alt

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৮ মে ২০২৩

বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার বিকাশে প্রাণপুরুষ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (২৮ মে)।

১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাঙালির শিল্পকলার ঐতিহ্য নির্মাণ ও আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব। তার অসাধারণ নেতৃত্ব গুণে ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গড়ে তুলছিলেন চারুকলা ইনস্টিটিউট।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, গ্রামবাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাত্রা, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সংগ্রামই ছিল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মের মূল উপজীব্য। তার কর্মে প্রতিফলিত হয়েছে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম এবং তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

পারিবারিক জীবন

১৯৪৬ সালে জয়নুল আবেদিন ঢাকায় তৈয়ব উদ্দিন আহমদের কন্যা জাহানারা বেগমের সাথে বিবাহ সম্পন্ন করেন। তিনি ৩ পুত্র সন্তানের জনক। তার প্রথম পুত্র সাইফুল আবেদিন বাংলাদেশের একজন স্থপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকা প্রবাসী। দ্বিতীয় পুত্র খায়রুল আবেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয় নিয়ে এমএ এবং কনিষ্ঠ পুত্র মঈনুল আবেদিন(মিতু) প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পানি-সম্পদ বিভাগ হতে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের সংগ্রহশালা

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন বাংলাদেশের আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্প আন্দোলনের পরিচালক ছিলেন। ময়মনসিংহ শহরের উত্তর পাশে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি দোতলা ঘর বাড়া করে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে এই সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ এপ্রিল বাংলা ১৩৮২ সালের ১লা বৈশাখ তারিখে সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম । সে সময় দেশব্যাপী জয়নুল আবেদিনের বিভিন্ন শিল্পকর্ম রক্ষনাবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। এজন্য শিল্পীর নিজের এলাকা অর্থ্যাৎ ময়মনসিংহে এই সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনের পর সংগ্রহশালার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ৭ জুলাই। এই সংগ্রহশালায় প্রথমে স্থান পেয়েছিল ৭০ টি চিত্রকর্ম যার বেশিরভাগই ছিল জলরঙের।

উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি

গ্রামীণ পটভূমিতে তার বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ, চিত্রমেলা, সংগ্রাম (গরু), ঝড়, মইটানা, গুণটানা, গাঁয়ের বধূ, বেদেনী, পাইন্যারমা, সাঁওতাল রমণী, মা, নদী ও নৌকা নিয়ে অনেক জলরঙ-ছবি। আদিবাসীদের জীবন ও প্রকৃতির ছবি, নবান্ন, ৬৫ ফুট দীর্ঘ আবহমান বাংলার এক বিশাল ছবি, ৭০-এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ছবি, মনপুরা-৭০, ৩০ ফুট দীর্ঘ এক মর্মস্পর্শী স্কেচ চিত্রসহ আরো অনেক ছবি। জয়নুল আবেদীনের ৮০০ ছবির সংগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে। সমগ্র পঞ্চাশ ও ষাটের দশক ধরে জয়নুল আবেদীনের কর্মে রিয়ালিজম, নান্দনিকতা পল্লীর বিষয় বস্তু, আবহমান বাংলার গ্রামীণ জীবনের এক নিবিড় পটভূমির চিত্র তার শিল্পে অনাবিল সৌন্দর্য নিয়ে ফুটে উঠেছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামরত নর-নারীর বলিষ্ঠ শারীরিক গঠন স্মরণ করিয়ে দেয় ব্যক্তিক সীমাবদ্ধতার মাঝে আধুনিকতাবাদের গুরুত্বপূর্ণ ধারণাকে। জয়নুলের কর্ম কেন্দ্রায়িত হয়েছে সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গ্রামীণ নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম ও সেই সাথে তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে।

১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়কে ভিত্তি করে আঁকা ৬৫ ফুট দীর্ঘ স্ক্রল পেইন্টিংয়ে চাইনিজ ইংক, জলরঙ ও মোমের ব্যবহার। গ্রামের বাহান্ন উৎসব এবং ১৯৭০ সালের প্রলঙ্করি ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারানো হাজারো গ্রামীণ মানুষের স্মৃতির উদ্দেশে আঁকা ৩০ ফুট দীর্ঘ ‘মনপুরা’ পেইন্টিংটির মাঝে তার কর্মের বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। তার চিত্রকর্মে ফুটে উঠেছে প্রকৃত ও মানবজীবনের চিত্র, গ্রাম্য পল্লী রমণীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের অন্তরঙ্গ দৃশ্য। তার শিল্পকর্মের পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিনি লোকশিল্প কলার সীমাবদ্ধতা উপলব্ধি করেছেন নিবিড়ভাবে। এখানে ডাইমেনশনের অভাব, আলো-আঁধারির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অনুপস্থিত এবং তাদের গতিময়তার অভাব লক্ষণীয়। এ সীমাকে অতিক্রম করে জয়নুল আবার ফিরে যান প্রকৃতির কাছে, গ্রামীণ জীবনে। জীবনের দৈনন্দিন সংগ্রামের সাথে রীতি বৈচিত্র্যের সমন্বয় ঘটিয়ে যেখানে বাস্তবতা থাকবে মুখ্য কিন্তু অবয়ব হবে আধুনিক। জয়নুলের কাছে- ‘আধুনিকতাবাদ’ বলতে শুধুই বিমূর্ততা ছিল না বরং তার কাছে আধুনিকতা শব্দটি ছিল সুগভীর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য যেখানে গ্রামীণ সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যক্তিক প্রকাশই মুখ্য।

১৯৪৩ সালে সারা বাংলায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়। জয়নুল রাস্তায় পড়ে থাকা দুর্ভিক্ষের হাড্ডিসার মানুষের ছবি ও স্কেচ আঁকলেন। তার ছবিতে ফুটে উঠল গ্রামের বাস্তব চিত্র। এ ছবি গ্রামবাংলার জীবনের প্রতিচ্ছবি। মানুষ আর কুকুরের একই ডাস্টবিন থেকে খাবার খুঁড়ে খাচ্ছে। কাক ও শকুন ঠুকরে খাচ্ছে মানুষের লাশ। এসব ছবি এত বাস্তব, জীবন্ত ও করুণ যে, মানবতাবাদী শিল্পী হিসেবে দেশ-বিদেশে তার খ্যাতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়ল। চিত্রকর্মগুলো জয়নুলকে ভারতব্যাপী খ্যাতি এনে দেয়। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা এগুলো মানুষের দুর্দশা, কষ্ট ও প্রতিবাদকে সামনে এনে বাস্তবধর্মী চিত্র অঙ্কনে তার স্বকীয়তাকে বিকশিত করে।

কর্মজীবন

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনের সময় ভারতবর্ষ দুটি দেশের বিভক্ত হয় যথা ভারত ও পাকিস্তান। পূর্ববঙ্গ নতুন নাম লাভ করে পূর্ব পাকিস্তান যা পরবর্তীতে ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার পর বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পূর্ববঙ্গের প্রথম প্রজন্মের শিল্পীদের প্রধান ব্যক্তিত্ব জয়নুল আবেদিন। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতবিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে একটি চিত্রকলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুভুত করেন জয়নুল আবেদীন । নিজ উদ্যোগে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের একটি পুরাতন কক্ষে গভর্নমেন্ট আর্ট ইন্সটিটিউট স্থাপিত করেন। প্রথমে ১৮ জন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। জয়নুল আবেদিন ছিলেন এ প্রতিষ্ঠানের প্রথম শিক্ষক। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে এই আর্ট ইন্সটিটিউট সেগুনবাগিচার একটি বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে আর্ট ইন্সটিটিউটটি শাহবাগে স্থানান্তরিত হয়।

স্বীকৃতি লাভ

১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে এটি একটি প্রথম শ্রেণির সরকারি কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং এর নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পর একই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়’।চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, জয়নুল আবেদীন ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ।

সম্মাননা

পূর্ববঙ্গে তথা বাংলাদেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারের আমৃত্যু প্রচেষ্টার চালিয়ে যান ,যার ফলশ্রুতিতে জনসাধারণ্যে তিনি শিল্পাচার্য উপাধি লাভ করেন। বাংলাদেশের চিত্রকরদের মধ্যে তিনি শিল্পগুরু হিসেবে পরিচিত। তার নামে বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় এ চারুকলা অনুষদে একটি গ্যালারি রয়েছে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ৩৫ সংখ্যক গ্যালারীটিতে শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিন চিত্রশালা হিসাবে সজ্জিত করে। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের ছবি চিত্রমালার জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তার চিত্রকর্মের মধ্যে অন্যতম ১৯৫৭-এ নৌকা, ১৯৫৯-এ সংগ্রাম, ১৯৭১-এ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ম্যাডোনা। তার দীর্ঘ দুটি স্ক্রল ১৯৬৯-এ অংকিত ‘নবান্ন’ এবং ১৯৭৪-এ অংকিত ‘মনপুরা-৭০’ জননন্দিত দুটি শিল্পকর্ম। অনুমান করা হয় তার চিত্রকর্ম তিন হাজারেরও বেশি।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন কর্তৃক ৯ জুলাই, ২০০৯ বুধ গ্রহের একটি জ্বালামুখ তার মানবসভ্যতায় মানবিক মূল্যবোধ ও উপলদ্ধিকে গভীরতর করার প্রেক্ষিতে আবেদিন জ্বালামুখ নামে নামকরণ করা হয়। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসব হয় ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় (আর্ট গ্যালারি) শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

সংগ্রামী জীবনের অবসান

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে পুনরুজীবিত করার আন্দোলনে নিজেকে সংক্রিয়ভাবে জড়িত করেন। তিনি পূর্বে ধারণা করেছিলেন যে, ইউরোপীয় বা আমেরিকা কিছু কৌশল ও রীতির প্রভাব, যা এখানকার কিছু চিত্রশিল্পীকে অনুপ্রাণিত করেছিল, যা দেশিয় রীতিকে ধ্বংস করবে। কিন্তু ফুসফুসে ক্যান্সারের কারণে তিনি তাঁর কাজ সম্পন্ন করতে পারেন নি। তাঁর স্বাস্থ্য দ্রুত ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, অনিবন্ধিত মুঠোফোনের ব্যবহার বন্ধে ১৬ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে এনইআইআর

দুর্ঘটনার সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর সিলেট ছাড়লো লন্ডনগামী বিমান

‘তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার’ মুখে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ: কর্মশালায় বিশ্লেষণ

ছবি

দুদক সংস্কার কমিশনের ‘কৌশলগত সুপারিশ বাদ দিয়ে’ খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন, টিআইবির উদ্বেগ

ছবি

ভিন্ন কোনো দেশের কারণে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: চীনের রাষ্ট্রদূত

ছবি

ভোট কবে, জানা যাবে ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে’

টিভি সূচি

ছবি

পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন ‘টেকসই হতে পারে না’: সৈয়দা রিজওয়ানা

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু

ছবি

হালদা নদী রক্ষায় গেজেট পরিবর্তন করা হবে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ছবি

‘সেনা কর্মকর্তাদের চাকরিতে থাকা’ নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের

ছবি

নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা বাড়াতে ডিএমপিকে ইসির চিঠি

ছবি

সংবিধান সংস্কার ‘জুলাই সনদ অনুসারে’: ২৭০ পঞ্জিকা দিবসে না হলে ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পাস’

আইনি প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বেসরকারি স্কুল ও কলেজে এমপিও নীতিমালায় বড় পরিবর্তন: জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত, অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ যোগ্যতায় পরিবর্তন

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বাংলাদেশের অতীত থেকে মুক্তির পথ দেখাবে: প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জুলাই সনদে সংবিধান সংস্কারে সরকারের জন্য দুটি বিকল্প পথ প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের

ছবি

নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বডি-ওর্ন-ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

শীতের কম্বল ফেব্রুয়ারিতে দিয়ে লাভ নেই বিভাগীয় কমিশনার

ছবি

দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষকরা সম্মুখসারির যোদ্ধা খাদ্য উপদেষ্টা

ছবি

নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-চীন উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক গভীর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোনথা’, ভারতের অন্ধ্র উপকূলে আঘাতের শঙ্কা

ছবি

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

ছবি

আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

বৃহস্পতিবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ জনের মৃত্যু: হাসপাতালে ভর্তি ৯৮৩ জন

ছবি

জেইসির মাধ্যমে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত, আজ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তর

চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন

ছবি

এক লাখ কর্মী নিয়োগ, প্রধান উপদেষ্টাকে অগ্রগতি জানালো জাপানি প্রতিনিধিদল

ছবি

মঙ্গলবার সরকারের হাতে যাবে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা

ছবি

নভেম্বরের পরও চলবে উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম: অন্তর্বর্তী সরকারের স্পষ্টীকরণ

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১

ছবি

অর্থ পাচারের মামলায় সম্রাট ও আরমানের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হওয়া ও নৈতিক নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার

tab

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৮ মে ২০২৩

বাংলাদেশের আধুনিক চিত্রকলার বিকাশে প্রাণপুরুষ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (২৮ মে)।

১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাঙালির শিল্পকলার ঐতিহ্য নির্মাণ ও আধুনিক চিত্রকলার পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব। তার অসাধারণ নেতৃত্ব গুণে ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গড়ে তুলছিলেন চারুকলা ইনস্টিটিউট।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, গ্রামবাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাত্রা, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সংগ্রামই ছিল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্মের মূল উপজীব্য। তার কর্মে প্রতিফলিত হয়েছে প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম এবং তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

পারিবারিক জীবন

১৯৪৬ সালে জয়নুল আবেদিন ঢাকায় তৈয়ব উদ্দিন আহমদের কন্যা জাহানারা বেগমের সাথে বিবাহ সম্পন্ন করেন। তিনি ৩ পুত্র সন্তানের জনক। তার প্রথম পুত্র সাইফুল আবেদিন বাংলাদেশের একজন স্থপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকা প্রবাসী। দ্বিতীয় পুত্র খায়রুল আবেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয় নিয়ে এমএ এবং কনিষ্ঠ পুত্র মঈনুল আবেদিন(মিতু) প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পানি-সম্পদ বিভাগ হতে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের সংগ্রহশালা

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন বাংলাদেশের আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্প আন্দোলনের পরিচালক ছিলেন। ময়মনসিংহ শহরের উত্তর পাশে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি দোতলা ঘর বাড়া করে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে এই সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ এপ্রিল বাংলা ১৩৮২ সালের ১লা বৈশাখ তারিখে সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম । সে সময় দেশব্যাপী জয়নুল আবেদিনের বিভিন্ন শিল্পকর্ম রক্ষনাবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। এজন্য শিল্পীর নিজের এলাকা অর্থ্যাৎ ময়মনসিংহে এই সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনের পর সংগ্রহশালার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ৭ জুলাই। এই সংগ্রহশালায় প্রথমে স্থান পেয়েছিল ৭০ টি চিত্রকর্ম যার বেশিরভাগই ছিল জলরঙের।

উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি

গ্রামীণ পটভূমিতে তার বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ, চিত্রমেলা, সংগ্রাম (গরু), ঝড়, মইটানা, গুণটানা, গাঁয়ের বধূ, বেদেনী, পাইন্যারমা, সাঁওতাল রমণী, মা, নদী ও নৌকা নিয়ে অনেক জলরঙ-ছবি। আদিবাসীদের জীবন ও প্রকৃতির ছবি, নবান্ন, ৬৫ ফুট দীর্ঘ আবহমান বাংলার এক বিশাল ছবি, ৭০-এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ছবি, মনপুরা-৭০, ৩০ ফুট দীর্ঘ এক মর্মস্পর্শী স্কেচ চিত্রসহ আরো অনেক ছবি। জয়নুল আবেদীনের ৮০০ ছবির সংগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে। সমগ্র পঞ্চাশ ও ষাটের দশক ধরে জয়নুল আবেদীনের কর্মে রিয়ালিজম, নান্দনিকতা পল্লীর বিষয় বস্তু, আবহমান বাংলার গ্রামীণ জীবনের এক নিবিড় পটভূমির চিত্র তার শিল্পে অনাবিল সৌন্দর্য নিয়ে ফুটে উঠেছে। প্রাকৃতিক ও মানুষের তৈরি প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামরত নর-নারীর বলিষ্ঠ শারীরিক গঠন স্মরণ করিয়ে দেয় ব্যক্তিক সীমাবদ্ধতার মাঝে আধুনিকতাবাদের গুরুত্বপূর্ণ ধারণাকে। জয়নুলের কর্ম কেন্দ্রায়িত হয়েছে সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গ্রামীণ নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম ও সেই সাথে তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে।

১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়কে ভিত্তি করে আঁকা ৬৫ ফুট দীর্ঘ স্ক্রল পেইন্টিংয়ে চাইনিজ ইংক, জলরঙ ও মোমের ব্যবহার। গ্রামের বাহান্ন উৎসব এবং ১৯৭০ সালের প্রলঙ্করি ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারানো হাজারো গ্রামীণ মানুষের স্মৃতির উদ্দেশে আঁকা ৩০ ফুট দীর্ঘ ‘মনপুরা’ পেইন্টিংটির মাঝে তার কর্মের বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। তার চিত্রকর্মে ফুটে উঠেছে প্রকৃত ও মানবজীবনের চিত্র, গ্রাম্য পল্লী রমণীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের অন্তরঙ্গ দৃশ্য। তার শিল্পকর্মের পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিনি লোকশিল্প কলার সীমাবদ্ধতা উপলব্ধি করেছেন নিবিড়ভাবে। এখানে ডাইমেনশনের অভাব, আলো-আঁধারির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অনুপস্থিত এবং তাদের গতিময়তার অভাব লক্ষণীয়। এ সীমাকে অতিক্রম করে জয়নুল আবার ফিরে যান প্রকৃতির কাছে, গ্রামীণ জীবনে। জীবনের দৈনন্দিন সংগ্রামের সাথে রীতি বৈচিত্র্যের সমন্বয় ঘটিয়ে যেখানে বাস্তবতা থাকবে মুখ্য কিন্তু অবয়ব হবে আধুনিক। জয়নুলের কাছে- ‘আধুনিকতাবাদ’ বলতে শুধুই বিমূর্ততা ছিল না বরং তার কাছে আধুনিকতা শব্দটি ছিল সুগভীর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য যেখানে গ্রামীণ সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যক্তিক প্রকাশই মুখ্য।

১৯৪৩ সালে সারা বাংলায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়। জয়নুল রাস্তায় পড়ে থাকা দুর্ভিক্ষের হাড্ডিসার মানুষের ছবি ও স্কেচ আঁকলেন। তার ছবিতে ফুটে উঠল গ্রামের বাস্তব চিত্র। এ ছবি গ্রামবাংলার জীবনের প্রতিচ্ছবি। মানুষ আর কুকুরের একই ডাস্টবিন থেকে খাবার খুঁড়ে খাচ্ছে। কাক ও শকুন ঠুকরে খাচ্ছে মানুষের লাশ। এসব ছবি এত বাস্তব, জীবন্ত ও করুণ যে, মানবতাবাদী শিল্পী হিসেবে দেশ-বিদেশে তার খ্যাতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়ল। চিত্রকর্মগুলো জয়নুলকে ভারতব্যাপী খ্যাতি এনে দেয়। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা এগুলো মানুষের দুর্দশা, কষ্ট ও প্রতিবাদকে সামনে এনে বাস্তবধর্মী চিত্র অঙ্কনে তার স্বকীয়তাকে বিকশিত করে।

কর্মজীবন

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনের সময় ভারতবর্ষ দুটি দেশের বিভক্ত হয় যথা ভারত ও পাকিস্তান। পূর্ববঙ্গ নতুন নাম লাভ করে পূর্ব পাকিস্তান যা পরবর্তীতে ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার পর বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পূর্ববঙ্গের প্রথম প্রজন্মের শিল্পীদের প্রধান ব্যক্তিত্ব জয়নুল আবেদিন। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতবিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে একটি চিত্রকলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুভুত করেন জয়নুল আবেদীন । নিজ উদ্যোগে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুলের একটি পুরাতন কক্ষে গভর্নমেন্ট আর্ট ইন্সটিটিউট স্থাপিত করেন। প্রথমে ১৮ জন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। জয়নুল আবেদিন ছিলেন এ প্রতিষ্ঠানের প্রথম শিক্ষক। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে এই আর্ট ইন্সটিটিউট সেগুনবাগিচার একটি বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে আর্ট ইন্সটিটিউটটি শাহবাগে স্থানান্তরিত হয়।

স্বীকৃতি লাভ

১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে এটি একটি প্রথম শ্রেণির সরকারি কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং এর নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পর একই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়’।চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, জয়নুল আবেদীন ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ।

সম্মাননা

পূর্ববঙ্গে তথা বাংলাদেশে চিত্রশিল্প বিষয়ক শিক্ষার প্রসারের আমৃত্যু প্রচেষ্টার চালিয়ে যান ,যার ফলশ্রুতিতে জনসাধারণ্যে তিনি শিল্পাচার্য উপাধি লাভ করেন। বাংলাদেশের চিত্রকরদের মধ্যে তিনি শিল্পগুরু হিসেবে পরিচিত। তার নামে বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় এ চারুকলা অনুষদে একটি গ্যালারি রয়েছে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ৩৫ সংখ্যক গ্যালারীটিতে শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিন চিত্রশালা হিসাবে সজ্জিত করে। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের ছবি চিত্রমালার জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তার চিত্রকর্মের মধ্যে অন্যতম ১৯৫৭-এ নৌকা, ১৯৫৯-এ সংগ্রাম, ১৯৭১-এ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ম্যাডোনা। তার দীর্ঘ দুটি স্ক্রল ১৯৬৯-এ অংকিত ‘নবান্ন’ এবং ১৯৭৪-এ অংকিত ‘মনপুরা-৭০’ জননন্দিত দুটি শিল্পকর্ম। অনুমান করা হয় তার চিত্রকর্ম তিন হাজারেরও বেশি।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন কর্তৃক ৯ জুলাই, ২০০৯ বুধ গ্রহের একটি জ্বালামুখ তার মানবসভ্যতায় মানবিক মূল্যবোধ ও উপলদ্ধিকে গভীরতর করার প্রেক্ষিতে আবেদিন জ্বালামুখ নামে নামকরণ করা হয়। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসব হয় ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় (আর্ট গ্যালারি) শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

সংগ্রামী জীবনের অবসান

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে পুনরুজীবিত করার আন্দোলনে নিজেকে সংক্রিয়ভাবে জড়িত করেন। তিনি পূর্বে ধারণা করেছিলেন যে, ইউরোপীয় বা আমেরিকা কিছু কৌশল ও রীতির প্রভাব, যা এখানকার কিছু চিত্রশিল্পীকে অনুপ্রাণিত করেছিল, যা দেশিয় রীতিকে ধ্বংস করবে। কিন্তু ফুসফুসে ক্যান্সারের কারণে তিনি তাঁর কাজ সম্পন্ন করতে পারেন নি। তাঁর স্বাস্থ্য দ্রুত ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।

back to top