বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, ভাষা সংগ্রামী, কবি ও গবেষক আহমদ রফিক বারডেম হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শনিবার সকালে মরদেহ আনা হয় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এখানে ভাষা ও সাহিত্যপ্রেমী, ঘনিষ্ঠজন ও সংস্কৃতিকর্মীরা শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন। এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ভাষা সংগ্রামী হিসেবে তার অবদান অনন্য। তিনি সমাজ রূপান্তরে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন।"
শোক শোভাযাত্রার মাধ্যমে মরদেহ সেগুনবাগিচার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহমদ রফিকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তার দেহ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য দান করা হয়েছে। আহমদ রফিক ফাউন্ডেশন জানায়, তিনি এই দান করে সমাজকে নতুন দিক দেখিয়েছেন।
আহমদ রফিকের ঘনিষ্ঠজন অধ্যাপক ভীস্মদেব চৌধুরী বলেন, সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানায় তিনি বিশ্বাস করতেন না। যা সম্পত্তি ছিল, তা তিনি দান করে দিয়েছেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, খুব কম মানুষই জীবনের শেষ পর্যন্ত আদর্শকে বহন করে। আহমদ রফিক সেই বিরল মানুষদের মধ্যে একজন।
মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, ভাষা আন্দোলনের সময় থেকে উনাকে সবাই চেনেন। উনার লেখা, ব্যক্তিত্ব সবকিছুই তাকে বিশেষ করে তুলেছে।
আহমদ রফিকের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর গ্রামে। তিনি বাংলা ও চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষিত হলেও চিকিৎসকের পেশা অবলম্বন করেননি। ১৯৫২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম প্রবন্ধের বই ‘শিল্প সংস্কৃতি জীবন’।
আহমদ রফিক জীবদ্দশায় একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, রবীন্দ্রত্ত্বাচার্য উপাধিসহ বহু সম্মাননা পান। তিনি একজন সাহিত্যিক, গবেষক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে মানুষের মনে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আহমদ রফিক ফাউন্ডেশন, ছায়ানট, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, নতুন দিগন্ত, সমাজ চিন্তা ফোরাম, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলা একাডেমি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
---
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, ভাষা সংগ্রামী, কবি ও গবেষক আহমদ রফিক বারডেম হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শনিবার সকালে মরদেহ আনা হয় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এখানে ভাষা ও সাহিত্যপ্রেমী, ঘনিষ্ঠজন ও সংস্কৃতিকর্মীরা শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন। এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ভাষা সংগ্রামী হিসেবে তার অবদান অনন্য। তিনি সমাজ রূপান্তরে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন।"
শোক শোভাযাত্রার মাধ্যমে মরদেহ সেগুনবাগিচার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহমদ রফিকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তার দেহ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য দান করা হয়েছে। আহমদ রফিক ফাউন্ডেশন জানায়, তিনি এই দান করে সমাজকে নতুন দিক দেখিয়েছেন।
আহমদ রফিকের ঘনিষ্ঠজন অধ্যাপক ভীস্মদেব চৌধুরী বলেন, সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানায় তিনি বিশ্বাস করতেন না। যা সম্পত্তি ছিল, তা তিনি দান করে দিয়েছেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, খুব কম মানুষই জীবনের শেষ পর্যন্ত আদর্শকে বহন করে। আহমদ রফিক সেই বিরল মানুষদের মধ্যে একজন।
মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, ভাষা আন্দোলনের সময় থেকে উনাকে সবাই চেনেন। উনার লেখা, ব্যক্তিত্ব সবকিছুই তাকে বিশেষ করে তুলেছে।
আহমদ রফিকের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর গ্রামে। তিনি বাংলা ও চিকিৎসাশাস্ত্রে শিক্ষিত হলেও চিকিৎসকের পেশা অবলম্বন করেননি। ১৯৫২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম প্রবন্ধের বই ‘শিল্প সংস্কৃতি জীবন’।
আহমদ রফিক জীবদ্দশায় একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, রবীন্দ্রত্ত্বাচার্য উপাধিসহ বহু সম্মাননা পান। তিনি একজন সাহিত্যিক, গবেষক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে মানুষের মনে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আহমদ রফিক ফাউন্ডেশন, ছায়ানট, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, নতুন দিগন্ত, সমাজ চিন্তা ফোরাম, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলা একাডেমি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
---