্ঠী ৭ কোটি ৩৬ লাখ। এ ছাড়া কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী বর্তমানে ৭ কোটি ১১ লাখ।
শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী ৪ কোটি ৬৩ লাখ; শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬১ দশমিক ৩৭।
অর্থনৈতিক খাত অনুযায়ী কৃষিতে নিয়োজিত আছে ৩ কোটি ১৯ লাখ, শিল্প খাতে ১ কোটি ২২ লাখ, সেবা খাতে ২ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ। এ ছাড়া দেশের যুব শ্রমশক্তি ২ কোটি ৭৩ লাখ। শ্রমশক্তিতে নিয়োজিত মোট জনগোষ্ঠী ৭ কোটি ৩৬ লাখ। সেই হিসাবে দেশের মোট শ্রমশক্তির ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারাই, যারা গত সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কাজ করেনি, কিন্তু গত সাত দিনে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং গত ৩০ দিনে বেতন মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন।
তবে বেকারের এ সংজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক আছে। সংজ্ঞা বদলানো হলে বেকারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।