গণফোরামের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ঢাকা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা মোহসীন মন্টু আর নেই। রবিবার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, চার মেয়ে, এক ছেলে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
রবিবার বাদ এশা রাজধানীর কাটাবন ঢালের বাইতুল মামুর জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার সকাল ৯টায় কেরানীগঞ্জের নেকরোজবাগ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মোস্তফা মোহসীন মন্টু ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ঢাকা জেলা গেরিলা বাহিনীর প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেন। তাঁর সাহসিকতা ও সংগঠকসুলভ ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।
গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী বলেন, “মোস্তফা মোহসীন মন্টু ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখসারির বীর সেনানী। তার নেতৃত্বে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালিত হয়। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিক ও মুক্তিযোদ্ধাকে হারাল।”
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মোস্তফা মোহসীন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত গণফোরামে যোগ দেন এবং ২০০৯ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি গণফোরামের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান ও মুক্তিযুদ্ধে সাহসিক ভূমিকার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোদ্ধা এবং নাগরিক সমাজ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
গণফোরামের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ঢাকা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা মোহসীন মন্টু আর নেই। রবিবার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, চার মেয়ে, এক ছেলে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
রবিবার বাদ এশা রাজধানীর কাটাবন ঢালের বাইতুল মামুর জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার সকাল ৯টায় কেরানীগঞ্জের নেকরোজবাগ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মোস্তফা মোহসীন মন্টু ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ঢাকা জেলা গেরিলা বাহিনীর প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেন। তাঁর সাহসিকতা ও সংগঠকসুলভ ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।
গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওশন ইয়াজদানী বলেন, “মোস্তফা মোহসীন মন্টু ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখসারির বীর সেনানী। তার নেতৃত্বে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালিত হয়। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিক ও মুক্তিযোদ্ধাকে হারাল।”
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মোস্তফা মোহসীন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ সালে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত গণফোরামে যোগ দেন এবং ২০০৯ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি গণফোরামের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।
জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান ও মুক্তিযুদ্ধে সাহসিক ভূমিকার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোদ্ধা এবং নাগরিক সমাজ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।