alt

মার্কিন বিজ্ঞানীদের সতর্কতা

এল নিনো শুরু, আগামীতে আবহাওয়া আরও চরমভাবাপন্ন হওয়ার আভাস

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩

এল নিনো শুরু হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তারা আশঙ্কা করছেন, চলমান এল নিনো বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চরমভাবাপন্ন এই আবহাওয়ার জন্য ২০২৪ সাল হতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বছর।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এল নিনোর প্রভাব বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই দেখা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা দেবে খরা, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাবে এবং ভারত তথা এই অঞ্চলের বর্ষা দুর্বল হয়ে বৃষ্টিপাত অনেক কমে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী এল নিনো জলবায়ু পরিস্থিতি শুরু হয়ে গেছে। এতে আবহাওয়া ও তাপমাত্রা চরম রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার দেয়া সতর্কবার্তায় বিজ্ঞানীরা বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রার চেয়ে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর বেশি উষ্ণ হয়ে আছে। সবশেষ ২০১৮-১৯ সালে এ ধরনের এল নিনো পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। গড়ে ২ থেকে ৭ বছর পর পর এল নিনো পরিস্থিতি হয়।

স্প্যানিশ শব্দ ‘এল নিনো’র অর্থ হলো ‘লিটল বয়’ বা ‘ছোট ছেলে’। পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ থাকে, তখন তাকে এল নিনো বলা হয়। আর এর বিপরীত অবস্থার নাম ‘লা নিনা’, যার অর্থ ‘লিটল গার্ল’ বা ‘ছোট মেয়ে’। পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, তখন তাকে লা নিনা বলা হয়।

এনওএএর জলবায়ুবিজ্ঞানী মিশেল এল হুরু বলেন, ‘এল নিনো কতটা শক্তিশালী, তার ভিত্তিতে পরিবেশের ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। যেমন বিশ্বজুড়ে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি কিংবা খরার ঝুঁকি বেড়ে যায়।’

চলতি সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সতর্ক করে বলেছে, দাবানলের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো এল নিনোর প্রভাবে আরও বেশি উষ্ণ ও শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। জাপান বলছে, দেশটিতে বসন্ত ঋতু রেকর্ড মাত্রার উষ্ণ ছিল। আর এর জন্য এল নিনো আংশিকভাবে দায়ী।

বিশ্বে সবচেয়ে উষ্ণতম বছরগুলো রেকর্ড হয়েছে এল নিনো চলাকালে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, চলতি গ্রীষ্মে এবং পরবর্তীকালে স্থলভাগে ও সমুদ্রে রেকর্ড মাত্রার তাপমাত্রা দেখা দিতে পারে।

ত্রাণ সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইডের সদস্য মারিয়ানা পাওলি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে দরিদ্র জনগণ এমনিতেই খরা, বন্যা ও ঝড়ের ঝুঁকিতে আছে। এল নিনোর প্রভাবে এখন তাদের তীব্র মাত্রার তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হবে।

পাওলি মনে করেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরিস্থিতির হাত থেকে তাদের বাঁচাতে সামান্যই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

এনওএএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালে এল নিনোর প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম হলেও শরতের শেষ থেকে বসন্ত পর্যন্ত বেশি প্রবল হয়ে ওঠে। শীতকাল নাগাদ এল নিনো মাঝারি বা সহনীয় পর্যায়কে ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা ৮৪ শতাংশ। এ ছাড়া এটি শক্তিশালী এল নিনোতে পরিণত হওয়ার শঙ্কা আছে ৫৬ শতাংশ। এর কারণে দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালিফোর্নিয়া থেকে শুরু করে উপসাগরীয় উপকূল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি আর্দ্রতা দেখা দিতে পারে। তবে প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ও ওহাইও ভ্যালির মতো জায়গাগুলো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি শুষ্ক থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতেও গড় তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি উষ্ণ হতে পারে।

এল নিনো তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি দেখা দেয়ার পর গত মাসে এনওএএর ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত পূর্বাভাস পাল্টাতে হয়েছে। এল নিনো আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের দমিয়ে রাখতে পারলেও মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড়কে এটি আরও শক্তিশালী করে তোলে।

ছবি

সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

টিআইবির প্রশ্ন: ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় অতি আগ্রহ কেন?

ছবি

নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি: ছাত্রদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে অপমানিত করা হয়েছে

ছবি

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ

ছবি

আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয় নি: সিলেটে আসিফ নজরুল

ছবি

অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুটি লকার জব্দ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৬২২

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘে যাচ্ছেন ফখরুল-তাহের-আখতার

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে চারটি পদ্ধতির পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ছবি

ডেমু ট্রেন কেনায় রাষ্ট্রের ক্ষতি, দুদকের মামলা

ছবি

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের প্রধান বিচারপতির বৈঠক

ছবি

ট্রাইব্যুনাল: নাহিদের সাক্ষ্য বুধবার, মাহমুদুর রহমানের জেরা শুরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, দলগুলোর সঙ্গে বুধবার আবার আলোচনায় বসছে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা: বাংলাদেশ-ভারতের ভৌগোলিক নৈকট্য ও আন্তঃনির্ভতা নতুন সুযোগে রূপান্তরের সম্ভাবনা

ছবি

ধর্মীয় উৎসবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নয়, সমান নাগরিক অধিকারের বাংলাদেশ চান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য বুধবার

ছবি

জুলাই আন্দোলন: ইনু-নূরসহ ৯ আসামির ভার্চুয়াল হাজিরা

ছবি

বাংলাদেশে উষ্ণায়নের প্রভাব: কর্মদিবস নষ্ট, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি

ছবি

এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য সচিব

ছবি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

ছবি

দুর্গাপূজা প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালকদের দপ্তর বদল, একজনকে ওএসডি

ছবি

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

ছবি

আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ৩৮ হাজার

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে অঙ্গীকার ইউনূসের

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি : মাইকেল মিলার

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার হাতে ১২ তরুণ পেলেন ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’

ছবি

ইসিতে নিবন্ধন: নতুন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে

ছবি

সেপ্টেম্বরের শেষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

ছবি

দ্বিমতের কোনো জায়গা নাই, এই সুযোগ আর আসবে না: ইউনূস

ছবি

নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারিত সময়ের আগেই

ছবি

মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোতে ১১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাত: ১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিদ্ধান্ত

ছবি

টাইফয়েড টিকা কর্মসূচি: দেড় মাসে নিবন্ধন প্রায় ৮৯ লাখ শিশু

tab

মার্কিন বিজ্ঞানীদের সতর্কতা

এল নিনো শুরু, আগামীতে আবহাওয়া আরও চরমভাবাপন্ন হওয়ার আভাস

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩

এল নিনো শুরু হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তারা আশঙ্কা করছেন, চলমান এল নিনো বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চরমভাবাপন্ন এই আবহাওয়ার জন্য ২০২৪ সাল হতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বছর।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এল নিনোর প্রভাব বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই দেখা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা দেবে খরা, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাবে এবং ভারত তথা এই অঞ্চলের বর্ষা দুর্বল হয়ে বৃষ্টিপাত অনেক কমে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী এল নিনো জলবায়ু পরিস্থিতি শুরু হয়ে গেছে। এতে আবহাওয়া ও তাপমাত্রা চরম রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার দেয়া সতর্কবার্তায় বিজ্ঞানীরা বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রার চেয়ে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর বেশি উষ্ণ হয়ে আছে। সবশেষ ২০১৮-১৯ সালে এ ধরনের এল নিনো পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। গড়ে ২ থেকে ৭ বছর পর পর এল নিনো পরিস্থিতি হয়।

স্প্যানিশ শব্দ ‘এল নিনো’র অর্থ হলো ‘লিটল বয়’ বা ‘ছোট ছেলে’। পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ থাকে, তখন তাকে এল নিনো বলা হয়। আর এর বিপরীত অবস্থার নাম ‘লা নিনা’, যার অর্থ ‘লিটল গার্ল’ বা ‘ছোট মেয়ে’। পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, তখন তাকে লা নিনা বলা হয়।

এনওএএর জলবায়ুবিজ্ঞানী মিশেল এল হুরু বলেন, ‘এল নিনো কতটা শক্তিশালী, তার ভিত্তিতে পরিবেশের ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। যেমন বিশ্বজুড়ে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি কিংবা খরার ঝুঁকি বেড়ে যায়।’

চলতি সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সতর্ক করে বলেছে, দাবানলের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো এল নিনোর প্রভাবে আরও বেশি উষ্ণ ও শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। জাপান বলছে, দেশটিতে বসন্ত ঋতু রেকর্ড মাত্রার উষ্ণ ছিল। আর এর জন্য এল নিনো আংশিকভাবে দায়ী।

বিশ্বে সবচেয়ে উষ্ণতম বছরগুলো রেকর্ড হয়েছে এল নিনো চলাকালে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, চলতি গ্রীষ্মে এবং পরবর্তীকালে স্থলভাগে ও সমুদ্রে রেকর্ড মাত্রার তাপমাত্রা দেখা দিতে পারে।

ত্রাণ সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইডের সদস্য মারিয়ানা পাওলি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে দরিদ্র জনগণ এমনিতেই খরা, বন্যা ও ঝড়ের ঝুঁকিতে আছে। এল নিনোর প্রভাবে এখন তাদের তীব্র মাত্রার তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হবে।

পাওলি মনে করেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরিস্থিতির হাত থেকে তাদের বাঁচাতে সামান্যই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

এনওএএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালে এল নিনোর প্রভাব অপেক্ষাকৃত কম হলেও শরতের শেষ থেকে বসন্ত পর্যন্ত বেশি প্রবল হয়ে ওঠে। শীতকাল নাগাদ এল নিনো মাঝারি বা সহনীয় পর্যায়কে ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা ৮৪ শতাংশ। এ ছাড়া এটি শক্তিশালী এল নিনোতে পরিণত হওয়ার শঙ্কা আছে ৫৬ শতাংশ। এর কারণে দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালিফোর্নিয়া থেকে শুরু করে উপসাগরীয় উপকূল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি আর্দ্রতা দেখা দিতে পারে। তবে প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ও ওহাইও ভ্যালির মতো জায়গাগুলো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি শুষ্ক থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতেও গড় তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি উষ্ণ হতে পারে।

এল নিনো তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি দেখা দেয়ার পর গত মাসে এনওএএর ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত পূর্বাভাস পাল্টাতে হয়েছে। এল নিনো আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের দমিয়ে রাখতে পারলেও মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড়কে এটি আরও শক্তিশালী করে তোলে।

back to top